আ’লীগ এমপি আফজাল হোসেনের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবজাল সু’র মালিক আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর ও নিকলি উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ ৫ আসনের এমপি আবজাল ও তার ভাই বাজিতপুর পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফের বিরুদ্ধে খাল ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের জায়গা দখলসহ বিভিন্নভাবে অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ বেশ পুরোনো। অভিযোগের পেক্ষিতে গতকাল দুর্নীতি দমন কশিশন এমপি আফজালের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনুসন্ধানের জন্য দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেত্বাধীন টিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, আফজাল সু’র মালিক আবজাল হোসেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারি খাল, জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণসহ নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগের পেক্ষিতে এ বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দিয়ে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অনুসন্ধান টিম নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে আফজাল হোসেনের সম্পদের হিসেব চাইবে। এর মধ্যে অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে।

দুদক সূত্র জানায়, এমপি আফজালের কিশোরগঞ্জ ও ঢাকায় একাধিক জায়গায় অবৈধ সম্পদ থাকার তথ্য রয়েছে দুদকের কাছে। সম্পদ ছাড়াও বিপুল পরিমান অথৈর মালিক হয়েছেন এমপি আফজাল। তার এসব অর্থ সম্পদ অর্জনের উৎস সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া হবে।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবজাল হোসেন ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে কিশোরগঞ্জ- ৫ (বাজিতপুর নিকলী) থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর থেকে টানা ৩ দফা তিনি কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের এমপি হিসেবে আছেন। এমপি হওয়ার পর নিজের ভাইকে ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন আশরাফকে বাজিতপুর পৌরসভার মেয়র বানান। তিনি এমপি হলেও মূলত তার নির্বাচনী এলাকা নিয়ন্ত্রন করেন তার ভাই মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফ। ক্ষমতায় আসার পর বাজিতপুরের একটি খাল ভরাট করে এমপি আফজালের নামে বিশাল মার্কেট নিমাণ করা হয়। এছাড়া সরকারি জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের জণ্য মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের জন্য বরাদ্ধ দেয়া হলেও ওই জায়গা এমপি আফজালও তার ভাই মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফ দখল করে নেন। সেখানেও তারা মার্কেট নির্মাণ করেন। এলাকায় সরকারি জায়গা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যক্তির জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে এমপি আফজালও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এলাকার মানুষ দুই ভাইয়ের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন। বিভিন্ন ব্যক্তির উপর হামলা নির্যতনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

সূত্র জানায়, এমপি আফজালের চেয়ে তার ভাই মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফ এলাকায় বেপরোয়া। আফজাল এমপি হওয়ার পর সরকারি জায়গা দখল শুরু করেন আর তার ভাই মেয়র হওয়ার পর এ কাজে তাকে পূর্ণ সেল্টার দিতে থাকেন। দুই ভাইয়ের অত্যাচারে এলাকার সাধারণ আওয়ামী লীগের কর্মী এমনকি মাঠ পর্যায়ের নেতারাও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। অভিযোগ রয়েছে তারা দুই ভাই এলাকার আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের উপরও বিভিন্ন সময়ে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছেন। তাদের দুই ভাইয়ের কারণে আওয়ামী লীগের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এমপি আফজাল হোসেন বলেন, আমি মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে একটি মিটিংয়ে আছি। ১ ঘণ্টা পরে এ বিষয়ে কথা বলতে পারব।

আরও খবর
একনেকে ৪ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯ প্রকল্প অনুমোদন
আগামী জুনে পদ্মা সেতু ডিসেম্বরে মেট্রোরেল উদ্বোধন
চার জেলায় প্রাণ গেল ৭ জনের
ভোট সংশ্লিষ্ট তথ্য জানা যাবে এসএমএসে
অ্যাসকড সম্মেলন শুরু
চার শিল্পপতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ক্যানসার আক্রান্ত শিশুর অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন
শিল্পকলায় বহুবচনের ‘প্রেম বড় কবিরাজ’ মঞ্চায়ন আজ
আজ সিনেমাটোগ্রাফির ওপর কর্মশালা
মুক্তিপণ নিয়ে ৪ পুলিশসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ
আড়ং কর্মীর কাছে চেঞ্জরুমের ৩৭টি গোপন ভিডিও
না’গঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ আজ
কাপ্তাই ভাইস চেয়ারম্যানের ৩ বছর কারাদণ্ড

বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০ , ১৫ মাঘ ১৪২৬, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪১

কিশোরগঞ্জ-৫

আ’লীগ এমপি আফজাল হোসেনের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবজাল সু’র মালিক আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর ও নিকলি উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ ৫ আসনের এমপি আবজাল ও তার ভাই বাজিতপুর পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফের বিরুদ্ধে খাল ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের জায়গা দখলসহ বিভিন্নভাবে অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ বেশ পুরোনো। অভিযোগের পেক্ষিতে গতকাল দুর্নীতি দমন কশিশন এমপি আফজালের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনুসন্ধানের জন্য দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেত্বাধীন টিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, আফজাল সু’র মালিক আবজাল হোসেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারি খাল, জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণসহ নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগের পেক্ষিতে এ বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দিয়ে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অনুসন্ধান টিম নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে আফজাল হোসেনের সম্পদের হিসেব চাইবে। এর মধ্যে অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে।

দুদক সূত্র জানায়, এমপি আফজালের কিশোরগঞ্জ ও ঢাকায় একাধিক জায়গায় অবৈধ সম্পদ থাকার তথ্য রয়েছে দুদকের কাছে। সম্পদ ছাড়াও বিপুল পরিমান অথৈর মালিক হয়েছেন এমপি আফজাল। তার এসব অর্থ সম্পদ অর্জনের উৎস সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া হবে।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবজাল হোসেন ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে কিশোরগঞ্জ- ৫ (বাজিতপুর নিকলী) থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর থেকে টানা ৩ দফা তিনি কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের এমপি হিসেবে আছেন। এমপি হওয়ার পর নিজের ভাইকে ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন আশরাফকে বাজিতপুর পৌরসভার মেয়র বানান। তিনি এমপি হলেও মূলত তার নির্বাচনী এলাকা নিয়ন্ত্রন করেন তার ভাই মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফ। ক্ষমতায় আসার পর বাজিতপুরের একটি খাল ভরাট করে এমপি আফজালের নামে বিশাল মার্কেট নিমাণ করা হয়। এছাড়া সরকারি জায়গায় মুক্তিযোদ্ধাদের জণ্য মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের জন্য বরাদ্ধ দেয়া হলেও ওই জায়গা এমপি আফজালও তার ভাই মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফ দখল করে নেন। সেখানেও তারা মার্কেট নির্মাণ করেন। এলাকায় সরকারি জায়গা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যক্তির জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে এমপি আফজালও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এলাকার মানুষ দুই ভাইয়ের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন। বিভিন্ন ব্যক্তির উপর হামলা নির্যতনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

সূত্র জানায়, এমপি আফজালের চেয়ে তার ভাই মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফ এলাকায় বেপরোয়া। আফজাল এমপি হওয়ার পর সরকারি জায়গা দখল শুরু করেন আর তার ভাই মেয়র হওয়ার পর এ কাজে তাকে পূর্ণ সেল্টার দিতে থাকেন। দুই ভাইয়ের অত্যাচারে এলাকার সাধারণ আওয়ামী লীগের কর্মী এমনকি মাঠ পর্যায়ের নেতারাও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। অভিযোগ রয়েছে তারা দুই ভাই এলাকার আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের উপরও বিভিন্ন সময়ে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছেন। তাদের দুই ভাইয়ের কারণে আওয়ামী লীগের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এমপি আফজাল হোসেন বলেন, আমি মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে একটি মিটিংয়ে আছি। ১ ঘণ্টা পরে এ বিষয়ে কথা বলতে পারব।