দুই সিটির ৬৪ শতাংশ ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই হাজার ৪৮৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে এক হাজার ৫৯৭টি ভোটকেন্দ্রকেই গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর সিটিতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৮৭৬টি, দক্ষিণে ৭২১টি। বাকি ৮৯১টি কেন্দ্র সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে গণ্য হবে। সব মিলিয়ে দুই সিটির মোট ভোটকেন্দ্রের ৬৪ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোর প্রতিটিতে ছয়জন করে সশস্ত্র পুলিশ (একজন উপপরিদর্শক এবং পাঁচ জন সহকারী উপপরিদর্শক ও কনস্টেবল), দুই জনকরে অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার এবং ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার ও ভিডিপি সদস্য (চার জন নারী, ছয় জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে। অন্যদিকে, সাধারণ ভোটকেন্দ্রগুলোর প্রতিটিতে চারজন সশস্ত্র পুলিশ (একজন উপপরিদর্শক বা সহকারী উপপরিদর্শক ও তিন জন কনস্টেবল), দুইজন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার, ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার ও ভিডিপি সদস্য (চার জন নারী, ছয়জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে তেজগাঁও থানার ৪০টি কেন্দ্রের সবগুলো, মোহাম্মদপুর থানার ৭২টি কেন্দ্রের সবগুলো, হাজারীবাগ থানার ১৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪টি, রামপুরা থানার ৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৭টি, শেরেবাংলার ৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৭টি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ৩৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৪টি, আদাবর থানার ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি ও হাতিরঝিলের ৬৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৩টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।

মিরপুরের ১২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২১টি, পল্লবীর ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৮টি, কাফরুলের ৯০টি কেন্দ্রের সবগুলো, শ্যামলীর ৪১টি কেন্দ্রের মধ্যে ২২টি, দারুসসালামের ৫৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টি ও রূপনগরের ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ২০টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।

গুলশানের ২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২১টি, বনানীর ৪৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪২টি, বাড্ডার ৮৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টি, ভাটারার ৬৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬০টি, খিলক্ষেতের ২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি ও ক্যান্টনমেন্টের ১২টি কেন্দ্রের মধ্যে দুটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।

উত্তরা পূর্ব থানার ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি, উত্তরা পশ্চিম থানার ২৬টি কেন্দ্রের সবগুলো, বিমানবন্দর থানার ১০টি কেন্দ্রের সবগুলো, তুরাগ থানার ৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি, দক্ষিণখান থানার ৬২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬০টি ও উত্তরখান থানার ২৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০ , ১৬ মাঘ ১৪২৬, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪১

দুই সিটির ৬৪ শতাংশ ভোটকেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই হাজার ৪৮৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে এক হাজার ৫৯৭টি ভোটকেন্দ্রকেই গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তর সিটিতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৮৭৬টি, দক্ষিণে ৭২১টি। বাকি ৮৯১টি কেন্দ্র সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে গণ্য হবে। সব মিলিয়ে দুই সিটির মোট ভোটকেন্দ্রের ৬৪ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোর প্রতিটিতে ছয়জন করে সশস্ত্র পুলিশ (একজন উপপরিদর্শক এবং পাঁচ জন সহকারী উপপরিদর্শক ও কনস্টেবল), দুই জনকরে অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার এবং ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার ও ভিডিপি সদস্য (চার জন নারী, ছয় জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে। অন্যদিকে, সাধারণ ভোটকেন্দ্রগুলোর প্রতিটিতে চারজন সশস্ত্র পুলিশ (একজন উপপরিদর্শক বা সহকারী উপপরিদর্শক ও তিন জন কনস্টেবল), দুইজন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার, ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার ও ভিডিপি সদস্য (চার জন নারী, ছয়জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে তেজগাঁও থানার ৪০টি কেন্দ্রের সবগুলো, মোহাম্মদপুর থানার ৭২টি কেন্দ্রের সবগুলো, হাজারীবাগ থানার ১৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪টি, রামপুরা থানার ৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৭টি, শেরেবাংলার ৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৭টি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ৩৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৪টি, আদাবর থানার ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি ও হাতিরঝিলের ৬৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৩টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।

মিরপুরের ১২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২১টি, পল্লবীর ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৮টি, কাফরুলের ৯০টি কেন্দ্রের সবগুলো, শ্যামলীর ৪১টি কেন্দ্রের মধ্যে ২২টি, দারুসসালামের ৫৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টি ও রূপনগরের ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ২০টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।

গুলশানের ২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২১টি, বনানীর ৪৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪২টি, বাড্ডার ৮৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টি, ভাটারার ৬৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬০টি, খিলক্ষেতের ২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি ও ক্যান্টনমেন্টের ১২টি কেন্দ্রের মধ্যে দুটি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।

উত্তরা পূর্ব থানার ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি, উত্তরা পশ্চিম থানার ২৬টি কেন্দ্রের সবগুলো, বিমানবন্দর থানার ১০টি কেন্দ্রের সবগুলো, তুরাগ থানার ৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি, দক্ষিণখান থানার ৬২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬০টি ও উত্তরখান থানার ২৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।