মজিববর্ষের আর বাকি ৪৬ দিন। গতকাল স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদ থেকে পৃথক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে; যার মধ্যে বিশেষ অধিবেশন অন্যতম। আগামী ২২ ও ২৩ মার্চ এ বিশেষ অধিবেশন আয়োজন করা হচ্ছে। একজন বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্বকে বিশেষ অধিবেশনে বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। বিশেষ অধিবেশনে দক্ষিণ এশিয়ার স্পিকারসহ বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। গতকাল জাতীয় সংসদের শপথকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।

সভায় সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। তিনি স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে মুজিববর্ষ উদযাপনের কর্মপরিকল্পনা অবহিত করেন। এ সময় তিনি বর্ষব্যাপী মুজিববর্ষ অনুষ্ঠানমালার অনুষ্ঠান সূচি হস্তান্তর করেন। সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।

১৯ মার্চ সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শিশুমেলা : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ১৯ মার্চ শিশুমেলা আয়োজন করা হচ্ছে; যেখান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাতীয় সংসদের বর্ষব্যাপী কর্মপরিকল্পনার শুভ উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর আলোকচিত্র নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন’ স্থাপন এবং ১-৫ ডিসেম্বর ‘মুজিবমঞ্চ’ স্থাপন করা হবে। মুজিবমঞ্চের পাশেই আয়োজন করা হচ্ছে বিজয়মেলা। এ সময় স্পিকার জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এবং জাতীয় সংসদের গৃহীত কর্মপরিকল্পনা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।