শরিয়ত বয়াতির জামিন নামঞ্জুর

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় টাঙ্গাইলে গ্রেফতারকৃত বয়াতি শরিয়ত সরকারের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী তার জামনি নামঞ্জুর করনে।

আসামি শরিয়ত সরকারের পক্ষে টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান হুমায়ুন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এস আকবর খান জামিনের বিরোধিতা করেন। এ সময় বাদিপক্ষের কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। টাঙ্গাইলের পিপি এস আকবর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য, বয়াতী শরিয়ত সরকার গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন রোহাট্রেক এলাকায় পালা গানের একটি অনুষ্ঠানে মহানবী, মসজিদের ঈমাম ও ইসলামের নানা বিষয়ে আপত্তিকর বক্তব্য করেন বলে অভিযোগ উঠে। গত ৯ জানুয়ারি শরিয়ত বয়াতির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মির্জাপুর উপজেলার আগধল্যা গ্রামের মাওলানা ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে গত শনিবার ১১ জানুয়ারি ভোরে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার বাশিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাকৃত বয়াতী শরিয়ত সরকার মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের আগধল্যা গ্রামের পবন মিয়ার ছেলে। পরে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক ৩ দিনের রিমা- মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ১৪ জানুয়ারি তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০ , ১৬ মাঘ ১৪২৬, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪১

শরিয়ত বয়াতির জামিন নামঞ্জুর

জেলা বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় টাঙ্গাইলে গ্রেফতারকৃত বয়াতি শরিয়ত সরকারের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী তার জামনি নামঞ্জুর করনে।

আসামি শরিয়ত সরকারের পক্ষে টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান হুমায়ুন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এস আকবর খান জামিনের বিরোধিতা করেন। এ সময় বাদিপক্ষের কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। টাঙ্গাইলের পিপি এস আকবর খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য, বয়াতী শরিয়ত সরকার গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন রোহাট্রেক এলাকায় পালা গানের একটি অনুষ্ঠানে মহানবী, মসজিদের ঈমাম ও ইসলামের নানা বিষয়ে আপত্তিকর বক্তব্য করেন বলে অভিযোগ উঠে। গত ৯ জানুয়ারি শরিয়ত বয়াতির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মির্জাপুর উপজেলার আগধল্যা গ্রামের মাওলানা ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে গত শনিবার ১১ জানুয়ারি ভোরে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার বাশিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাকৃত বয়াতী শরিয়ত সরকার মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের আগধল্যা গ্রামের পবন মিয়ার ছেলে। পরে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক ৩ দিনের রিমা- মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ১৪ জানুয়ারি তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।