উৎসবমুখর পরিবেশ শঙ্কাও কাটছে না

আ’লীগ বিএনপি পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ

সিটি ভোটের জন্য প্রস্তুত ঢাকা। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে দুই সিটির প্রচারণা গতকাল শেষ হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণে প্রায় সাড়ে ৭শ’ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর টানা তিন সপ্তাহের প্রচারণায় সরগরম ঢাকা শুক্রবার থেকে নিরব। অপেক্ষায় দুই সিটির অর্ধকোটিরও বেশি ভোটার। আগামীকাল ভোট। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ভোটকেন্দ্রে সহিংসতার আভাস দেয়ায় শঙ্কিত নগরবাসী।

এবারই প্রথম দুই সিটির অর্ধ কোটিরও বেশি ভোটার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনের সুযোগ পাবেন। দলীয় প্রতীকে মেয়র পদে ১৩ জন, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রায় সাড়ে ৭শ’ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবার ভোটের লড়াইয়ে থাকলেও সারাদেশের মানুষের আগ্রহ নৌকা আর ধানের শীষকে ঘিরে। নির্বাচনে সুষ্ঠ পরিবেশের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মেয়র পদে দলীয় প্রতীকের এই নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি। তবে আওয়ামী লীগ বিএনপির দিকে পাল্টা অভিযোগের তীর ছুড়েছে।

এদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকায় এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আলোচনায় থাকা চার মেয়র প্রার্থীসহ অন্যরা নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের প্রচারণা শেষ করেছেন। দুইজন মেয়র এবং ১৬৮ জন কাউন্সিলর-সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শেষ করেছেন ভোটাররা। নগরবাসী ও পর্যবেক্ষকরা আশা করছেন একটি সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।

আগামীকাল ঢাকা উত্তর (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ (ডিএসসিসি) সিটি করপোরেশনের সবগুলো ইভিএম মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। দুই সিটিতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২ হাজার ৪৬৮টি কেন্দ্রে একটানা ভোট চলবে। নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য ৫০ হাজার কর্মকর্তা থাকবেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত থাকবে আরও ৫০ হাজার সদস্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক পরিপত্রে জানানো হয়েছে, ঢাকার দুই সিটিতে মোট প্রিজাইডিং অফিসার থাকবেন ২ হাজার ৪৬৮ জন, সহকারী প্রিজাইডিং থাকবেন ১৪ হাজার ৪৩৪ জন পোলিং অফিসার থাকবেন ২৮ হাজার ৮৬৮ জন। এছাড়া কারিগরি সহায়তায় ৪ হাজার ৯৩৬ জন (সেনাবাহিনী) নিয়োজিত থাকবে। সব মিলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা থাকবেন ৫০ হাজার ৭০৬ জন। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের মোবাইল টিমে ১২৯০ জন, পুলিশ স্ট্রাইকিং ৪৩০ জন, পুলিশ রিজার্ভ ৫২০ জন, র‌্যাব ১৪৩০ জন, বিজিবি ২২৫০ এবং ৪১ হাজার ৯৫৬ জন ভোটকেন্দ্রে ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত তিন দিন মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে।

সুষ্ঠ নির্বাচনের শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ঢাকার নির্বাচনে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আগের মতো একতরফা নির্বাচন করতে চলেছে। ঢাকার বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের স্বভাবসুলভ মিথ্যাচার, অপপ্রচার, বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে যাচ্ছে। এসবের মধ্য দিয়ে তারা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট এবং ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তার দলের কর্মীরা সাংগঠনিকভাবে কেন্দ্র পাহারায় থাকবে।

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেছেন, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে আমার মতবিনিময় হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। কোন ধরনের নির্বাচনী সহিংসতা গণতন্ত্র চর্চার অংশ নয়।

ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়, আমরা ঢাকার জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক সিটি করপোরেশন নির্বাচন কামনা করছি। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হাতে হাত রেখে চলে। পোস্টে ঢাকা শহরের একটি ছবিও দেয়া হয়েছে

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা আশা করি ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও নির্বাচন কমিশনকে আমি অনুরোধ করবো, তারা যেন কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আমি কিছুটা হলেও শঙ্কিত। আমরা এটাও খবর পেয়েছি ১৭০টি ভোটকেন্দ্র দখলের পায়তারা ও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাপস গতকাল গোপীবাগে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার শেষ প্রচারণা চালিয়েছেন।

উত্তরে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেছেন, সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ভোটের দিনটি কেমন যাবে তা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে ১০৪টি অভিযোগ জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা ছাড়াই সেগুলো নিষ্পত্তি করা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার জায়গাগুলো এখনও রয়েছে। আশা করি নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। প্রচারনার শেষ দিনে তাবিথ প্রেসক্লাব ও ডিআরইউতে সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এছাড়া উত্তরের কয়েকটি এলাকায় তিনি গণসংযোগও করেছেন।

উত্তরে নৌকার প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেছেন, একটি গোষ্ঠী বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে ভোট বানচাল করার অপচেষ্টা করছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে চাই। গত ২০ দিন ঢাকা উত্তরের ৫৪টি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরেছি। বেশির ভাগ জায়গায় গিয়েছি। নির্বাচনে জয়ী হলে প্রতিটি এলাকার সমস্যা ধরে ধরে সমাধান করব। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল প্রচারণার শেষ দিনে ভাসানটেকর বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান। রাতে তিনি ফেসবুক লাইভে নগরবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।

দক্ষিণে ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেন গতকাল গোপীবাগ এলাকায় প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি বলেন, আমরা শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকবো। আমরা কোন কিছুতে ভয় পাই না। ইসিতে অভিযোগ দিচ্ছি কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না। আপনারা (ভোটাররা) ভোটকেন্দ্রে যাবেন। নির্ভয়ে ভোট দিবেন। গণতন্ত্রের বিজয় হবেই।

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০ , ১৭ মাঘ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

কাল ভোট

উৎসবমুখর পরিবেশ শঙ্কাও কাটছে না

আ’লীগ বিএনপি পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

সিটি ভোটের জন্য প্রস্তুত ঢাকা। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে দুই সিটির প্রচারণা গতকাল শেষ হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণে প্রায় সাড়ে ৭শ’ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর টানা তিন সপ্তাহের প্রচারণায় সরগরম ঢাকা শুক্রবার থেকে নিরব। অপেক্ষায় দুই সিটির অর্ধকোটিরও বেশি ভোটার। আগামীকাল ভোট। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ভোটকেন্দ্রে সহিংসতার আভাস দেয়ায় শঙ্কিত নগরবাসী।

এবারই প্রথম দুই সিটির অর্ধ কোটিরও বেশি ভোটার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনের সুযোগ পাবেন। দলীয় প্রতীকে মেয়র পদে ১৩ জন, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রায় সাড়ে ৭শ’ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবার ভোটের লড়াইয়ে থাকলেও সারাদেশের মানুষের আগ্রহ নৌকা আর ধানের শীষকে ঘিরে। নির্বাচনে সুষ্ঠ পরিবেশের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মেয়র পদে দলীয় প্রতীকের এই নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিএনপি। তবে আওয়ামী লীগ বিএনপির দিকে পাল্টা অভিযোগের তীর ছুড়েছে।

এদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকায় এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আলোচনায় থাকা চার মেয়র প্রার্থীসহ অন্যরা নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের প্রচারণা শেষ করেছেন। দুইজন মেয়র এবং ১৬৮ জন কাউন্সিলর-সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শেষ করেছেন ভোটাররা। নগরবাসী ও পর্যবেক্ষকরা আশা করছেন একটি সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।

আগামীকাল ঢাকা উত্তর (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ (ডিএসসিসি) সিটি করপোরেশনের সবগুলো ইভিএম মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। দুই সিটিতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২ হাজার ৪৬৮টি কেন্দ্রে একটানা ভোট চলবে। নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য ৫০ হাজার কর্মকর্তা থাকবেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত থাকবে আরও ৫০ হাজার সদস্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক পরিপত্রে জানানো হয়েছে, ঢাকার দুই সিটিতে মোট প্রিজাইডিং অফিসার থাকবেন ২ হাজার ৪৬৮ জন, সহকারী প্রিজাইডিং থাকবেন ১৪ হাজার ৪৩৪ জন পোলিং অফিসার থাকবেন ২৮ হাজার ৮৬৮ জন। এছাড়া কারিগরি সহায়তায় ৪ হাজার ৯৩৬ জন (সেনাবাহিনী) নিয়োজিত থাকবে। সব মিলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা থাকবেন ৫০ হাজার ৭০৬ জন। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের মোবাইল টিমে ১২৯০ জন, পুলিশ স্ট্রাইকিং ৪৩০ জন, পুলিশ রিজার্ভ ৫২০ জন, র‌্যাব ১৪৩০ জন, বিজিবি ২২৫০ এবং ৪১ হাজার ৯৫৬ জন ভোটকেন্দ্রে ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত তিন দিন মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে।

সুষ্ঠ নির্বাচনের শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ঢাকার নির্বাচনে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। আগের মতো একতরফা নির্বাচন করতে চলেছে। ঢাকার বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের স্বভাবসুলভ মিথ্যাচার, অপপ্রচার, বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করে যাচ্ছে। এসবের মধ্য দিয়ে তারা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট এবং ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তার দলের কর্মীরা সাংগঠনিকভাবে কেন্দ্র পাহারায় থাকবে।

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেছেন, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে আমার মতবিনিময় হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি। কোন ধরনের নির্বাচনী সহিংসতা গণতন্ত্র চর্চার অংশ নয়।

ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়, আমরা ঢাকার জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক সিটি করপোরেশন নির্বাচন কামনা করছি। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হাতে হাত রেখে চলে। পোস্টে ঢাকা শহরের একটি ছবিও দেয়া হয়েছে

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা আশা করি ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও নির্বাচন কমিশনকে আমি অনুরোধ করবো, তারা যেন কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আমি কিছুটা হলেও শঙ্কিত। আমরা এটাও খবর পেয়েছি ১৭০টি ভোটকেন্দ্র দখলের পায়তারা ও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাপস গতকাল গোপীবাগে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এদিন তিনি পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার শেষ প্রচারণা চালিয়েছেন।

উত্তরে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেছেন, সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ভোটের দিনটি কেমন যাবে তা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে ১০৪টি অভিযোগ জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা ছাড়াই সেগুলো নিষ্পত্তি করা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার জায়গাগুলো এখনও রয়েছে। আশা করি নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। প্রচারনার শেষ দিনে তাবিথ প্রেসক্লাব ও ডিআরইউতে সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এছাড়া উত্তরের কয়েকটি এলাকায় তিনি গণসংযোগও করেছেন।

উত্তরে নৌকার প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেছেন, একটি গোষ্ঠী বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে ভোট বানচাল করার অপচেষ্টা করছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে চাই। গত ২০ দিন ঢাকা উত্তরের ৫৪টি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরেছি। বেশির ভাগ জায়গায় গিয়েছি। নির্বাচনে জয়ী হলে প্রতিটি এলাকার সমস্যা ধরে ধরে সমাধান করব। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল প্রচারণার শেষ দিনে ভাসানটেকর বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালান। রাতে তিনি ফেসবুক লাইভে নগরবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।

দক্ষিণে ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেন গতকাল গোপীবাগ এলাকায় প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি বলেন, আমরা শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকবো। আমরা কোন কিছুতে ভয় পাই না। ইসিতে অভিযোগ দিচ্ছি কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না। আপনারা (ভোটাররা) ভোটকেন্দ্রে যাবেন। নির্ভয়ে ভোট দিবেন। গণতন্ত্রের বিজয় হবেই।