অস্ত্রধারী ধরতে তল্লাশি

বহিরাগতদের ঢাকা ত্যাগের নির্দেশ

রাজধানীতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। সন্দেহভাজনদের ধরতে গোয়েন্দা পুলিশ ও র‌্যাবসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আবাসিক হোটেল, বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছে।

গত বুধবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ অস্ত্র ও গুলিসহ এক অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে লালবাগ এলাকা থেকে আরও এক অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের প্রচারণার জন্য বাইরে থেকে ঢাকায় এসেছে তাদের শহর ত্যাগ করার জন্য বলেছেন র?্যাব মহাপরিচালক (ডিজি)। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীর ক্যাম্পেইন করার জন্য যারা ঢাকার বাইরে থেকে এসেছে তাদের থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ, এবার আপনারা চলে যান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় কোন লোকের অপতৎপরতা আমরা চাই না। প্রচারণা শেষে যদি কেউ থেকেও যান, আশা করব, আপনি যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। তবে যারা জেনুইন ভোটার তাদের চলাফেরা ও ভোটদানে সহযোগিতা করবেন। কোন ঝামেলা করবেন না, কোথাও জড়ো হবেন না। ইটস আওয়ার ইনস্ট্রাকশন (এটা আমাদের নির্দেশনা)।’

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র?্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। কাল ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে র?্যাবের পক্ষ থেকে নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

র?্যাব মহাপরিচালক বলেন, যেসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে সেদিকে র?্যাবের বাড়তি নজর থাকবে। তবে আমরা? আগে থেকেই কিছু করতে চাচ্ছি না। কারণ অপব্যাখ্যা হতে পারে। দেশের ভোটার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভোটদান ও গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ। আমি মনে করি না, কেউ নির্বাচনকেন্দ্রিক অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করবেন। এরপরেও যদি কেউ করার চেষ্টা করেন তাহলে দেশে যে প্রচলিত আইনে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

তিনি বলেন, ভোটের দিন শান্তিপূর্ণ রাখার চেষ্টা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। যাতে করে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটতে পারে। আমরা সবার সহযোগিতা চাই, সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঢাকার বাইরের কেউ ঢাকায় অবস্থান করলে তাদেরকে জেলে পাঠাব এমন নয়। প্রত্যেকটা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে, জেল জুলুমের ভীতি আমরা দেখাতে চাই না। শহরে যারা জেনুইন ভোটার তারা সহজে শান্তিপূর্ণভাবে ও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে এবং নিরাপদ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। মূলত, শৃঙ্খলা রক্ষা করাই হচ্ছে আমাদের আহ্বানের মূল লক্ষ্য। তবে যদি কেউ জেলে পাঠানোর মতো কাজ করেন, তাহলে তো জেলেই যাবেন।

নির্বাচনের দিন নিরাপত্তা নিয়ে কোন শঙ্কা রয়েছে কি না- প্রশ্নে তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা বিচ্ছিন্ন ছাড়া কিছুই না। তুচ্ছ ঘটনাকে বড় করে দেখার কিছু নাই আবার এটাও ঠিক, তুচ্ছ ঘটনাকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। যদি আইনবিরোধী কোন কর্মকা- ঘটে তাহলে সংক্ষুব্ধ হয়ে যে কোন প্রার্থী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে কমপ্লেন করতে পারেন কিংবা থানায় অভিযোগ করতে পারেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বাইরে থেকে বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী ঢাকায় এনেছেন। এ বিষয়ে র?্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমি রাজনৈতিক বক্তব্যের বিষয়ে কোন মন্তব্য করব না। তবে আমি বলব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় কোন লোকের অপতৎপরতা চাই না’। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সহিংসতার আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওনারা আশঙ্কা করতে থাকুক, আর আমরা নির্বাচন করি অসুবিধা নাই।

প্রতিটি কেন্দ্রে র?্যাবের একজন অফিসারের নেতৃত্বে পেট্রলিং থাকবে। ঢাকায় পাঁচটি ব্যাটালিয়ন রয়েছে, স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। কমান্ড বাহিনী ছাড়াও হেলিকপ্টার, বোম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড মোতায়েন থাকবে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ৫৬ ঘণ্টা র?্যাব সদস্যরা মাঠে থাকবেন।

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০ , ১৭ মাঘ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

নির্বাচনী পরিবেশ নিরাপদ রাখতে

অস্ত্রধারী ধরতে তল্লাশি

বহিরাগতদের ঢাকা ত্যাগের নির্দেশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রাজধানীতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। সন্দেহভাজনদের ধরতে গোয়েন্দা পুলিশ ও র‌্যাবসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আবাসিক হোটেল, বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছে।

গত বুধবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ অস্ত্র ও গুলিসহ এক অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে লালবাগ এলাকা থেকে আরও এক অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের প্রচারণার জন্য বাইরে থেকে ঢাকায় এসেছে তাদের শহর ত্যাগ করার জন্য বলেছেন র?্যাব মহাপরিচালক (ডিজি)। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীর ক্যাম্পেইন করার জন্য যারা ঢাকার বাইরে থেকে এসেছে তাদের থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ, এবার আপনারা চলে যান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় কোন লোকের অপতৎপরতা আমরা চাই না। প্রচারণা শেষে যদি কেউ থেকেও যান, আশা করব, আপনি যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। তবে যারা জেনুইন ভোটার তাদের চলাফেরা ও ভোটদানে সহযোগিতা করবেন। কোন ঝামেলা করবেন না, কোথাও জড়ো হবেন না। ইটস আওয়ার ইনস্ট্রাকশন (এটা আমাদের নির্দেশনা)।’

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র?্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। কাল ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে র?্যাবের পক্ষ থেকে নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

র?্যাব মহাপরিচালক বলেন, যেসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে সেদিকে র?্যাবের বাড়তি নজর থাকবে। তবে আমরা? আগে থেকেই কিছু করতে চাচ্ছি না। কারণ অপব্যাখ্যা হতে পারে। দেশের ভোটার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভোটদান ও গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ। আমি মনে করি না, কেউ নির্বাচনকেন্দ্রিক অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করবেন। এরপরেও যদি কেউ করার চেষ্টা করেন তাহলে দেশে যে প্রচলিত আইনে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

তিনি বলেন, ভোটের দিন শান্তিপূর্ণ রাখার চেষ্টা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। যাতে করে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটতে পারে। আমরা সবার সহযোগিতা চাই, সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঢাকার বাইরের কেউ ঢাকায় অবস্থান করলে তাদেরকে জেলে পাঠাব এমন নয়। প্রত্যেকটা মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে, জেল জুলুমের ভীতি আমরা দেখাতে চাই না। শহরে যারা জেনুইন ভোটার তারা সহজে শান্তিপূর্ণভাবে ও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারে এবং নিরাপদ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। মূলত, শৃঙ্খলা রক্ষা করাই হচ্ছে আমাদের আহ্বানের মূল লক্ষ্য। তবে যদি কেউ জেলে পাঠানোর মতো কাজ করেন, তাহলে তো জেলেই যাবেন।

নির্বাচনের দিন নিরাপত্তা নিয়ে কোন শঙ্কা রয়েছে কি না- প্রশ্নে তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা বিচ্ছিন্ন ছাড়া কিছুই না। তুচ্ছ ঘটনাকে বড় করে দেখার কিছু নাই আবার এটাও ঠিক, তুচ্ছ ঘটনাকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। যদি আইনবিরোধী কোন কর্মকা- ঘটে তাহলে সংক্ষুব্ধ হয়ে যে কোন প্রার্থী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে কমপ্লেন করতে পারেন কিংবা থানায় অভিযোগ করতে পারেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বাইরে থেকে বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী ঢাকায় এনেছেন। এ বিষয়ে র?্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমি রাজনৈতিক বক্তব্যের বিষয়ে কোন মন্তব্য করব না। তবে আমি বলব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় কোন লোকের অপতৎপরতা চাই না’। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সহিংসতার আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওনারা আশঙ্কা করতে থাকুক, আর আমরা নির্বাচন করি অসুবিধা নাই।

প্রতিটি কেন্দ্রে র?্যাবের একজন অফিসারের নেতৃত্বে পেট্রলিং থাকবে। ঢাকায় পাঁচটি ব্যাটালিয়ন রয়েছে, স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। কমান্ড বাহিনী ছাড়াও হেলিকপ্টার, বোম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড মোতায়েন থাকবে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ৫৬ ঘণ্টা র?্যাব সদস্যরা মাঠে থাকবেন।