আরও বড় পরিসরে এবারের বইমেলা

সোহরাওয়ার্দীতে প্রথম লিটল ম্যাপ চত্বর

এবারের বইমেলায় ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানের ৮৭৩টি ইউনিট বরাদ্দ থাকবে। পাশাপাশি ৩৩টি প্রকাশনা সংস্থার ৩৪টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় বাংলা একাডেমি। একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ এ খবর জানান। এ সময় একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মেলার পৃষ্ঠপোষক বিকাশ লিমিটেডের সিএমও মীর নওবত আলী, ক্রসওয়ার্ক কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ মারুফ উপস্থিত ছিলেন।

জালাল আহমেদ বলেন, এবারের মেলায় সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থাগুলো থাকবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে। যেখানে ৪৩৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৮টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি অংশে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা সংস্থাকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, এবারই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লিটল ম্যাগ চত্বর রয়েছে। সেখানে একই স্থানে শিশু চত্বর তৈরি করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন শিশু প্রহর ঘোষণা হবে। সে সঙ্গে এবারের মেলায় বাংলা একাডেমিসহ অংশগ্রহণকারী সব প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। এবারের মেলায় প্রবেশের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ছয়টি পথ থাকবে। সে সঙ্গে থাকছে লেখক বলছি, গ্রন্থ উন্মোচনের আয়োজন।

হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেছেন, এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলাজুড়ে উদ্ভাসিত হবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের চেতনা, স্বপ্ন ও আগামী দিনের কার্যক্রম প্রতিভাত করতে এবারের মেলা উৎসর্গ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে। এবারের মেলায় বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত ২৫টি গ্রন্থ নিয়ে মাসজুড়ে আলোচনা করা হবে। সে সঙ্গে ২ ফেব্রুয়ারি মেলার উদ্বোধনী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় গ্রন্থ ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন। যার প্রকাশক বাংলা একাডেমি।

তিনি বলেন, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলা একাডেমি। যার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী রয়েছে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ওপর নানা বিষয়ে একশ’ গ্রন্থ প্রকাশ করবে বাংলা একাডেমি। গত বছর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এক হাজার পুলিশ সদস্য। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় হাজারে। সে সঙ্গে আনসার সদস্যের সংখ্যাও বেড়েছে। মেলা শেষ হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি।

image

বইমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন-সংবাদ

আরও খবর
সরকার চায় মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী
গ্যাসের ব্যবহার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণে
মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রকাশিত হবে বিশেষ স্মারকগ্রন্থ
শ্রুতির ‘রনজিত পুরস্কার’ পেলেন সলিমুল্লাহ খান
আগামী পাঁচ বছরে এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে : অর্থমন্ত্রী
বিএনপি প্রতিটি কেন্দ্রে ভাড়াটে সন্ত্রাসী রাখবে
‘আমার বিরুদ্ধে লিখে কিছু হবে না, আমি প্রধান প্রকৌশলীর লোক’
নুসরাত হত্যা পেপারবুক মুদ্রণ
জিয়া রাজনীতিবিদদের কেনাবেচার হাট বসিয়েছিলেন
দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতায় একসঙ্গে কাজ করবে দুদক ও অক্সফাম
সরস্বতী পূজা উদযাপন
স্কুলছাত্রী জেরিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন
বন্দুকযুদ্ধে গামছা পার্টির ২ সদস্য নিহত

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০ , ১৭ মাঘ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

আরও বড় পরিসরে এবারের বইমেলা

সোহরাওয়ার্দীতে প্রথম লিটল ম্যাপ চত্বর

সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক |

image

বইমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন-সংবাদ

এবারের বইমেলায় ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানের ৮৭৩টি ইউনিট বরাদ্দ থাকবে। পাশাপাশি ৩৩টি প্রকাশনা সংস্থার ৩৪টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় বাংলা একাডেমি। একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ এ খবর জানান। এ সময় একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মেলার পৃষ্ঠপোষক বিকাশ লিমিটেডের সিএমও মীর নওবত আলী, ক্রসওয়ার্ক কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএ মারুফ উপস্থিত ছিলেন।

জালাল আহমেদ বলেন, এবারের মেলায় সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থাগুলো থাকবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে। যেখানে ৪৩৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৮টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি অংশে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা সংস্থাকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, এবারই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লিটল ম্যাগ চত্বর রয়েছে। সেখানে একই স্থানে শিশু চত্বর তৈরি করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন শিশু প্রহর ঘোষণা হবে। সে সঙ্গে এবারের মেলায় বাংলা একাডেমিসহ অংশগ্রহণকারী সব প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। এবারের মেলায় প্রবেশের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ছয়টি পথ থাকবে। সে সঙ্গে থাকছে লেখক বলছি, গ্রন্থ উন্মোচনের আয়োজন।

হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেছেন, এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলাজুড়ে উদ্ভাসিত হবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের চেতনা, স্বপ্ন ও আগামী দিনের কার্যক্রম প্রতিভাত করতে এবারের মেলা উৎসর্গ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে। এবারের মেলায় বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত ২৫টি গ্রন্থ নিয়ে মাসজুড়ে আলোচনা করা হবে। সে সঙ্গে ২ ফেব্রুয়ারি মেলার উদ্বোধনী দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় গ্রন্থ ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন। যার প্রকাশক বাংলা একাডেমি।

তিনি বলেন, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিন বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলা একাডেমি। যার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী রয়েছে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ওপর নানা বিষয়ে একশ’ গ্রন্থ প্রকাশ করবে বাংলা একাডেমি। গত বছর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এক হাজার পুলিশ সদস্য। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় হাজারে। সে সঙ্গে আনসার সদস্যের সংখ্যাও বেড়েছে। মেলা শেষ হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি।