নুসরাত হত্যা পেপারবুক মুদ্রণ

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- অনুমোদন) ও আপিল আবেদন শুনানির জন্য পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) ছাপানোর কাজ শেষ হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিবেন। গত ২৪ অক্টোবর অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ জনকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছিল।

হাইকোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. সাইফুর রহমান বলেন, পেপারবুক ছাপানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন পরবর্তী কাজ চলছে। পেপারবুক প্রস্তুতির পর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখনও হাইকোর্টের সেই বেঞ্চ নির্ধারণ করা হয়নি। কোর্ট নির্ধারণ করার পর বিস্তারিত জানতে পারবেন।

নুসরাত হত্যা মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুতের উদ্যোগ নিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট। এরপরই সব নথি বিজি প্রেসে পাঠানো হয়। ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ। আলোচিত সে রায়ে মামলার প্রধান আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিলের পাশাপাশি দ-িতদের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেন।

মৃত্যুদ- প্রাপ্তরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদদৌলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মো. রুহুল আমিন, ছাত্র নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম, পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মো. জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে শাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, শিক্ষক হাফেজ আবদুল কাদের, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, নুসরাতের সহপাঠী কামরুন নাহার মণি ও উম্মে সুলতানা পপি; আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মো. শামীম ও মহিউদ্দিন ওরফে শাকিল।

মৃত্যুদ-ের রায় অনুমোদনের জন্য মামলার নথি ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৩৭৪ ধারা মোতাবেক ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে পাঠান ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ। যা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নথিভুক্ত করা হয়। সিআরপিসির ৩৭৪ ধারায় বলা হয়েছে, দায়রা আদালত যখন মৃত্যুদ- ঘোষণা করেন, তখন হাইকোর্ট বিভাগের নিকট কার্যক্রম পেশ করতে হবে এবং হাইকোর্ট বিভাগ অনুমোদন না করা পর্যন্ত মৃত্যুদ- কার্যকর করা যাবে না।

আরও খবর
সরকার চায় মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী
গ্যাসের ব্যবহার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনকল্যাণে
আরও বড় পরিসরে এবারের বইমেলা
মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রকাশিত হবে বিশেষ স্মারকগ্রন্থ
শ্রুতির ‘রনজিত পুরস্কার’ পেলেন সলিমুল্লাহ খান
আগামী পাঁচ বছরে এক কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে : অর্থমন্ত্রী
বিএনপি প্রতিটি কেন্দ্রে ভাড়াটে সন্ত্রাসী রাখবে
‘আমার বিরুদ্ধে লিখে কিছু হবে না, আমি প্রধান প্রকৌশলীর লোক’
জিয়া রাজনীতিবিদদের কেনাবেচার হাট বসিয়েছিলেন
দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতায় একসঙ্গে কাজ করবে দুদক ও অক্সফাম
সরস্বতী পূজা উদযাপন
স্কুলছাত্রী জেরিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন
বন্দুকযুদ্ধে গামছা পার্টির ২ সদস্য নিহত

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০ , ১৭ মাঘ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

নুসরাত হত্যা পেপারবুক মুদ্রণ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- অনুমোদন) ও আপিল আবেদন শুনানির জন্য পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) ছাপানোর কাজ শেষ হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি একটি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দিবেন। গত ২৪ অক্টোবর অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ জনকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছিল।

হাইকোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. সাইফুর রহমান বলেন, পেপারবুক ছাপানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন পরবর্তী কাজ চলছে। পেপারবুক প্রস্তুতির পর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তবে এখনও হাইকোর্টের সেই বেঞ্চ নির্ধারণ করা হয়নি। কোর্ট নির্ধারণ করার পর বিস্তারিত জানতে পারবেন।

নুসরাত হত্যা মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুতের উদ্যোগ নিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট। এরপরই সব নথি বিজি প্রেসে পাঠানো হয়। ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর নুসরাত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ। আলোচিত সে রায়ে মামলার প্রধান আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে জেল আপিলের পাশাপাশি দ-িতদের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেন।

মৃত্যুদ- প্রাপ্তরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদদৌলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মো. রুহুল আমিন, ছাত্র নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম, পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মো. জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে শাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, শিক্ষক হাফেজ আবদুল কাদের, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, নুসরাতের সহপাঠী কামরুন নাহার মণি ও উম্মে সুলতানা পপি; আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মো. শামীম ও মহিউদ্দিন ওরফে শাকিল।

মৃত্যুদ-ের রায় অনুমোদনের জন্য মামলার নথি ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৩৭৪ ধারা মোতাবেক ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে পাঠান ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ। যা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নথিভুক্ত করা হয়। সিআরপিসির ৩৭৪ ধারায় বলা হয়েছে, দায়রা আদালত যখন মৃত্যুদ- ঘোষণা করেন, তখন হাইকোর্ট বিভাগের নিকট কার্যক্রম পেশ করতে হবে এবং হাইকোর্ট বিভাগ অনুমোদন না করা পর্যন্ত মৃত্যুদ- কার্যকর করা যাবে না।