সিটি নির্বাচনের সব তথ্য প্রকাশের দাবি তাবিথ-ইশরাকের

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ইভিএমের রিসিটসহ সব তথ্য প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। গতকাল রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সিটি নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির দুই মেয়র পদপ্রার্থী এই দাবি জানান। এ সময় আনুষ্ঠানিকভাবে সিটি নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সিটি নির্বাচনের দিন বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওর মাধ্যমে ভোটের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরা হয়। উত্তর সিটি করপোরেশনের বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ফলাফলের যে পরিসংখ্যান শোনা যাচ্ছে, তা অবিলম্বে জাতির কাছে উপস্থাপন করার দাবি জানাচ্ছি। ইভিএমের রিসিটসহ সব তথ্য আমরা প্রার্থী হিসেবে চাই। এটি পাওয়া জনগণ ও আমাদের অধিকার। নির্বাচনের দিন আহতদের অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন জানিয়ে তাবিথ আউয়াল বলেন, পুলিশের ওপর হামলার জন্য সরকারদলীয় কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, আমাদের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিচার হবে না, সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হবে না, তা হতে পারে না। আমি সাংবাদিকদের ওপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার প্রসঙ্গে তাবিথ আউয়াল বলেন, নির্বাচনের আগে থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাদের হুমকি ছিল গুণ্ডাবাহিনী ও পেশিশক্তি ব্যবহার করে কেন্দ্র দখল করবে। নির্বাচনের দিন শুরুতে সব কেন্দ্রের বাইরে তাদের হাজারো সন্ত্রাসী ও কর্মী অবস্থান করে গেট বন্ধ রাখেন। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি। তাদের বড় ভয় ছিল ভোটার। কারণ ভোটাররা ছিল তাদের বিপক্ষে।

ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ভোটারের লাইন বানিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল দাবি করে তাবিথ আউয়াল বলেন, ভোটাররা কেন্দ্রে ঢুকতে পারেনি। একটা বানানো লাইন দিয়ে তাদের দমিয়ে দেয়া হয়েছে। কেউ প্রবেশ করলেও কেন্দ্রের ভিতরে গিয়ে যাতে ভোট না দিতে পারে, সেজন্য তারা গোপন কক্ষে গিয়ে ভোটারের ভোট দিয়েছে।

এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটির বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন নগরবাসীর সঙ্গে অন্যায় হয়েছে দাবি করেন। তিনি বলেন, নগরবাসীর অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। নির্বাচনি প্রচারণার শুরু থেকেই আমাকে বাধা দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু কোন বাধাকেই বাধা মনে করিনি। মানতে চাইনি। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচনে জড়িত প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের চোখেমুখে ব্যাপক অসহায়ত্ব দেখেছেন বলে উল্লেখ করেন ইশরাক।

বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৩ মাঘ ১৪২৬, ১১ জমাদিউল সানি ১৪৪১

সিটি নির্বাচনের সব তথ্য প্রকাশের দাবি তাবিথ-ইশরাকের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ইভিএমের রিসিটসহ সব তথ্য প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। গতকাল রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সিটি নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির দুই মেয়র পদপ্রার্থী এই দাবি জানান। এ সময় আনুষ্ঠানিকভাবে সিটি নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সিটি নির্বাচনের দিন বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওর মাধ্যমে ভোটের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরা হয়। উত্তর সিটি করপোরেশনের বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ফলাফলের যে পরিসংখ্যান শোনা যাচ্ছে, তা অবিলম্বে জাতির কাছে উপস্থাপন করার দাবি জানাচ্ছি। ইভিএমের রিসিটসহ সব তথ্য আমরা প্রার্থী হিসেবে চাই। এটি পাওয়া জনগণ ও আমাদের অধিকার। নির্বাচনের দিন আহতদের অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন জানিয়ে তাবিথ আউয়াল বলেন, পুলিশের ওপর হামলার জন্য সরকারদলীয় কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, আমাদের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিচার হবে না, সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হবে না, তা হতে পারে না। আমি সাংবাদিকদের ওপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার প্রসঙ্গে তাবিথ আউয়াল বলেন, নির্বাচনের আগে থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাদের হুমকি ছিল গুণ্ডাবাহিনী ও পেশিশক্তি ব্যবহার করে কেন্দ্র দখল করবে। নির্বাচনের দিন শুরুতে সব কেন্দ্রের বাইরে তাদের হাজারো সন্ত্রাসী ও কর্মী অবস্থান করে গেট বন্ধ রাখেন। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়নি। তাদের বড় ভয় ছিল ভোটার। কারণ ভোটাররা ছিল তাদের বিপক্ষে।

ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ভোটারের লাইন বানিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল দাবি করে তাবিথ আউয়াল বলেন, ভোটাররা কেন্দ্রে ঢুকতে পারেনি। একটা বানানো লাইন দিয়ে তাদের দমিয়ে দেয়া হয়েছে। কেউ প্রবেশ করলেও কেন্দ্রের ভিতরে গিয়ে যাতে ভোট না দিতে পারে, সেজন্য তারা গোপন কক্ষে গিয়ে ভোটারের ভোট দিয়েছে।

এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটির বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন নগরবাসীর সঙ্গে অন্যায় হয়েছে দাবি করেন। তিনি বলেন, নগরবাসীর অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। নির্বাচনি প্রচারণার শুরু থেকেই আমাকে বাধা দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু কোন বাধাকেই বাধা মনে করিনি। মানতে চাইনি। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচনে জড়িত প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের চোখেমুখে ব্যাপক অসহায়ত্ব দেখেছেন বলে উল্লেখ করেন ইশরাক।