পদ্মা সেতুর কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে

তবে কাজ চলবে : কাদের

পদ্মা সেতুসহ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় দেড় হাজার চীনা নাগরিক কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ছুটি কাটাতে চীনে গেছেন ৫ শতাধিক। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে অনেকেই কাজে ফিরতে পারছেন না। তাই পদ্মা সেতুসহ সরকারের মেগা প্রকল্পে কাজের বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকে চীন থেকে ফিরে আসলেও পর্যবেক্ষণের কারণে কাজ যোগ দিতে পারছেন না।

গতকাল সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে পদ্মা সেতু প্রকল্পের চীনা কর্মীদের ছুটি আরও বাড়ানো হলে এই সেতুর কাজ বিঘি্নত হতে পারে। পদ্মা সেতুতে কর্মরত রয়েছেন ৯৮০ চীনা নাগরিক। এর মধ্যে ছুটিতে আছে ৩৩২ জন। ছুটিতে থাকাদের মধ্যে ফিরে এসেছেন ৩৩ জন, এর মধ্যে আটজন কোয়ারেন্টাইন মুক্ত। অন্যরা কোয়ারেন্টাইনে আছেন। পদ্মা সেতুতে আগামী ২ মাসে মধ্যে যদি অচলাবস্থার (চীনের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত) অবসান হয়, তবে আমাদের কোন অসুবিধা হবে না। ১০ ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতুর ২৪ নম্বর স্প্যান বসানো হবে। এর ভেতরে নববর্ষ উপলক্ষে যারা চীনে ছুটিতে গেছেন তাদের ছুটি আরও প্রলম্বিত হয় তাহলে কাজের কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হবে। তা না হলে আগামী ২ মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজে সংকট হবে না। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাতীয় গড় ২৬ শতাংশ উল্লেখ করে সড়কমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ২৮ শতাংশ। পদ্মা সেতু প্রকল্পের অগ্রগতি ওভারঅল ৭৭ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ। এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ২৩টি স্প্যান বসেছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (উড়াল সেতু) অগ্রগতি ভালো। ফান্ড সমস্যা এখন আর নেই। প্রথম ফেজের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। এখানে চাইনিজ আছে ২০ জন, ছুটিতে আছে ১৮ জন এবং মোট কর্মরত ৩৮ জন। ছুটিতে থাকা চীনাদের জন্য কোন অসুবিধা হচ্ছে না বা হবে না। বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পে ৭২ জন চীনার মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছেন। এখানে সেতু বিভাগের অংশে অগ্রগতি ২০ শতাংশ বলে জানান মন্ত্রী।

মেট্রোরেল প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪২ শতাংশ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৬৮ শতাংশ এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে ৩৬ শতাংশ কাজ হয়েছে। এখানে চীনা নাগরিক আছেন ৫৮ জন, চীনে গেছেন ৩১ জন, ফেরত এসেছেন ১ জন। তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন। কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫১ শতাংশ। এক কিলোমিটার ২২৮ মিটারের বোরিং সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পে ২২৩ জন চীনা নাগরিক কর্মরত আছে। এর মধ্যে ছুটিতে আছেন ৭০ জন।

বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৩ মাঘ ১৪২৬, ১১ জমাদিউল সানি ১৪৪১

কর্মরত ৫ শতাধিক চীনা নাগরিক ছুটিতে

পদ্মা সেতুর কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে

তবে কাজ চলবে : কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

পদ্মা সেতুসহ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় দেড় হাজার চীনা নাগরিক কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ছুটি কাটাতে চীনে গেছেন ৫ শতাধিক। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে অনেকেই কাজে ফিরতে পারছেন না। তাই পদ্মা সেতুসহ সরকারের মেগা প্রকল্পে কাজের বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকে চীন থেকে ফিরে আসলেও পর্যবেক্ষণের কারণে কাজ যোগ দিতে পারছেন না।

গতকাল সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেন, চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে পদ্মা সেতু প্রকল্পের চীনা কর্মীদের ছুটি আরও বাড়ানো হলে এই সেতুর কাজ বিঘি্নত হতে পারে। পদ্মা সেতুতে কর্মরত রয়েছেন ৯৮০ চীনা নাগরিক। এর মধ্যে ছুটিতে আছে ৩৩২ জন। ছুটিতে থাকাদের মধ্যে ফিরে এসেছেন ৩৩ জন, এর মধ্যে আটজন কোয়ারেন্টাইন মুক্ত। অন্যরা কোয়ারেন্টাইনে আছেন। পদ্মা সেতুতে আগামী ২ মাসে মধ্যে যদি অচলাবস্থার (চীনের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত) অবসান হয়, তবে আমাদের কোন অসুবিধা হবে না। ১০ ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতুর ২৪ নম্বর স্প্যান বসানো হবে। এর ভেতরে নববর্ষ উপলক্ষে যারা চীনে ছুটিতে গেছেন তাদের ছুটি আরও প্রলম্বিত হয় তাহলে কাজের কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হবে। তা না হলে আগামী ২ মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজে সংকট হবে না। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাতীয় গড় ২৬ শতাংশ উল্লেখ করে সড়কমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ২৮ শতাংশ। পদ্মা সেতু প্রকল্পের অগ্রগতি ওভারঅল ৭৭ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ। এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ২৩টি স্প্যান বসেছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (উড়াল সেতু) অগ্রগতি ভালো। ফান্ড সমস্যা এখন আর নেই। প্রথম ফেজের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। এখানে চাইনিজ আছে ২০ জন, ছুটিতে আছে ১৮ জন এবং মোট কর্মরত ৩৮ জন। ছুটিতে থাকা চীনাদের জন্য কোন অসুবিধা হচ্ছে না বা হবে না। বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পে ৭২ জন চীনার মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছেন। এখানে সেতু বিভাগের অংশে অগ্রগতি ২০ শতাংশ বলে জানান মন্ত্রী।

মেট্রোরেল প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪২ শতাংশ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৬৮ শতাংশ এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে ৩৬ শতাংশ কাজ হয়েছে। এখানে চীনা নাগরিক আছেন ৫৮ জন, চীনে গেছেন ৩১ জন, ফেরত এসেছেন ১ জন। তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন। কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫১ শতাংশ। এক কিলোমিটার ২২৮ মিটারের বোরিং সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পে ২২৩ জন চীনা নাগরিক কর্মরত আছে। এর মধ্যে ছুটিতে আছেন ৭০ জন।