নব্য জেএমবির নারী শাখার প্রধান গ্রেফতার

নব্য জেএমবির নারী শাখার প্রধানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তার নাম আসমানী খাতুন ওরফে আসমা ওরফে আমাতুল্লাহ ওরফে বন্দী জীবন (২৮)। গত মঙ্গলবার রাতে তাকে উত্তর কমলাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসমানীর গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর সদর থানার খানাপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইলফোন জব্দ করা হয়।

সিটিটিসি ইউনিট জানায়, আসমানী নব্য জেএমবির নারী শাখার প্রধান হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে গোপনে অনলাইনে নারী সদস্য সংগ্রহ করছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন জনকে কথিত হিজরতে প্রেরণ করেছিলেন। যাদের বিভিন্ন সময় গ্রেফতার করা হয়েছে। অনলাইনে তার সঙ্গে নব্য জেএমবির অন্যতম নেতা ইসলাম আল হিন্দী, আবু দুজানা ও আবু মোহাম্মদদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। দেশে খিলাফত ও শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার ও রাষ্ট্রের জননিরাপত্তা বিঘ্ন ও প্রজাতন্ত্রের সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকা- পরিচালনা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেসহ পলাতক অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন নব্য জেএমবির সহযোগীদের সঙ্গে ওই স্থানে একত্রিত হয়েছিলেন। পলাতকদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৩ মাঘ ১৪২৬, ১১ জমাদিউল সানি ১৪৪১

নব্য জেএমবির নারী শাখার প্রধান গ্রেফতার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

নব্য জেএমবির নারী শাখার প্রধানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তার নাম আসমানী খাতুন ওরফে আসমা ওরফে আমাতুল্লাহ ওরফে বন্দী জীবন (২৮)। গত মঙ্গলবার রাতে তাকে উত্তর কমলাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসমানীর গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর সদর থানার খানাপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইলফোন জব্দ করা হয়।

সিটিটিসি ইউনিট জানায়, আসমানী নব্য জেএমবির নারী শাখার প্রধান হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে গোপনে অনলাইনে নারী সদস্য সংগ্রহ করছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন জনকে কথিত হিজরতে প্রেরণ করেছিলেন। যাদের বিভিন্ন সময় গ্রেফতার করা হয়েছে। অনলাইনে তার সঙ্গে নব্য জেএমবির অন্যতম নেতা ইসলাম আল হিন্দী, আবু দুজানা ও আবু মোহাম্মদদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। দেশে খিলাফত ও শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার ও রাষ্ট্রের জননিরাপত্তা বিঘ্ন ও প্রজাতন্ত্রের সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকা- পরিচালনা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেসহ পলাতক অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন নব্য জেএমবির সহযোগীদের সঙ্গে ওই স্থানে একত্রিত হয়েছিলেন। পলাতকদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছে।