ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন টাইগারদের

সংক্ষিপ্ত স্কোর : জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস ২৬৫; বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ২৪০/৩

টেস্টে পরাজয়ের বৃত্তে আটকে পড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পিঠ ঠেকে গিয়েছিল দেয়ালে। ঘুরে দাঁড়ানোর পথ পাচ্ছিল না তারা। তলানিতে থাকা আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পেতে শুরু করেছে টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে নাঈম হাসানের কার্যকর বোলিংয়ের পর গতকাল ম্যাচের দ্বিতীয় দিনটা নিজেদের করে নিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে প্রথম দিনে বড় সংগ্রহের পথ থেকে ছিটকে পড়া জিম্বাবুয়ে দল দ্বিতীয় দিনে পড়েছিল পেস তোপে। প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারী দল। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে উইকেট হারালেও নাজমুল হোসেন শান্ত’র ৭০ পেরোনো ইনিংসের সঙ্গে যোগ হয় অধিনায়ক মুমিনুলের সত্তোরোর্ধ রানের অপরাজিত ইনিংস। দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময়ে ত্রিশের কোটায় পেরিয়ে অপরাজিত আছেন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ মুশফিকুর রহিমও। তামিম ইকবালের ইনিংস বড় না হওয়ার আফসোসটা বাদ দিলে তিন উইকেটে ২৪০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করা বাংলাদেশ দল নিঃসন্দেহে ভালো অবস্থানে আছে।

প্রথম দিনে ছয় উইকেটে ২২৮ রান তোলা জিম্বাবুয়েকে গতকাল সকালে চটজলদিই গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ দলের বোলাররা। দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনেই অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। আগের দিনের ২২৮ রানের সঙ্গে সফরকারীদলের টেল এন্ডাররা যোগ করেন আরও ৩৯ রান। এরমধ্যে বলার মতো সংগ্রহ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান রেগিস চাকাভার ৩০ রান। দ্বিতীয় দিন সকালের সেশনে জিম্বাবুয়ের পতন ঘটা চারটি উইকেটের সমান দুটো করে জমা হয় আবু জায়েদ রাহী ও তাইজুল ইসলামের নামের পাশে।

জিম্বাবুয়ের ২৬৫ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে দুই ইনিংসে ব্যর্থতার পর দেশের মাটিতেও ইনিংস বড় হয়নি সাইফ হাসানের। ভিক্টর নাউচির বলে ফিরেছেন মাত্র ৮ রান করে। ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশ দল শুরুর ধাক্কা কাটায় তামিম-নাজমুলের ব্যাটে। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনে যোগ করেন ৭৮ রান। তামিম ইকবালের ভুলে হয় ছন্দপতন। ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৮৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪১ রান করা তামিম।

তার বিদায়ের পর টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পথে তিনি খেলেছেন ১০৮ বল। হাঁকিয়েছেন ৬টি বাউন্ডারি। ধীরে ধীরে তিন অঙ্কের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই ওয়ান ডাউন ব্যাটসম্যান। তামিমের মতোই তিনিও ফেরেন উইকেটকিপারের গ্লাভসে বল জমা দিয়ে। টিশুমার বলে শেষ হয় তার ১৩৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে খেলা ৭১ রানের ইনিংস। এতে ভাঙে তৃতীয় উইকেটের ৭৬ রানের পার্টনারশিপ। নাজমুল হোসেন শান্তকে আজীবন মনে রাখবে জিম্বাবুইয়ান বোলার টিশুমার। শান্তই যে তার প্রথম টেস্ট উইকেট।

শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। দিনশেষে মুমিনুল- মুশফিক ৬৮ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। ততক্ষণে হাফ সেঞ্চুরি হয়ে গেছে টাইগার দলপতি মুমিনুলের। ৭৮ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ পূর্ণ করে মুমিনুল হক দিনশেষে অপরাজিত ৭৯ রানে, আর মুশফিক অপরাজিত ৩২ রানে।

টাইগারদের ইনিংসে ৩ উইকেটে জমা হয়েছে ২৪০ রান। স্বাগতিকরা পিছিয়ে আছে ২৫ রানে।

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১০ ফল্গুন ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪১

ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন টাইগারদের

বিশেষ প্রতিনিধি

image

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে প্যাভিলিয়নে ফিরছেন অধিনায়ক মোমিনুল ও মুশফিক

সংক্ষিপ্ত স্কোর : জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস ২৬৫; বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ২৪০/৩

টেস্টে পরাজয়ের বৃত্তে আটকে পড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পিঠ ঠেকে গিয়েছিল দেয়ালে। ঘুরে দাঁড়ানোর পথ পাচ্ছিল না তারা। তলানিতে থাকা আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পেতে শুরু করেছে টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে নাঈম হাসানের কার্যকর বোলিংয়ের পর গতকাল ম্যাচের দ্বিতীয় দিনটা নিজেদের করে নিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে প্রথম দিনে বড় সংগ্রহের পথ থেকে ছিটকে পড়া জিম্বাবুয়ে দল দ্বিতীয় দিনে পড়েছিল পেস তোপে। প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারী দল। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে উইকেট হারালেও নাজমুল হোসেন শান্ত’র ৭০ পেরোনো ইনিংসের সঙ্গে যোগ হয় অধিনায়ক মুমিনুলের সত্তোরোর্ধ রানের অপরাজিত ইনিংস। দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময়ে ত্রিশের কোটায় পেরিয়ে অপরাজিত আছেন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’ মুশফিকুর রহিমও। তামিম ইকবালের ইনিংস বড় না হওয়ার আফসোসটা বাদ দিলে তিন উইকেটে ২৪০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করা বাংলাদেশ দল নিঃসন্দেহে ভালো অবস্থানে আছে।

প্রথম দিনে ছয় উইকেটে ২২৮ রান তোলা জিম্বাবুয়েকে গতকাল সকালে চটজলদিই গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ দলের বোলাররা। দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনেই অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। আগের দিনের ২২৮ রানের সঙ্গে সফরকারীদলের টেল এন্ডাররা যোগ করেন আরও ৩৯ রান। এরমধ্যে বলার মতো সংগ্রহ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান রেগিস চাকাভার ৩০ রান। দ্বিতীয় দিন সকালের সেশনে জিম্বাবুয়ের পতন ঘটা চারটি উইকেটের সমান দুটো করে জমা হয় আবু জায়েদ রাহী ও তাইজুল ইসলামের নামের পাশে।

জিম্বাবুয়ের ২৬৫ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে দুই ইনিংসে ব্যর্থতার পর দেশের মাটিতেও ইনিংস বড় হয়নি সাইফ হাসানের। ভিক্টর নাউচির বলে ফিরেছেন মাত্র ৮ রান করে। ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশ দল শুরুর ধাক্কা কাটায় তামিম-নাজমুলের ব্যাটে। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনে যোগ করেন ৭৮ রান। তামিম ইকবালের ভুলে হয় ছন্দপতন। ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৮৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪১ রান করা তামিম।

তার বিদায়ের পর টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পথে তিনি খেলেছেন ১০৮ বল। হাঁকিয়েছেন ৬টি বাউন্ডারি। ধীরে ধীরে তিন অঙ্কের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই ওয়ান ডাউন ব্যাটসম্যান। তামিমের মতোই তিনিও ফেরেন উইকেটকিপারের গ্লাভসে বল জমা দিয়ে। টিশুমার বলে শেষ হয় তার ১৩৯ বলে ৭ বাউন্ডারিতে খেলা ৭১ রানের ইনিংস। এতে ভাঙে তৃতীয় উইকেটের ৭৬ রানের পার্টনারশিপ। নাজমুল হোসেন শান্তকে আজীবন মনে রাখবে জিম্বাবুইয়ান বোলার টিশুমার। শান্তই যে তার প্রথম টেস্ট উইকেট।

শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। দিনশেষে মুমিনুল- মুশফিক ৬৮ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। ততক্ষণে হাফ সেঞ্চুরি হয়ে গেছে টাইগার দলপতি মুমিনুলের। ৭৮ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ পূর্ণ করে মুমিনুল হক দিনশেষে অপরাজিত ৭৯ রানে, আর মুশফিক অপরাজিত ৩২ রানে।

টাইগারদের ইনিংসে ৩ উইকেটে জমা হয়েছে ২৪০ রান। স্বাগতিকরা পিছিয়ে আছে ২৫ রানে।