এবারের বাজেট মানবিক বাজেট : সংসদে অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন (২০২০-২১) অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেছেন, এবারের বাজেটে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, মানুষকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। মানুষ না থাকলে বাজেট কার জন্য। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে দেশের মানুষকে আমাদের বাঁচাতে হবে। এবারের বাজেট মানবিক বাজেট। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম (বাজেট) অধিবেশনে চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এবছর বাজেটের সংযোজন-বিয়োজন বা সমন্বয়ের কারণটি আমাদের সবার জানা। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর বিবেচনায় আমরা সম্পূরক বাজেটে রাজস্ব আয় ও ব্যয় কিছুটা সমন্বয় করার চিন্তা করেছি। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও আমরা ৮ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছি। আমরা যদি এই পুনর্নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারি তা হবে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। তিনি জানান, সম্পূরক বাজেট করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা খাত, চিকিৎসা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে অতিরিক্ত তিন হাজার ৬০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

বাজেট না দেয়া হলে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ তোলার কোন ব্যবস্থা নেই উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের এবারের (আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছর) বাজেটে সব বিষয়ে প্রাধিকার পাচ্ছে দেশের মানুষ। দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। এই করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে আমাদের চেষ্টা থাকবে মানুষকে যতটা সম্ভব রক্ষা করা। আল্লাহর অশেষ রহমত থেকে আমরা সেই কাজটি করব। নতুন অর্থবছরের বাজেট সবার জন্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবসময় আমাদের বাজেটে অর্থনৈতিক উন্নয়নগুলোর কম্পোনেন্ট প্রাধিকার পায় কিন্তু এবার আমরা তা করিনি। এবার মানুষকে প্রাধিকার দিয়েছি। এটা কেবল অর্থনৈতিক বাজেট নয়। এটা একদিকে অর্থনৈতিক বাজেট পাশাপাশি মানবিক বাজেট।

সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস

জাতীয় সংসদে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে সংযুক্ত তহবিল থেকে মঞ্জুরিকৃত অর্থের অধিক ৪৬ হাজার ৫১৬ কোটি ১১লাখ টাকা প্রদান ও ব্যয়ের অনুমোদন দিয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস করা হয়েছে। নির্দিষ্টকরণ সম্পূরক বিল, ২০২০ পাসের মধ্য দিয়ে গতকাল এ বাজেট পাস করা হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি উত্থাপন করে পাসের প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে সংসদে পাস হয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দাবিসহ ২৫টি মঞ্জুরি দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সংসদে উত্থাপন করলে পৃথক পৃথকভাবে পাস করা হয়। এসব দাবির ওপর বিরোধীদলের সদস্যরা মোট ১৬৭টি ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। এরমধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে সমাজকল্যাণ এবং দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয় এর দুটি দাবির ওপর আলোচনা হয়। ছাঁটাই প্রস্তাবে আলাচনা করেন, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পটোয়ারী, বেগম রওশন আরা মান্নান এবং বিএনপির হারুনুর রশীদ।

সম্পূরক বাজেটে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৮ কোটি ৩০ লাখ ৯৮ হাজার টাকা রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ খাতে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৩২ কোটি ৫৩ লাখ ২২ হাজার টাকা রয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় খাতে। এছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় খাতে ৮৪২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় খাতে ৮৩৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় খাতে ৫৫৯ কোটি ৪৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ধর্ম মন্ত্রণালয় খাতে ৫২৭ কোটি ৪২ লাখ ৭ হাজার টাকা, নির্বাচন কমিশন খাতে ৫০৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ৪৯৩ কোটি ৫৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় খাতে ৪৫৪ কোটি ৮৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, শিল্প মন্ত্রণালয় খাতে ৪৫০ কোটি ১৯ লাখ ১ হাজার টাকা, পরিকল্পনা বিভাগ খাতে ৩৭৯ কোটি ৫৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় খাতে ২১৪ কোটি ৭৩ লাখ ৪২ হাজার টাকা, পরিসংখান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা খাতে ২৯০ কোটি ৫৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, জননিরাপত্তা বিভাগ খাতে ২৯৪ কোটি ১১ লাখ ৮১ হাজার টাকা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ৯২ কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ৫৯ কোটি ৮৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা, শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় খাতে ৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা, মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ে ৩৯ কোটি ৯৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ৭৩ কোটি ২৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে ৬২ কোটি ২১ লাখ ২১ হাজার টাকা, বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে ৫৩ কোটি ৩৪ লাখ টালা, সরকারি কর্মকমিশন খাতে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় খাতে ১২ কোটি ৭৮ লাখ ৯১ হাজার টাকা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় খাতে ১ কোটি ৫৪ লাখ ১০ হাজার টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে মূল বাজেট ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা ৫ লাখ ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা করা হয়।

সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেন- বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী, তাহজীব আলম সিদ্দিকী, ওয়াসিকা আয়েশা খান ও বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন-অর-রশিদ। এবার সম্পূরক বাজেট নিয়ে মোট ৭০ মিনিট আলোচনা হয়। গতকাল একদিনই সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা শেষে এটি পাস করা হয়।

সংসদ অধিবেশন মূলতবি

একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনের পরবর্তি বৈঠক আগামী ২৩ জুন, মঙ্গলবার, বেলা ১১টা পর্যন্ত মূলতবি করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল এ মূলতবি ঘোষণা করেন।

আরও খবর
ইস্পাত কঠিন ঐক্য ও সচেতনতার প্রাচীর গড়ে আমরা আবার ফিরে পাবো চিরচেনা জগৎ : কাদের
আস্থা রাখুন বাংলাদেশ হার মানবে না : প্রধানমন্ত্রী
একজন বিশ্বস্ত বন্ধুর বিদায়
সিলেটের সাবেক মেয়র কামরানের মৃত্যু
বন্দুকযুদ্ধে ধর্ষক নিহত
সৌদি থেকে ফিরতে আগ্রহীদের আনা হবে পর্যায়ক্রমে
যুবলীগের চেষ্টায় বদলে গেল আখাউড়া হাসপাতাল
নকল ওষুধ তৈরির কারখানা : দশ কোটি টাকার ওষুধ জব্দ
টিআইবির অনেক রিপোর্টই একপেশে তথ্যমন্ত্রী
ডাক্তার নেই, এক্সরে মেশিন নষ্ট : করোনা আক্রান্ত ৪৩৯
করোনায় আরও দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
নমুনা পরীক্ষায় বিলম্ব ফলাফলে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত
একদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অন্যদিকে চলছে দখল প্রতিযোগিতা

মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০ , ২ আষাঢ় ১৪২৭, ২৩ শাওয়াল ১৪৪

সম্পূরক বাজেট পাস

এবারের বাজেট মানবিক বাজেট : সংসদে অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন (২০২০-২১) অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেছেন, এবারের বাজেটে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, মানুষকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। মানুষ না থাকলে বাজেট কার জন্য। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে দেশের মানুষকে আমাদের বাঁচাতে হবে। এবারের বাজেট মানবিক বাজেট। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম (বাজেট) অধিবেশনে চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এবছর বাজেটের সংযোজন-বিয়োজন বা সমন্বয়ের কারণটি আমাদের সবার জানা। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর বিবেচনায় আমরা সম্পূরক বাজেটে রাজস্ব আয় ও ব্যয় কিছুটা সমন্বয় করার চিন্তা করেছি। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও আমরা ৮ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছি। আমরা যদি এই পুনর্নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারি তা হবে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। তিনি জানান, সম্পূরক বাজেট করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা খাত, চিকিৎসা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে অতিরিক্ত তিন হাজার ৬০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

বাজেট না দেয়া হলে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ তোলার কোন ব্যবস্থা নেই উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের এবারের (আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছর) বাজেটে সব বিষয়ে প্রাধিকার পাচ্ছে দেশের মানুষ। দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। এই করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে আমাদের চেষ্টা থাকবে মানুষকে যতটা সম্ভব রক্ষা করা। আল্লাহর অশেষ রহমত থেকে আমরা সেই কাজটি করব। নতুন অর্থবছরের বাজেট সবার জন্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবসময় আমাদের বাজেটে অর্থনৈতিক উন্নয়নগুলোর কম্পোনেন্ট প্রাধিকার পায় কিন্তু এবার আমরা তা করিনি। এবার মানুষকে প্রাধিকার দিয়েছি। এটা কেবল অর্থনৈতিক বাজেট নয়। এটা একদিকে অর্থনৈতিক বাজেট পাশাপাশি মানবিক বাজেট।

সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস

জাতীয় সংসদে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে সংযুক্ত তহবিল থেকে মঞ্জুরিকৃত অর্থের অধিক ৪৬ হাজার ৫১৬ কোটি ১১লাখ টাকা প্রদান ও ব্যয়ের অনুমোদন দিয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস করা হয়েছে। নির্দিষ্টকরণ সম্পূরক বিল, ২০২০ পাসের মধ্য দিয়ে গতকাল এ বাজেট পাস করা হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি উত্থাপন করে পাসের প্রস্তাব করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে সংসদে পাস হয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দাবিসহ ২৫টি মঞ্জুরি দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সংসদে উত্থাপন করলে পৃথক পৃথকভাবে পাস করা হয়। এসব দাবির ওপর বিরোধীদলের সদস্যরা মোট ১৬৭টি ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। এরমধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে সমাজকল্যাণ এবং দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয় এর দুটি দাবির ওপর আলোচনা হয়। ছাঁটাই প্রস্তাবে আলাচনা করেন, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পটোয়ারী, বেগম রওশন আরা মান্নান এবং বিএনপির হারুনুর রশীদ।

সম্পূরক বাজেটে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮০৮ কোটি ৩০ লাখ ৯৮ হাজার টাকা রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ খাতে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৩২ কোটি ৫৩ লাখ ২২ হাজার টাকা রয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় খাতে। এছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় খাতে ৮৪২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় খাতে ৮৩৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় খাতে ৫৫৯ কোটি ৪৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ধর্ম মন্ত্রণালয় খাতে ৫২৭ কোটি ৪২ লাখ ৭ হাজার টাকা, নির্বাচন কমিশন খাতে ৫০৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ৪৯৩ কোটি ৫৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় খাতে ৪৫৪ কোটি ৮৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, শিল্প মন্ত্রণালয় খাতে ৪৫০ কোটি ১৯ লাখ ১ হাজার টাকা, পরিকল্পনা বিভাগ খাতে ৩৭৯ কোটি ৫৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় খাতে ২১৪ কোটি ৭৩ লাখ ৪২ হাজার টাকা, পরিসংখান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা খাতে ২৯০ কোটি ৫৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, জননিরাপত্তা বিভাগ খাতে ২৯৪ কোটি ১১ লাখ ৮১ হাজার টাকা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ৯২ কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ৫৯ কোটি ৮৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা, শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় খাতে ৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা, মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ে ৩৯ কোটি ৯৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ৭৩ কোটি ২৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে ৬২ কোটি ২১ লাখ ২১ হাজার টাকা, বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে ৫৩ কোটি ৩৪ লাখ টালা, সরকারি কর্মকমিশন খাতে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় খাতে ১২ কোটি ৭৮ লাখ ৯১ হাজার টাকা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় খাতে ১ কোটি ৫৪ লাখ ১০ হাজার টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে মূল বাজেট ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা ৫ লাখ ১ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা করা হয়।

সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেন- বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী, তাহজীব আলম সিদ্দিকী, ওয়াসিকা আয়েশা খান ও বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন-অর-রশিদ। এবার সম্পূরক বাজেট নিয়ে মোট ৭০ মিনিট আলোচনা হয়। গতকাল একদিনই সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা শেষে এটি পাস করা হয়।

সংসদ অধিবেশন মূলতবি

একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনের পরবর্তি বৈঠক আগামী ২৩ জুন, মঙ্গলবার, বেলা ১১টা পর্যন্ত মূলতবি করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল এ মূলতবি ঘোষণা করেন।