নকল ওষুধ তৈরির কারখানা : দশ কোটি টাকার ওষুধ জব্দ

বরিশাল নগরীর সাগরদিতে নকল ওষুধ তৈরীর কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে তৈরী এসিআই, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস, বরিশাল নগরীর কেমিষ্ট সহ দেশের নামী দামী ৮টি কোম্পানীর মোড়কে প্যাকেট করে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ বাজারজাত করা হতো। সোমবার ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধ, ওষুধ তৈরীর কাঁচামাল ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এসময় কারখানা থেকে আটক দুইজনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ বছর করে কারাদন্ড, প্রত্যেককে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। কারখানাটি প্রশাসন সিলগালা করে দিয়েছে। দন্ডপ্রাপ্তররা হচ্ছে- কারখানার প্রধান পরিচালক মাসুম বিল্লাহ (২৭) ও তার সহযোগী নুরে আলম গাজী (২৩)। তবে কারখানার মুল মালিক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা যায়নি। পরিচালক মাসুম বিল্লাহ মালিক সাইফুল ইসলামের ভাগ্নে।

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান জানান, নগরীর সাগরদি দরগাহ বাড়ি এলাকায় হদুয়া লজ-২ নামক একটি বাড়িতে নকল ওষুধ তৈরী করা হতো। এ কারখানার মালিক সাইফুল ইসলাম ঢাকায় ওষুধের ব্যবসা করেন। বরিশালে তৈরী হওয়া সব নকল ওষুধ ঢাকায় তার দোকানে পাঠানো হতো। সেখান থেকে ওই ওষুধ সারাদেশের বাজারে বিক্রি করা হতো।

বরিশালের কেমিস্ট ল্যাবরেটরীজের জেনারেল ম্যানেজার কাজল ঘোষ জানান, ওই কারখানায় উৎপাদিত নকল ওষুধ তাদের কোম্পানীর সহ বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর মোড়কে বাজারজাত করা হতো। সম্প্রতি গোপন সূত্রে জানতে পারেন যে নদী বন্দর এলাকায় কেমিষ্ট কোম্পানীর লোগোযুক্ত কাগজের কার্টুন সংগ্রহ করা হচ্ছে। অথচ তাদের কার্টুন সংগ্রহের কোন অর্ডার ছিলনা। পরে ওই সূত্র ধরে নকল কারখানার সন্ধান পান। বিষয়টি বরিশালের ড্রাগ সুপারকে জানানো হলে তিনি জেলা প্রশাসনকে জানান। সোমবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রশাসনের অভিযানে একটি টিনের ঘরের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের নকল ওষুধ উদ্ধার করা হয়। সেখানে প্যরাসুট নারকেল তেল সহ কিছু প্রসাসধনীও ছিল বলে অভিযানকারীরা জানান। জব্দ করা নকল ওষুধের কিছু নমুনা রেখে বকি সব ওষুধ বিকালে কীর্তনখোলা নদীর তীর সংলগ্ন রসুলপুর চরে নিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।

আরও খবর
ইস্পাত কঠিন ঐক্য ও সচেতনতার প্রাচীর গড়ে আমরা আবার ফিরে পাবো চিরচেনা জগৎ : কাদের
আস্থা রাখুন বাংলাদেশ হার মানবে না : প্রধানমন্ত্রী
একজন বিশ্বস্ত বন্ধুর বিদায়
সিলেটের সাবেক মেয়র কামরানের মৃত্যু
বন্দুকযুদ্ধে ধর্ষক নিহত
সৌদি থেকে ফিরতে আগ্রহীদের আনা হবে পর্যায়ক্রমে
এবারের বাজেট মানবিক বাজেট : সংসদে অর্থমন্ত্রী
যুবলীগের চেষ্টায় বদলে গেল আখাউড়া হাসপাতাল
টিআইবির অনেক রিপোর্টই একপেশে তথ্যমন্ত্রী
ডাক্তার নেই, এক্সরে মেশিন নষ্ট : করোনা আক্রান্ত ৪৩৯
করোনায় আরও দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
নমুনা পরীক্ষায় বিলম্ব ফলাফলে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত
একদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অন্যদিকে চলছে দখল প্রতিযোগিতা

মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০ , ২ আষাঢ় ১৪২৭, ২৩ শাওয়াল ১৪৪

বরিশালে

নকল ওষুধ তৈরির কারখানা : দশ কোটি টাকার ওষুধ জব্দ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

বরিশাল নগরীর সাগরদিতে নকল ওষুধ তৈরীর কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে তৈরী এসিআই, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস, বরিশাল নগরীর কেমিষ্ট সহ দেশের নামী দামী ৮টি কোম্পানীর মোড়কে প্যাকেট করে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ বাজারজাত করা হতো। সোমবার ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের নকল ওষুধ, ওষুধ তৈরীর কাঁচামাল ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এসময় কারখানা থেকে আটক দুইজনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ বছর করে কারাদন্ড, প্রত্যেককে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। কারখানাটি প্রশাসন সিলগালা করে দিয়েছে। দন্ডপ্রাপ্তররা হচ্ছে- কারখানার প্রধান পরিচালক মাসুম বিল্লাহ (২৭) ও তার সহযোগী নুরে আলম গাজী (২৩)। তবে কারখানার মুল মালিক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা যায়নি। পরিচালক মাসুম বিল্লাহ মালিক সাইফুল ইসলামের ভাগ্নে।

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান জানান, নগরীর সাগরদি দরগাহ বাড়ি এলাকায় হদুয়া লজ-২ নামক একটি বাড়িতে নকল ওষুধ তৈরী করা হতো। এ কারখানার মালিক সাইফুল ইসলাম ঢাকায় ওষুধের ব্যবসা করেন। বরিশালে তৈরী হওয়া সব নকল ওষুধ ঢাকায় তার দোকানে পাঠানো হতো। সেখান থেকে ওই ওষুধ সারাদেশের বাজারে বিক্রি করা হতো।

বরিশালের কেমিস্ট ল্যাবরেটরীজের জেনারেল ম্যানেজার কাজল ঘোষ জানান, ওই কারখানায় উৎপাদিত নকল ওষুধ তাদের কোম্পানীর সহ বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর মোড়কে বাজারজাত করা হতো। সম্প্রতি গোপন সূত্রে জানতে পারেন যে নদী বন্দর এলাকায় কেমিষ্ট কোম্পানীর লোগোযুক্ত কাগজের কার্টুন সংগ্রহ করা হচ্ছে। অথচ তাদের কার্টুন সংগ্রহের কোন অর্ডার ছিলনা। পরে ওই সূত্র ধরে নকল কারখানার সন্ধান পান। বিষয়টি বরিশালের ড্রাগ সুপারকে জানানো হলে তিনি জেলা প্রশাসনকে জানান। সোমবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রশাসনের অভিযানে একটি টিনের ঘরের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের নকল ওষুধ উদ্ধার করা হয়। সেখানে প্যরাসুট নারকেল তেল সহ কিছু প্রসাসধনীও ছিল বলে অভিযানকারীরা জানান। জব্দ করা নকল ওষুধের কিছু নমুনা রেখে বকি সব ওষুধ বিকালে কীর্তনখোলা নদীর তীর সংলগ্ন রসুলপুর চরে নিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।