বাজারের বর্জ্যে অস্তিত্ব সংকটে বামনসুন্দর খাল

মীরসরাই উপজেলার ৭নং কাটাছরা ইউনিয়নের প্রাচীন হাট বামনসুন্দর দারোগার হাট বাজারের পাশ ঘেঁষে বয়ে চলা কাটাছড়া-মিঠানালার বামনসুন্দর খালটি এখন প্রায়ই বর্জ্যরে দখলে চলে গেছে।

একসময় সারাবছর পানির প্রবাহ ছিল এই খালে। বর্ষায় পানির স্রোত ছাড়াও এই খালের পানি ব্যবহার হতো আশেপাশে কৃষকদের জমি চাষের কাজে।

অথচ বর্তমানে খালের বিশাল একটি অংশজুড়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ফেলছে ময়লা, আবর্জনা ও অপচনশীল দ্রব্যাদি। এতে করে ভারি বর্জ্যে খাল হারিয়েছে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ। ময়লা, আবর্জনার বর্জ্য ও জমে থাকা পানিতে সৃষ্ট দুর্গন্ধে রোগ-ব্যাধি ছড়ানোর আশঙ্কাও বাড়ছে দিনদিন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, এভাবে সকলে বাধাহীন সব ধরনের ময়লা খালে ফেলায় একদিকে দুর্গন্ধ হচ্ছে, অপরদিকে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। প্রতিবাদ করতে চেয়ে ও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ যেন মুখ খুলছেন না। সরেজমিনে দেখা গেছে, এই খাল পাশ ঘেঁষে রয়েছে একটি উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আবার খাল ও বাজার ঘিরে চলাচল করছে বামনসুন্দর, বাড়িয়াখালী, মিঠানালা, রহমতাবাদ, ইছাখালী, ঝুলনপোলসহ আশপাশের তিনটি ইউনিয়নের কয়েকহাজার মানুষ। বাজারের অপসারিত ময়লা-আবর্জনার স্তুপ, বর্জ্যরে দখলদারিত্ব যে অংশে বেশি ঠিক তার একশ গজের মধ্যেই রয়েছে কাটাছড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী হুমায়ুনের অস্থায়ী দপ্তর ও খাল ঘেঁষা সেই অংশে রয়েছে কাটাছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল বশরের দাপ্তরিক কার্যালয়।

বামনসুন্দর খালের এমন বেহাল দশা সম্পর্কে জানতে চাইলে কাটাছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বশর বলেন, পদাধিকার বলে এখনো বাজারের সভাপতি স্থানীয় চেয়ারম্যান। তার মাধ্যমে প্রতিবছর বাজার উন্নয়নের জন্য ১০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ আসে। কিন্তু বাজারের ব্যবসায়ীরা আমাকে সিলেকশন করে বাজারের দায়িত্ব দেয়ায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ কিছু কিছু কাজ দেখাশোনা করছি।

খালে বর্জ্য ফেলার বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীদের বাঁধা দেয়া যাচ্ছে না। কারণ, ময়লা ফেলার জন্য তাদের বিকল্প কোন পন্থা নাই। তবুও এভাবে খালে বর্জ্য ফেলা ঠিক হচ্ছে না। কাটাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী হুমায়ুন বলেন, বাজারের দায়িত্বে যারা আছেন বিষয়টি তারা দেখলে ভাল হয়। তারা বাজারের ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিলে খালটি দূষণ থেকে মুক্তি পাবে।

image

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : এভাবেই বর্জ্য ফেলে ভরাট করা হচ্ছে বামনসুন্দর খাল -সংবাদ

আরও খবর
সিসিক’র স্বাস্থ্যকর্তা ফের করোনায় আক্রান্ত
স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকা নিচ্ছেন মানুষ
বোদায় জমি বিবাদে নারী নিহত
স্বাভাবিক হয়েও প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্রের রহস্যজনক ব্যবহার সর. কর্মচারীর
মামলার ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চিয়তায় পরিবার
শেওলা সেতুর টোল থেকে ২১ বছরেও মুক্তি পায়নি সিলেটবাসী
রাতে নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ দুর্বৃত্তদের
দাউদকান্দিতে মেয়র পদে ত্রিমুখী লড়াই
লোহালিয়া সেতুর নির্মাণ কাজ ফের বাড়ছে দু’বছর
সীতাকুন্ডে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় বিএনপি প্রার্থী
মাধবদীতে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা
সুন্দরগঞ্জে দুই জামায়াত কর্মী ধৃত
আ’লীগ-যুবলীগের ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে ৩ মামলা
নৌকার মাঝি হতে চান আ’লীগ নেতা রফিক

শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৯ মাঘ ১৪২৭, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

বাজারের বর্জ্যে অস্তিত্ব সংকটে বামনসুন্দর খাল

প্রতিনিধি, মীরসরাই (চট্টগ্রাম)

image

মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : এভাবেই বর্জ্য ফেলে ভরাট করা হচ্ছে বামনসুন্দর খাল -সংবাদ

মীরসরাই উপজেলার ৭নং কাটাছরা ইউনিয়নের প্রাচীন হাট বামনসুন্দর দারোগার হাট বাজারের পাশ ঘেঁষে বয়ে চলা কাটাছড়া-মিঠানালার বামনসুন্দর খালটি এখন প্রায়ই বর্জ্যরে দখলে চলে গেছে।

একসময় সারাবছর পানির প্রবাহ ছিল এই খালে। বর্ষায় পানির স্রোত ছাড়াও এই খালের পানি ব্যবহার হতো আশেপাশে কৃষকদের জমি চাষের কাজে।

অথচ বর্তমানে খালের বিশাল একটি অংশজুড়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ফেলছে ময়লা, আবর্জনা ও অপচনশীল দ্রব্যাদি। এতে করে ভারি বর্জ্যে খাল হারিয়েছে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ। ময়লা, আবর্জনার বর্জ্য ও জমে থাকা পানিতে সৃষ্ট দুর্গন্ধে রোগ-ব্যাধি ছড়ানোর আশঙ্কাও বাড়ছে দিনদিন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, এভাবে সকলে বাধাহীন সব ধরনের ময়লা খালে ফেলায় একদিকে দুর্গন্ধ হচ্ছে, অপরদিকে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটছে। প্রতিবাদ করতে চেয়ে ও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ যেন মুখ খুলছেন না। সরেজমিনে দেখা গেছে, এই খাল পাশ ঘেঁষে রয়েছে একটি উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আবার খাল ও বাজার ঘিরে চলাচল করছে বামনসুন্দর, বাড়িয়াখালী, মিঠানালা, রহমতাবাদ, ইছাখালী, ঝুলনপোলসহ আশপাশের তিনটি ইউনিয়নের কয়েকহাজার মানুষ। বাজারের অপসারিত ময়লা-আবর্জনার স্তুপ, বর্জ্যরে দখলদারিত্ব যে অংশে বেশি ঠিক তার একশ গজের মধ্যেই রয়েছে কাটাছড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী হুমায়ুনের অস্থায়ী দপ্তর ও খাল ঘেঁষা সেই অংশে রয়েছে কাটাছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল বশরের দাপ্তরিক কার্যালয়।

বামনসুন্দর খালের এমন বেহাল দশা সম্পর্কে জানতে চাইলে কাটাছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বশর বলেন, পদাধিকার বলে এখনো বাজারের সভাপতি স্থানীয় চেয়ারম্যান। তার মাধ্যমে প্রতিবছর বাজার উন্নয়নের জন্য ১০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ আসে। কিন্তু বাজারের ব্যবসায়ীরা আমাকে সিলেকশন করে বাজারের দায়িত্ব দেয়ায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ কিছু কিছু কাজ দেখাশোনা করছি।

খালে বর্জ্য ফেলার বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীদের বাঁধা দেয়া যাচ্ছে না। কারণ, ময়লা ফেলার জন্য তাদের বিকল্প কোন পন্থা নাই। তবুও এভাবে খালে বর্জ্য ফেলা ঠিক হচ্ছে না। কাটাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী হুমায়ুন বলেন, বাজারের দায়িত্বে যারা আছেন বিষয়টি তারা দেখলে ভাল হয়। তারা বাজারের ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিলে খালটি দূষণ থেকে মুক্তি পাবে।