সিলেটের বিয়ানীবাজারের শেওলা সেতুর টোল আদায় থেকে ২১ বছরেও মুক্তি পায়নি জনগণ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৯ সালে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু দীর্ঘ ২১ বছর ধরে টোল আদায় অব্যাহত থাকায় মানুষের মধ্যে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি এ টোল আদায় বন্ধ করার জন্য সড়ক ও সেতুমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফছর খান সাদেক। তার বাড়ি ওই এলাকায়।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে শেওলা সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে সেতুর নির্মাণ কাজে গতি বৃদ্ধি পায়। ১৯৯৯ সালের ৩১ জুলাই শেওলা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের কাছ থেকে টোল আদায় শুরু হয়। প্রতি বাংলা বছরের শুরুতে সেতুর তদারকি কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় বেসরকারী উদ্যোক্তাদের টোল আদায়ের দায়িত্ব প্রদান করে। এক্ষেত্রে সরকার প্রতিবছরে কোটি টাকার মতো রাজস্ব পেয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান ইজারাদারের নির্ধারিত ব্যক্তিরা টোল আদায়ের সময় অনেক গাড়ি চালকদের রশিদ না দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ সম্পর্কে সড়ক ও জনপথ সিলেট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান টোল আদায়ের মেয়াদ জুন পর্যন্ত রয়েছে।
শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৯ মাঘ ১৪২৭, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২
বিশেষ, প্রতিনিধি
সিলেটের বিয়ানীবাজারের শেওলা সেতুর টোল আদায় থেকে ২১ বছরেও মুক্তি পায়নি জনগণ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৯ সালে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু দীর্ঘ ২১ বছর ধরে টোল আদায় অব্যাহত থাকায় মানুষের মধ্যে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি এ টোল আদায় বন্ধ করার জন্য সড়ক ও সেতুমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফছর খান সাদেক। তার বাড়ি ওই এলাকায়।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে শেওলা সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে সেতুর নির্মাণ কাজে গতি বৃদ্ধি পায়। ১৯৯৯ সালের ৩১ জুলাই শেওলা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের কাছ থেকে টোল আদায় শুরু হয়। প্রতি বাংলা বছরের শুরুতে সেতুর তদারকি কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় বেসরকারী উদ্যোক্তাদের টোল আদায়ের দায়িত্ব প্রদান করে। এক্ষেত্রে সরকার প্রতিবছরে কোটি টাকার মতো রাজস্ব পেয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান ইজারাদারের নির্ধারিত ব্যক্তিরা টোল আদায়ের সময় অনেক গাড়ি চালকদের রশিদ না দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ সম্পর্কে সড়ক ও জনপথ সিলেট জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান টোল আদায়ের মেয়াদ জুন পর্যন্ত রয়েছে।