লোহালিয়া সেতুর নির্মাণ কাজ ফের বাড়ছে দু’বছর

পটুয়াখালী জেলা শহর সংলগ্ন লোহালিয়া নদীর ওপর সেতুর নির্মাণ কাজের সময়সীমা আরও দু’বছর বাড়ানো হচ্ছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রশিদ খান সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে এ বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ২০২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য সময় পাচ্ছেন।

শহর সংলগ্ন লোহালিয়া নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য এর আগে সময়সীমা ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। এখন ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে। এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বর নাগাদ এ ব্রিজটি নির্মাণের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল তবে করোনার প্রভাবের কারণে শ্রমিক সঙ্কটসহ নানাবিধ সমস্যার কারণে ঠিকাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ এ সময়সীমা পুনর্নিধারণ করেন।

এর আগে প্রধান প্রকৌশলী কলাপাড়া উপজেলার আন্ধারমণিক নদীর ওপর নির্মাণাধীন সৈয়দ নজরুল ইসলাম ব্রিজ’র কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। পায়রা বন্দর সংযোগকারী এ ব্রিজটির নির্মাণ করা ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে এবং চলতি বছরের জুন নাগাদ এ ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে তাকে অবহিত করা হয়। এছাড়াও প্রধান প্রকৌশলী পটুয়াখালী শহরের বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পও পরিদর্শন করেন। এলজিইডি-র প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রশিদ খান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গতবছরের ডিসেম্বরে লোহালিয়া নদীর ওপর সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সেতুটির নির্মাণ কাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। তিনি কাজের মান নিশ্চিত করে নতুন সময়সীমার মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশও দেন।

এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মোসলেম উদ্দিন, আলী আক্তার, একেএম লুৎফুর রহমান, মোখলেছুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক মোশরফের হোসেন, মোল্লা মিজানুর রহমান, পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ, পটুয়াখালী এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুস সাত্তার, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী যুগল কৃষ্ণ মন্ডল প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। নবারুন ট্রেডার্স এবং আবুল কালাম আজাদ নামের দু’টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথ উদ্যোগে ব্রিজটি নির্মাণ করছেন। লোহালিয়া নদীর ওপর ১৪টি স্প্যান বিশিষ্ট ৫৭৬.২৫ মিটার দীর্ঘ এবং ৯.৬৫ মিটার প্রস্থ গার্ডার ব্রিজটি ৪৭.১৯ কোটি টাকায় নির্মিত হচ্ছে।

এলজিইডি কর্মকর্তারা জানান, ব্রিজটির দক্ষিণ পাশে ৪২৫ এবং উত্তর পাশে ২৫০ মিটারসহ মোট ৬৭৫ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হবে এবং উভয়পাশে মোট ৭.০৮ একর জমি এ সংযোগ সড়কের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে পটুয়াখালীর বাউফল, দশমিনা এবং গলাচিপা উপজেলা এবং ভোলা জেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে এবং এই অঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।

image

পটুয়াখালী : লোহালিয়া নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু -সংবাদ

আরও খবর
সিসিক’র স্বাস্থ্যকর্তা ফের করোনায় আক্রান্ত
বাজারের বর্জ্যে অস্তিত্ব সংকটে বামনসুন্দর খাল
স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকা নিচ্ছেন মানুষ
বোদায় জমি বিবাদে নারী নিহত
স্বাভাবিক হয়েও প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্রের রহস্যজনক ব্যবহার সর. কর্মচারীর
মামলার ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চিয়তায় পরিবার
শেওলা সেতুর টোল থেকে ২১ বছরেও মুক্তি পায়নি সিলেটবাসী
রাতে নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ দুর্বৃত্তদের
দাউদকান্দিতে মেয়র পদে ত্রিমুখী লড়াই
সীতাকুন্ডে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় বিএনপি প্রার্থী
মাধবদীতে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা
সুন্দরগঞ্জে দুই জামায়াত কর্মী ধৃত
আ’লীগ-যুবলীগের ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে ৩ মামলা
নৌকার মাঝি হতে চান আ’লীগ নেতা রফিক

শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৯ মাঘ ১৪২৭, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

লোহালিয়া সেতুর নির্মাণ কাজ ফের বাড়ছে দু’বছর

প্রতিনিধি, পটুয়াখালী

image

পটুয়াখালী : লোহালিয়া নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু -সংবাদ

পটুয়াখালী জেলা শহর সংলগ্ন লোহালিয়া নদীর ওপর সেতুর নির্মাণ কাজের সময়সীমা আরও দু’বছর বাড়ানো হচ্ছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রশিদ খান সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে এ বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেন। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ২০২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য সময় পাচ্ছেন।

শহর সংলগ্ন লোহালিয়া নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য এর আগে সময়সীমা ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। এখন ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে। এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বর নাগাদ এ ব্রিজটি নির্মাণের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল তবে করোনার প্রভাবের কারণে শ্রমিক সঙ্কটসহ নানাবিধ সমস্যার কারণে ঠিকাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ এ সময়সীমা পুনর্নিধারণ করেন।

এর আগে প্রধান প্রকৌশলী কলাপাড়া উপজেলার আন্ধারমণিক নদীর ওপর নির্মাণাধীন সৈয়দ নজরুল ইসলাম ব্রিজ’র কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। পায়রা বন্দর সংযোগকারী এ ব্রিজটির নির্মাণ করা ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে এবং চলতি বছরের জুন নাগাদ এ ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে তাকে অবহিত করা হয়। এছাড়াও প্রধান প্রকৌশলী পটুয়াখালী শহরের বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পও পরিদর্শন করেন। এলজিইডি-র প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রশিদ খান স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গতবছরের ডিসেম্বরে লোহালিয়া নদীর ওপর সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সেতুটির নির্মাণ কাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। তিনি কাজের মান নিশ্চিত করে নতুন সময়সীমার মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশও দেন।

এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মোসলেম উদ্দিন, আলী আক্তার, একেএম লুৎফুর রহমান, মোখলেছুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক মোশরফের হোসেন, মোল্লা মিজানুর রহমান, পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ, পটুয়াখালী এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুস সাত্তার, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী যুগল কৃষ্ণ মন্ডল প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। নবারুন ট্রেডার্স এবং আবুল কালাম আজাদ নামের দু’টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথ উদ্যোগে ব্রিজটি নির্মাণ করছেন। লোহালিয়া নদীর ওপর ১৪টি স্প্যান বিশিষ্ট ৫৭৬.২৫ মিটার দীর্ঘ এবং ৯.৬৫ মিটার প্রস্থ গার্ডার ব্রিজটি ৪৭.১৯ কোটি টাকায় নির্মিত হচ্ছে।

এলজিইডি কর্মকর্তারা জানান, ব্রিজটির দক্ষিণ পাশে ৪২৫ এবং উত্তর পাশে ২৫০ মিটারসহ মোট ৬৭৫ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হবে এবং উভয়পাশে মোট ৭.০৮ একর জমি এ সংযোগ সড়কের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে পটুয়াখালীর বাউফল, দশমিনা এবং গলাচিপা উপজেলা এবং ভোলা জেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে এবং এই অঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।