গণপরিবহন চালুর প্রথম দিনেই গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতকাল থেকে জেলার অভ্যন্তরে চালু হয়েছে বাস-মিনিবাস। তবে অনেক বাস-মিনিবাসে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। এছাড়া বাস না পেয়ে ঢাকার আশপাশের জেলার যাত্রীদের পড়তে হয়েছে বিপাকে। বাস চালুর খবর পেয়ে গুলিস্তানে এসে গাড়ি না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে নায়ণগঞ্জগামী অনেক যাত্রীদের। অনেকে আবার যাত্রাবাড়ী ও শনিরআখড়া হয়ে ভেঙে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। গণপরিবহন চালুর প্রথমদিনের বাস-মিনিবাসের চেয়ে সড়কে সিএনজি, রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি সংখ্যা বেশি ছিল ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ছিল গণপরিবহন বাড়তে চাপ। এর ফলে বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। দীর্ঘ এক মাস পর গণপরিবহন চালু ফলে যানবাহনে যাত্রী সংখ্যা ছিল কিছুটা কম। ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক সিটে একজন যাত্রী নিয়ে চলতে দেখা বাস-মিনিবাস। অনেক সময় পরিচিতি যাত্রীরা পাশাপাশি সিটে বসতে চাইলে বাসের হেলপাররা (সহযোগীরা) তাদের উঠিয়ে দিতে দেখা গেছে। যাত্রীদের সবাই মুখে মাস্ক থাকলেও বাসে উঠার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে দেখা যায়নি অনেক গণপরিবহনে। তবে গণপরিবহন চালু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেক যাত্রী।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় হাবিব নামের এক যাত্রী সংবাদকে বলেন, লকডাউনে সব কিছু চলাচল করলেও বাস বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষদের দুর্ভোগ পড়তে হয়েছিল। এখন তা চালু হওয়ায় অনেক সুবিধা হয়েছে। কারণ লকডাউনে সুযোগে রিকশা ও সিএনজি চালকরা মানুষদের জিম্মি করে ভাড়া আদায় করেছে। বাসের ১০-১৫ টাকার ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা দিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সরকারের মনিটরিং থাকা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
শিকড় পরিবহনের নাসের নামের শিকড় পরিবহনের এক চালক বলেন, গতকাল সকাল থেকে বাস চালু হয়েছে। কিন্তু যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। কারণ লকডাউনের কারণে তেমন যাত্রী নেই। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মাস্ক ছাড়া কোন যাত্রী উঠানো হচ্ছে না। এক সিটে একজন যাত্রী নিয়ে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ায় গাড়ি চলানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় আফছার নামের এক ট্রাফিক পুলিশ বলেন, বাস চালুর কারণে সড়কে যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টার সময় গুলিস্তান ছিল অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গতকাল সকাল ১০টার পর থেকে গুলিস্তান এলাকায় যানজট শুরু হয়েছে। গুলিস্তানের জিপিও সিগন্যালের কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া ফুটপাতে দোকানপাটের কারণে গুলিস্তানে যানজট লেগেই থাকে। এতদিন বাস-মিনিবাস বন্ধ থাকায় সড়কে গাড়ির চাপ কম ছিল তাই তেমন যানজট সৃষ্টি হয়নি। এখন আবার বাস-মিনিবাস চালু হওয়ায় আবার আগের অবস্থা তৈরি হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের বাস চালু হলে গুলিস্তানে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয় বলে জানান তিনি।
গুলিস্তান এলাকায় হামিদ নামের নারায়ণগঞ্জের এক যাত্রী সংবাদকে বলেন, ‘বাস চালু হয়েছে শুনে নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার জন্য গুলিস্তানে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি বাস তো বন্ধ। ঢাকার বাস ঢাকায় চলছে। নারায়ণগঞ্জের বাস ঢাকায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। তাই যাত্রাবাড়ী হয়ে ভেঙে ভেঙে নারায়ণগঞ্জে যেতে হবে।’
রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় কামাল উদ্দিন নামের এক যাত্রী বলেন, অফিসের কাজে মিরপুর যাব কিন্তু সিএনজি ভাড়া চাচ্ছে ৩০০ টাকা। তাই বাসে উঠলাম। এতদিন বাস না থাকায় ৩০০-৪০০ টাকায় ভাড়া দিয়ে মিরপুর যেতে হয়েছে। এখন বাস চালু হওয়ায় ভালো হয়েছে।
বাস চালুর ফলে সন্তোষ প্রকাশ করে ট্রান্সসিলভা পরিবহনের চালক মিজান বলেন, ‘লকডাউনের কারণে আমাদের পরিবার নিয়ে চলতে অনেক সমস্যা হচ্ছিল। এখন আমরা বাস চালানোর সুযোগ পেয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা যাত্রী পরিবহন করছি এবং করব।’
তবে অনেক বাসে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী রুটে চলাচল করা বিরতিহীন পরিবহন স্বাস্থ্যবিধি নেই বললেই চলে। বাসে নোংরা সিট। লক্কড়-ঝক্কড় বাসের বডি। তারপর যাত্রী নেয়া হয় দাঁড়িয়ে। একসিটে একজন বসার কথা থাকলেও অনেক সময় তা মানা হয় না। কিন্তু ভাড়া ঠিক ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে যাত্রীরা জানান। পুরানা পল্টন এলাকায় আজিজ নামের এক যাত্রী সংবাদকে বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী-গাবতলী রুটে বিরতিহীন পরিবহন যাত্রীদের জিম্মি করে রেখেছে। এই রুটে অন্য কোন কোম্পনির গাড়ি মানতে দেয় না গাবতলী মিনিবাস মালিক সমিতি। রাজধানীতে সবচেয়ে নোংরা বাস হলো এই বিরতিহীন পরিবহন (সাবেক ৮ নম্বর) বাস। কোন সময় সরকারের কোন নির্দেশনা এই বাসের চালকরা মানে না। ভাড়াও নেয়া হয় নিজেদের তৈরি করা চার্ট অনুযায়ী। স্বাস্থ্যবিধি তো দূরের কথা অনেক সময় গাদাগাদি করে যাত্রী বোঝাই করে চলাচল করে এই বিরতিহীন পরিবহন।’
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়ে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে গণপরিবহন চলাচলের অনুমোদন দিয়ে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। কোনভাবেই মোট আসনের অর্ধেকের বেশি যাত্রী নেয়া যাবে না। সমন্বয় করে ৬০ শতাংশ বাড়ানো ভাড়ার বেশি আদায় করা যাবে না। যাত্রার শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে। চালক, অন্যান্য শ্রমিক, কর্মচারী ও যাত্রীদের মাস্ক পরা এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশও দেয়া হয় প্রজ্ঞাপনে।
শুক্রবার, ০৭ মে ২০২১ , ২৫ বৈশাখ ১৪২৮ ২৫ রমজান ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
গণপরিবহন চালুর প্রথম দিনেই গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতকাল থেকে জেলার অভ্যন্তরে চালু হয়েছে বাস-মিনিবাস। তবে অনেক বাস-মিনিবাসে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। এছাড়া বাস না পেয়ে ঢাকার আশপাশের জেলার যাত্রীদের পড়তে হয়েছে বিপাকে। বাস চালুর খবর পেয়ে গুলিস্তানে এসে গাড়ি না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে নায়ণগঞ্জগামী অনেক যাত্রীদের। অনেকে আবার যাত্রাবাড়ী ও শনিরআখড়া হয়ে ভেঙে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। গণপরিবহন চালুর প্রথমদিনের বাস-মিনিবাসের চেয়ে সড়কে সিএনজি, রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি সংখ্যা বেশি ছিল ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ছিল গণপরিবহন বাড়তে চাপ। এর ফলে বিভিন্ন সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। দীর্ঘ এক মাস পর গণপরিবহন চালু ফলে যানবাহনে যাত্রী সংখ্যা ছিল কিছুটা কম। ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক সিটে একজন যাত্রী নিয়ে চলতে দেখা বাস-মিনিবাস। অনেক সময় পরিচিতি যাত্রীরা পাশাপাশি সিটে বসতে চাইলে বাসের হেলপাররা (সহযোগীরা) তাদের উঠিয়ে দিতে দেখা গেছে। যাত্রীদের সবাই মুখে মাস্ক থাকলেও বাসে উঠার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে দেখা যায়নি অনেক গণপরিবহনে। তবে গণপরিবহন চালু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেক যাত্রী।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় হাবিব নামের এক যাত্রী সংবাদকে বলেন, লকডাউনে সব কিছু চলাচল করলেও বাস বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষদের দুর্ভোগ পড়তে হয়েছিল। এখন তা চালু হওয়ায় অনেক সুবিধা হয়েছে। কারণ লকডাউনে সুযোগে রিকশা ও সিএনজি চালকরা মানুষদের জিম্মি করে ভাড়া আদায় করেছে। বাসের ১০-১৫ টাকার ভাড়া ১৫০-২০০ টাকা দিয়ে চলাচল করতে হয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সরকারের মনিটরিং থাকা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
শিকড় পরিবহনের নাসের নামের শিকড় পরিবহনের এক চালক বলেন, গতকাল সকাল থেকে বাস চালু হয়েছে। কিন্তু যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। কারণ লকডাউনের কারণে তেমন যাত্রী নেই। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মাস্ক ছাড়া কোন যাত্রী উঠানো হচ্ছে না। এক সিটে একজন যাত্রী নিয়ে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ায় গাড়ি চলানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় আফছার নামের এক ট্রাফিক পুলিশ বলেন, বাস চালুর কারণে সড়কে যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল দুপুর ১২টার সময় গুলিস্তান ছিল অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গতকাল সকাল ১০টার পর থেকে গুলিস্তান এলাকায় যানজট শুরু হয়েছে। গুলিস্তানের জিপিও সিগন্যালের কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া ফুটপাতে দোকানপাটের কারণে গুলিস্তানে যানজট লেগেই থাকে। এতদিন বাস-মিনিবাস বন্ধ থাকায় সড়কে গাড়ির চাপ কম ছিল তাই তেমন যানজট সৃষ্টি হয়নি। এখন আবার বাস-মিনিবাস চালু হওয়ায় আবার আগের অবস্থা তৈরি হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের বাস চালু হলে গুলিস্তানে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয় বলে জানান তিনি।
গুলিস্তান এলাকায় হামিদ নামের নারায়ণগঞ্জের এক যাত্রী সংবাদকে বলেন, ‘বাস চালু হয়েছে শুনে নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার জন্য গুলিস্তানে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি বাস তো বন্ধ। ঢাকার বাস ঢাকায় চলছে। নারায়ণগঞ্জের বাস ঢাকায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। তাই যাত্রাবাড়ী হয়ে ভেঙে ভেঙে নারায়ণগঞ্জে যেতে হবে।’
রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় কামাল উদ্দিন নামের এক যাত্রী বলেন, অফিসের কাজে মিরপুর যাব কিন্তু সিএনজি ভাড়া চাচ্ছে ৩০০ টাকা। তাই বাসে উঠলাম। এতদিন বাস না থাকায় ৩০০-৪০০ টাকায় ভাড়া দিয়ে মিরপুর যেতে হয়েছে। এখন বাস চালু হওয়ায় ভালো হয়েছে।
বাস চালুর ফলে সন্তোষ প্রকাশ করে ট্রান্সসিলভা পরিবহনের চালক মিজান বলেন, ‘লকডাউনের কারণে আমাদের পরিবার নিয়ে চলতে অনেক সমস্যা হচ্ছিল। এখন আমরা বাস চালানোর সুযোগ পেয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা যাত্রী পরিবহন করছি এবং করব।’
তবে অনেক বাসে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী রুটে চলাচল করা বিরতিহীন পরিবহন স্বাস্থ্যবিধি নেই বললেই চলে। বাসে নোংরা সিট। লক্কড়-ঝক্কড় বাসের বডি। তারপর যাত্রী নেয়া হয় দাঁড়িয়ে। একসিটে একজন বসার কথা থাকলেও অনেক সময় তা মানা হয় না। কিন্তু ভাড়া ঠিক ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে যাত্রীরা জানান। পুরানা পল্টন এলাকায় আজিজ নামের এক যাত্রী সংবাদকে বলেন, ‘যাত্রাবাড়ী-গাবতলী রুটে বিরতিহীন পরিবহন যাত্রীদের জিম্মি করে রেখেছে। এই রুটে অন্য কোন কোম্পনির গাড়ি মানতে দেয় না গাবতলী মিনিবাস মালিক সমিতি। রাজধানীতে সবচেয়ে নোংরা বাস হলো এই বিরতিহীন পরিবহন (সাবেক ৮ নম্বর) বাস। কোন সময় সরকারের কোন নির্দেশনা এই বাসের চালকরা মানে না। ভাড়াও নেয়া হয় নিজেদের তৈরি করা চার্ট অনুযায়ী। স্বাস্থ্যবিধি তো দূরের কথা অনেক সময় গাদাগাদি করে যাত্রী বোঝাই করে চলাচল করে এই বিরতিহীন পরিবহন।’
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়ে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে গণপরিবহন চলাচলের অনুমোদন দিয়ে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। কোনভাবেই মোট আসনের অর্ধেকের বেশি যাত্রী নেয়া যাবে না। সমন্বয় করে ৬০ শতাংশ বাড়ানো ভাড়ার বেশি আদায় করা যাবে না। যাত্রার শুরু ও শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করতে হবে। চালক, অন্যান্য শ্রমিক, কর্মচারী ও যাত্রীদের মাস্ক পরা এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশও দেয়া হয় প্রজ্ঞাপনে।