তিনদিন পর মৃত্যু ৫০ ছাড়ালো : বেড়েছে শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক মৃত্যু পঞ্চাশের নিচে নেমে তিন দিন পর আবার তা ৫০ ছাড়িয়ে গেল। আগের দিনও ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৯৩৪ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৮৬ জন। আর আগের দিন শনাক্ত হন ১ হাজার ২৮৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্ত ফের বেড়েছে। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত দেশে সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫১৩ জনে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৩২৯ জন। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত থেকে সুস্থ হলেন সাত লাখ ১০ হাজার ১৬২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১৬ হাজার ৭৭৫টি এবং গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ৯১৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৬ লাখ ৩০ লাখ ৮৯৪টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬২টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩২টি।

দেশে বর্তমানে মোট ৪৫৪টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে অধিদপ্তর জানায়, এরমধ্যে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ১২৮টি পরীক্ষাগারে, জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৩৫টি পরীক্ষাগারে এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ২৯১টি পরীক্ষাগারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫৬ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৮ জন এবং নারী ১৮ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন আট হাজার ৬৫৩ জন এবং নারী তিন হাজার ২৮১ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৩০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন।

আর বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগের ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জন, রাজশাহী বিভাগের তিন জন, খুলনা বিভাগের চার জন, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের দুই জন করে এবং সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন একজন করে। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৬ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৫ জন আর বাড়িতে পাঁচ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া মোট তিন হাজার ৩২৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের এক হাজার ৬৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৭১৬ জন, রংপুর বিভাগের ৩৯১ জন, খুলনা বিভাগের ৫১২ জন, বরিশাল বিভাগের ২৩৫ জন, রাজশাহী বিভাগের ২১৪ জন, সিলেট বিভাগের ১৩৯ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন ৫৪ জন। এ পর্যন্ত মৃত ১১ হাজার ৯৩৪ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৬৫৩ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ২৮১ জন নারী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সরকারি- বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে সারাদেশে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ১ হাজার ৬৯। এর মধ্যে বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে ৬৬৪টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২৮৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫১২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ২৬ হাজার ১৫৩ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৪০৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৭৪৬ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

সোমবার, ১০ মে ২০২১ , ২৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমজান ১৪৪২

তিনদিন পর মৃত্যু ৫০ ছাড়ালো : বেড়েছে শনাক্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক মৃত্যু পঞ্চাশের নিচে নেমে তিন দিন পর আবার তা ৫০ ছাড়িয়ে গেল। আগের দিনও ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৯৩৪ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৮৬ জন। আর আগের দিন শনাক্ত হন ১ হাজার ২৮৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্ত ফের বেড়েছে। সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত দেশে সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫১৩ জনে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৩২৯ জন। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত থেকে সুস্থ হলেন সাত লাখ ১০ হাজার ১৬২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১৬ হাজার ৭৭৫টি এবং গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ৯১৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৬ লাখ ৩০ লাখ ৮৯৪টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬২টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩২টি।

দেশে বর্তমানে মোট ৪৫৪টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে অধিদপ্তর জানায়, এরমধ্যে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ১২৮টি পরীক্ষাগারে, জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৩৫টি পরীক্ষাগারে এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ২৯১টি পরীক্ষাগারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫৬ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৮ জন এবং নারী ১৮ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন আট হাজার ৬৫৩ জন এবং নারী তিন হাজার ২৮১ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৩০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন।

আর বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগের ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জন, রাজশাহী বিভাগের তিন জন, খুলনা বিভাগের চার জন, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের দুই জন করে এবং সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন একজন করে। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৬ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১৫ জন আর বাড়িতে পাঁচ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া মোট তিন হাজার ৩২৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের এক হাজার ৬৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৭১৬ জন, রংপুর বিভাগের ৩৯১ জন, খুলনা বিভাগের ৫১২ জন, বরিশাল বিভাগের ২৩৫ জন, রাজশাহী বিভাগের ২১৪ জন, সিলেট বিভাগের ১৩৯ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন ৫৪ জন। এ পর্যন্ত মৃত ১১ হাজার ৯৩৪ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৬৫৩ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ২৮১ জন নারী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সরকারি- বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে সারাদেশে মোট আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ১ হাজার ৬৯। এর মধ্যে বর্তমানে ফাঁকা রয়েছে ৬৬৪টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২৮৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫১২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ২৬ হাজার ১৫৩ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৪০৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৭৪৬ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।