টিকা : দ্বিতীয় ডোজের ঘাটতি কীভাবে পূরণ হবে?

টিকা সংকটের কারণে যারা করোনার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ হিসাবে দ্বিতীয় ডোজের জন্য দেশে টিকার ঘাটতি আছে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ ডোজ।

কিন্তু বিভিন্ন কারণে টিকা নষ্ট হতে পারে এবং সেটাই স্বাভাবিক বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তাই কতজনের দ্বিতীয় ডোজের ঘাটতি হবে সেই হিসাব এখন চূড়ান্ত নয়।

চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার জন্য চীনের সিনোফার্ম ও রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি টিকা আমদানির তোড়জোড় চলছে। আগামীকাল চীন থেকে পাঁচ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা আসবে বলে চীনের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। যারা প্রথম ডোজে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন তাদের কী চীনের সিনোফার্মের টিকা দেয়া যাবে? এ প্রশ্নের কোন সুনির্দিষ্ট উত্তর মিলছে না। যদিও বেশ কয়েকটি দেশে টিকার মিশ্রণ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

যুক্তরাজ্যে কম-কোভ নামে এ ধরনেরই একটি গবেষণা চলছে। যেখানে পঞ্চাশোর্ধ যারা প্রথম ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা ফাইজারের টিকা নিয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজে মডার্না বা নোভাভ্যাক্সের টিকা দেয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে ৮০০ জনের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তবে জুন-জুলাইয়ের আগে এর প্রাথমিক কোন ফলাফল পাওয়া যাবে না বলেই সংশ্লিষ্টদের উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

সুতরাং নির্ভরযোগ্য কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণা ছাড়া এই মিশ্র টিকার ব্যাবহার করা এখন সম্ভব নয়।

তবে একটি সুখবর পাওয়া যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দেশটির কাছে ৬ কোটি ডোজেরও অধিক অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা আছে যা তারা অন্য দেশে রপ্তানি করতে চায়। জরুরি ভিত্তিতে সেখান থেকেই ৪০ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এ কথা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আরও এক থেকে দুই কোটি ডোজ ভ্যাকসিন চাইব।’

তবে এই টিকা পাওয়া যাবে কিনা আর পাওয়া গেলেও কবে, সে বিষয়ে এখনও কোন খবর মিলেনি।

তাহলে উপায় কী? দেশের জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ তিন থেকে চার মাস পরও নেয়া যাবে। তবে সরকারকে অবশ্যই অতিদ্রুত টিকা সংগ্রহ করতে হবে।

করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ সংবাদকে বলেন, ‘করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রথম ডোজ দেয়ার তিন থেকে চার মাস পরও দেয়া যায়। এখন যদি দ্বিতীয় ডোজ পেতে দেরি হয় তবে আমার মতে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। সরকার যেভাবে চেষ্টা করছে তাতে এ সময়ে দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োজনীয় টিকা দেশে এসে যাবে।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সালও বলছেন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে তার মতে টিকাদান শুরু করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনার ঘাটতি ছিল আর দ্বিতীয় ডোজ ১২ সপ্তাহ পর দেয়া উচিত ছিল।

‘মাত্র একটি উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের জন্য চুক্তি করাও সঠিক ছিল না। একাধিক উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করা উচিত ছিল। তবে যদি ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ না করত তবে হয়তো পরিস্থিতি এ পর্যায়ে যেত না,’ বলেন ডা. জামিল ফয়সাল।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বেনজির আহমদ বলেন, ‘এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে একটি উপায় আছে, তা হলো দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার সময় প্রথম ডোজের ৮ সপ্তাহ পর না করে ১২ সপ্তাহ করা যেতে পারে। এতে কোন অসুবিধা নেই। অন্যদিকে একমাস সময় পেলে দ্বিতীয় ডোজের সব টিকা সংগ্রহ করা হয়ে যাবে বলে মনে হয়।’

এখন প্রতিদিন যে হারে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হচ্ছে সেই হিসাবে এ মাসেই মজুদ শেষ হয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

ইতোমধ্যে টিকা সংকটের কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ দেয়া স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশে নতুন করে করোনার টিকার কোন চালান না আসায় নিবন্ধন বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ পর্যন্ত ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এ পর্যন্ত এক কোটি তিন লাখ ডোজ টিকা এসেছে দেশে। গত নভেম্বরের চুক্তি অনুসারে, বাংলাদেশকে ছয় ধাপে তিন কোটি ডোজ টিকা দেয়ার কথা ছিল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের। দুই ধাপে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে সেরাম থেকে। এরপর থেকে আর কোন চালানই পাঠায়নি তারা। এর বাইরে ভারত সরকার ৩৩ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে।

গত রোববার পর্যন্ত টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৪ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৬ জন। আর টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় মিলে টিকা দেয়া হয়েছে ৯৩ লাখ ১৬ হাজার ৪৮ ডোজ। বিতরণ করা টিকা বাদ দিলে হাতে মজুদ আছে মাত্র ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৯১৪ ডোজ। ঘাটতি টিকার পরিমাণ ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ ডোজ।

ডা. সহিদুল্লাহ বলেন, ‘এখন আমাদের বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের ওপর আরও জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকেও টিকা সংগ্রহ করা যাবে। ইতোমধ্যে এ নিয়ে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে আর ভারত থেকেও।

মঙ্গলবার, ১১ মে ২০২১ , ২৮ বৈশাখ ১৪২৮ ২৮ রমজান ১৪৪২

টিকা : দ্বিতীয় ডোজের ঘাটতি কীভাবে পূরণ হবে?

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

টিকা সংকটের কারণে যারা করোনার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ হিসাবে দ্বিতীয় ডোজের জন্য দেশে টিকার ঘাটতি আছে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ ডোজ।

কিন্তু বিভিন্ন কারণে টিকা নষ্ট হতে পারে এবং সেটাই স্বাভাবিক বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তাই কতজনের দ্বিতীয় ডোজের ঘাটতি হবে সেই হিসাব এখন চূড়ান্ত নয়।

চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার জন্য চীনের সিনোফার্ম ও রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি টিকা আমদানির তোড়জোড় চলছে। আগামীকাল চীন থেকে পাঁচ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা আসবে বলে চীনের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। যারা প্রথম ডোজে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন তাদের কী চীনের সিনোফার্মের টিকা দেয়া যাবে? এ প্রশ্নের কোন সুনির্দিষ্ট উত্তর মিলছে না। যদিও বেশ কয়েকটি দেশে টিকার মিশ্রণ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

যুক্তরাজ্যে কম-কোভ নামে এ ধরনেরই একটি গবেষণা চলছে। যেখানে পঞ্চাশোর্ধ যারা প্রথম ডোজে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা ফাইজারের টিকা নিয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজে মডার্না বা নোভাভ্যাক্সের টিকা দেয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে ৮০০ জনের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তবে জুন-জুলাইয়ের আগে এর প্রাথমিক কোন ফলাফল পাওয়া যাবে না বলেই সংশ্লিষ্টদের উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

সুতরাং নির্ভরযোগ্য কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণা ছাড়া এই মিশ্র টিকার ব্যাবহার করা এখন সম্ভব নয়।

তবে একটি সুখবর পাওয়া যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দেশটির কাছে ৬ কোটি ডোজেরও অধিক অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা আছে যা তারা অন্য দেশে রপ্তানি করতে চায়। জরুরি ভিত্তিতে সেখান থেকেই ৪০ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এ কথা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আরও এক থেকে দুই কোটি ডোজ ভ্যাকসিন চাইব।’

তবে এই টিকা পাওয়া যাবে কিনা আর পাওয়া গেলেও কবে, সে বিষয়ে এখনও কোন খবর মিলেনি।

তাহলে উপায় কী? দেশের জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ তিন থেকে চার মাস পরও নেয়া যাবে। তবে সরকারকে অবশ্যই অতিদ্রুত টিকা সংগ্রহ করতে হবে।

করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ সংবাদকে বলেন, ‘করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রথম ডোজ দেয়ার তিন থেকে চার মাস পরও দেয়া যায়। এখন যদি দ্বিতীয় ডোজ পেতে দেরি হয় তবে আমার মতে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। সরকার যেভাবে চেষ্টা করছে তাতে এ সময়ে দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োজনীয় টিকা দেশে এসে যাবে।’

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সালও বলছেন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে তার মতে টিকাদান শুরু করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনার ঘাটতি ছিল আর দ্বিতীয় ডোজ ১২ সপ্তাহ পর দেয়া উচিত ছিল।

‘মাত্র একটি উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের জন্য চুক্তি করাও সঠিক ছিল না। একাধিক উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করা উচিত ছিল। তবে যদি ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ না করত তবে হয়তো পরিস্থিতি এ পর্যায়ে যেত না,’ বলেন ডা. জামিল ফয়সাল।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বেনজির আহমদ বলেন, ‘এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে একটি উপায় আছে, তা হলো দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার সময় প্রথম ডোজের ৮ সপ্তাহ পর না করে ১২ সপ্তাহ করা যেতে পারে। এতে কোন অসুবিধা নেই। অন্যদিকে একমাস সময় পেলে দ্বিতীয় ডোজের সব টিকা সংগ্রহ করা হয়ে যাবে বলে মনে হয়।’

এখন প্রতিদিন যে হারে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হচ্ছে সেই হিসাবে এ মাসেই মজুদ শেষ হয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

ইতোমধ্যে টিকা সংকটের কারণে গত ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজ দেয়া স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশে নতুন করে করোনার টিকার কোন চালান না আসায় নিবন্ধন বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ পর্যন্ত ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এ পর্যন্ত এক কোটি তিন লাখ ডোজ টিকা এসেছে দেশে। গত নভেম্বরের চুক্তি অনুসারে, বাংলাদেশকে ছয় ধাপে তিন কোটি ডোজ টিকা দেয়ার কথা ছিল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের। দুই ধাপে জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে সেরাম থেকে। এরপর থেকে আর কোন চালানই পাঠায়নি তারা। এর বাইরে ভারত সরকার ৩৩ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে।

গত রোববার পর্যন্ত টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৪ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৬ জন। আর টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় মিলে টিকা দেয়া হয়েছে ৯৩ লাখ ১৬ হাজার ৪৮ ডোজ। বিতরণ করা টিকা বাদ দিলে হাতে মজুদ আছে মাত্র ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৯১৪ ডোজ। ঘাটতি টিকার পরিমাণ ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ ডোজ।

ডা. সহিদুল্লাহ বলেন, ‘এখন আমাদের বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের ওপর আরও জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকেও টিকা সংগ্রহ করা যাবে। ইতোমধ্যে এ নিয়ে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে আর ভারত থেকেও।