পাথরঘাটায় সড়ক প্রশস্তের নামে গাছ কর্তন : হুমকিতে পরিবেশ

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো তিনটি ঝাউ গাছ গত মঙ্গলবার দুপুরে কেটেছে ফেলেছে। ইতোপূর্বেও হাসপাতাল চত্বরের দুইটি খেজুর গাছ, একটি করে সফেদা ও কাঁঠাল গাছ কাটা হয়েছিল। সড়ক প্রশস্তের নামে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল ফাত্তাহ’র নির্দেশে ওই গাছ কাটার হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দাতা সদস্য খলিল পহলান বলেন, সড়ক প্রশস্তের নামে সৌন্দর্যবর্ধন ঝাউ গাছ তিনটি না কেটেও সড়ক প্রশস্ত করা যেত। এভাবে গাছ কাটা কোনভাবেই ঠিক হয়নি। এতে পরিবেশ ও সৌন্দর্য বিঘিœত হচ্ছে।

পাথরঘাটার পরিবেশ আন্দোলন কর্মী আমিন সোহেল ও সোহেল মল্লিক বলেন, উন্নয়নের নামে পরিবেশের ক্ষতি করে সৌন্দর্যবর্ধন ঝাউ গাছ কাটা ঠিক হয়নি। বরং কৃষ্ণচূড়া ও হাসনাহেনাসহ বিভিন্ন সৌন্দর্যবর্ধন গাছ ও ফুল-ফল এবং ছায়া পরিবেশের বনজ গাছ দিয়ে সুন্দরভাবে হাসপাতাল চত্বর সাজালে আগত ব্যক্তিরা উদ্বেলিত হবেন। এতে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের মানসিকতারও পরিবর্তন আসে।

স্থানীয়রা বলেন, সৌন্দর্যবর্ধন ঝাউগাছ না কেটেও সড়ক নির্মাণ করতো তবে সব দিক থেকে ভালো হতো। এতে যেমন গাছ তিনটিও রক্ষা হতো এবং সড়কও প্রশস্ত করা হতো।

নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল ফাতাহ এর আগেও খেজুর সফেদা ও কাঁঠালসহ চারটি ফলজ গাছ কেটে ছিলেন। যার মধ্যে দুইটি খেজুরগাছ এখনও ওই এলাকায় পড়ে রয়েছে।

বনবিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুল হক বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান কোন গাছ কাটা প্রয়োজন হলে অবশ্যই তা ইউএনওসহ বনবিভাগকে অবগত করা বাধ্যতামূলক। ওই গাছের সরেজমিন প্রতিবেদন দেয়ার পরেই গাছ কাটা যাবে তা না হলে গাছ কাটা যাবে না।

অভিযোগ প্রসঙ্গে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল ফাত্তাহ বলেন, সড়ক প্রশস্ত করতে গিয়ে গাছ কাটতে হয়েছে। গাছের শিকড়ে সড়ক নষ্ট হওয়ার কারণে ওই গাছ কাটতে হয়েছে।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা সুলতানা বলেন, গাছ কাটার ব্যাপারে আমি অবগত নই। তাই এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারছি না।

শনিবার, ২২ মে ২০২১ , ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৯ শাওয়াল ১৪৪২

পাথরঘাটায় সড়ক প্রশস্তের নামে গাছ কর্তন : হুমকিতে পরিবেশ

প্রতিনিধি, পাথরঘাটা (বরগুনা)

image

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো তিনটি ঝাউ গাছ গত মঙ্গলবার দুপুরে কেটেছে ফেলেছে। ইতোপূর্বেও হাসপাতাল চত্বরের দুইটি খেজুর গাছ, একটি করে সফেদা ও কাঁঠাল গাছ কাটা হয়েছিল। সড়ক প্রশস্তের নামে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল ফাত্তাহ’র নির্দেশে ওই গাছ কাটার হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দাতা সদস্য খলিল পহলান বলেন, সড়ক প্রশস্তের নামে সৌন্দর্যবর্ধন ঝাউ গাছ তিনটি না কেটেও সড়ক প্রশস্ত করা যেত। এভাবে গাছ কাটা কোনভাবেই ঠিক হয়নি। এতে পরিবেশ ও সৌন্দর্য বিঘিœত হচ্ছে।

পাথরঘাটার পরিবেশ আন্দোলন কর্মী আমিন সোহেল ও সোহেল মল্লিক বলেন, উন্নয়নের নামে পরিবেশের ক্ষতি করে সৌন্দর্যবর্ধন ঝাউ গাছ কাটা ঠিক হয়নি। বরং কৃষ্ণচূড়া ও হাসনাহেনাসহ বিভিন্ন সৌন্দর্যবর্ধন গাছ ও ফুল-ফল এবং ছায়া পরিবেশের বনজ গাছ দিয়ে সুন্দরভাবে হাসপাতাল চত্বর সাজালে আগত ব্যক্তিরা উদ্বেলিত হবেন। এতে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের মানসিকতারও পরিবর্তন আসে।

স্থানীয়রা বলেন, সৌন্দর্যবর্ধন ঝাউগাছ না কেটেও সড়ক নির্মাণ করতো তবে সব দিক থেকে ভালো হতো। এতে যেমন গাছ তিনটিও রক্ষা হতো এবং সড়কও প্রশস্ত করা হতো।

নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল ফাতাহ এর আগেও খেজুর সফেদা ও কাঁঠালসহ চারটি ফলজ গাছ কেটে ছিলেন। যার মধ্যে দুইটি খেজুরগাছ এখনও ওই এলাকায় পড়ে রয়েছে।

বনবিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুল হক বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান কোন গাছ কাটা প্রয়োজন হলে অবশ্যই তা ইউএনওসহ বনবিভাগকে অবগত করা বাধ্যতামূলক। ওই গাছের সরেজমিন প্রতিবেদন দেয়ার পরেই গাছ কাটা যাবে তা না হলে গাছ কাটা যাবে না।

অভিযোগ প্রসঙ্গে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল ফাত্তাহ বলেন, সড়ক প্রশস্ত করতে গিয়ে গাছ কাটতে হয়েছে। গাছের শিকড়ে সড়ক নষ্ট হওয়ার কারণে ওই গাছ কাটতে হয়েছে।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিনা সুলতানা বলেন, গাছ কাটার ব্যাপারে আমি অবগত নই। তাই এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারছি না।