সৌদি সরকারের নতুন বিধিনিষেধ ভোগান্তির মুখে প্রবাসীরা

করোনা সংক্রমণ রোধে সৌদি সরকারের দেয়া নতুন বিধিনিষেধে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সৌদি প্রবাসী যাত্রীরা। নিজ খরচে ৭ দিন হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে প্রবাসীদের। এতে হোটেল বুকিংয়ে অতিরিক্ত অর্থ খরচ হওয়ায় বিপাকে তারা। বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টিনের নিয়ম শিথিল করার দাবি জানিয়েছে তারা। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সৌদি এয়ারলাইন্সের অফিসের সামনে সৌদি গমনেচ্ছুদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

সৌদি সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নির্দিষ্ট হোটেলের বুকিং ও ইস্যুরেন্স ছাড়া বোর্ডিং পাস পাওয়া যাচ্ছে না কিছুতেই। যারা করোনার ভ্যাকসিন নেননি, তারা সৌদি আরবে প্রবেশ করলে সাতদিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আর হোটেলের ব্যয়ও বহন করতে হবে যাত্রীকেই। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২০ মে হতে ২৪ শে মে পর্যন্ত বিমানের সৌদিগামী সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়। এতে দেশটিতে যেতে এবং সেখান আসতে চাওয়া প্রবাসীরা বিপাকে পড়েছেন। এ অবস্থায় কোয়ারেন্টিনের বিধিনিষেধ শিথিল করার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।

প্রবাসীরা জানান, গত কয়েকদিন সোনাগাঁও থেকে এয়ারপোর্টে যে পরিমাণ হয়রানির শিকার হতে হয়েছে; সেটা বলার হতো। এতে আমাদের লাখের ওপর টাকা খরচ হচ্ছে। রিয়াদ প্রবাসী নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে বিদেশে টাকা রোজগার করি। অনেক কম খরচ করে চলে মাসে ২০-২৫ টাকা সঞ্চয় করি। বাড়িতে এসে টাকা-পয়সা খরচ করে এখন খালি হাতে ফিরে যাচ্ছি। এখন এ সময়ে হোটেল ভাড়ার নামে ৬৫-৭০ হাজার টাকা কোথা থেকে দেব?

এ ছাড়াও সৌদিতে থাকা স্থানীয় প্রবাসীরা বলছেন, ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের আত্মীয়স্বজনরা চাইলে জেদ্দা বিমানবন্দরের টার্মিনাল ওয়ানের সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিটিং অফিস থেকেও সৌদি সরকার ঘোষিত কোয়ারেন্টিন হোটেলে বুকিং দিতে পারছেন যা বাংলাদেশের তুলনায় খরচ অনেক কম।

রবিবার, ২৩ মে ২০২১ , ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১০ শাওয়াল ১৪৪২

সৌদি সরকারের নতুন বিধিনিষেধ ভোগান্তির মুখে প্রবাসীরা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিটপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন -সংবাদ

করোনা সংক্রমণ রোধে সৌদি সরকারের দেয়া নতুন বিধিনিষেধে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সৌদি প্রবাসী যাত্রীরা। নিজ খরচে ৭ দিন হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে প্রবাসীদের। এতে হোটেল বুকিংয়ে অতিরিক্ত অর্থ খরচ হওয়ায় বিপাকে তারা। বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টিনের নিয়ম শিথিল করার দাবি জানিয়েছে তারা। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সৌদি এয়ারলাইন্সের অফিসের সামনে সৌদি গমনেচ্ছুদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

সৌদি সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী নির্দিষ্ট হোটেলের বুকিং ও ইস্যুরেন্স ছাড়া বোর্ডিং পাস পাওয়া যাচ্ছে না কিছুতেই। যারা করোনার ভ্যাকসিন নেননি, তারা সৌদি আরবে প্রবেশ করলে সাতদিন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আর হোটেলের ব্যয়ও বহন করতে হবে যাত্রীকেই। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২০ মে হতে ২৪ শে মে পর্যন্ত বিমানের সৌদিগামী সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়। এতে দেশটিতে যেতে এবং সেখান আসতে চাওয়া প্রবাসীরা বিপাকে পড়েছেন। এ অবস্থায় কোয়ারেন্টিনের বিধিনিষেধ শিথিল করার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।

প্রবাসীরা জানান, গত কয়েকদিন সোনাগাঁও থেকে এয়ারপোর্টে যে পরিমাণ হয়রানির শিকার হতে হয়েছে; সেটা বলার হতো। এতে আমাদের লাখের ওপর টাকা খরচ হচ্ছে। রিয়াদ প্রবাসী নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে বিদেশে টাকা রোজগার করি। অনেক কম খরচ করে চলে মাসে ২০-২৫ টাকা সঞ্চয় করি। বাড়িতে এসে টাকা-পয়সা খরচ করে এখন খালি হাতে ফিরে যাচ্ছি। এখন এ সময়ে হোটেল ভাড়ার নামে ৬৫-৭০ হাজার টাকা কোথা থেকে দেব?

এ ছাড়াও সৌদিতে থাকা স্থানীয় প্রবাসীরা বলছেন, ঢাকা থেকে আসা যাত্রীদের আত্মীয়স্বজনরা চাইলে জেদ্দা বিমানবন্দরের টার্মিনাল ওয়ানের সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিটিং অফিস থেকেও সৌদি সরকার ঘোষিত কোয়ারেন্টিন হোটেলে বুকিং দিতে পারছেন যা বাংলাদেশের তুলনায় খরচ অনেক কম।