যুক্তরাজ্য থেকে ১৬ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ

ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় ঘাটতি মেটাতে যুক্তরাজ্যের কাছে জরুরি ভিত্তিতে টিকা সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল ব্রিটেনের টেলিভিশন চ্যানেল আইটিভিতে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের টিকা পরিস্থিতিকে সংকটজনক আখ্যা দিয়ে এ সহায়তা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত ভয়ঙ্কর সংকটময় মুহূর্ত পার করছে। দেশটির করোনা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। আমরা এই পরিস্থিতি বুঝতে পারছি। ফলে তারা যে পরিমাণ টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। আমাদের দেশে দ্বিতীয় ডোজের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার মাত্র ১৬ লাখ টিকা প্রয়োজন। আমরা এ টিকা সহায়তার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেছি।

আইটিভির খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় ১৬ লাখ মানুষকে অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে, যাদের ১২ সপ্তাহের মধ্যে এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কথা। কিন্তু সেরামের কাছ থেকে টিকা না আসায় ১৬ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

আবদুল মোমেন বলেন, যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে বাংলাদেশ ১৬ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সরাসরি যুক্তরাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই পরিমাণ টিকা চেয়েছে। কিন্তু তাদের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা নেই বলে বাংলাদেশের এই আবেদন খারিজ করেছে ব্রিটিশ সরকার। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, যুক্তরাজ্য সরকার চেষ্টা করলে এই পরিমাণ টিকার ব্যবস্থা করতে পারবে। আমরা মনে করি, তাদের সেই সামর্থ্য আছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করে। তাদের উচিত, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোকে সাহায্য করা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের ভালো বন্ধু। অনেক বাংলাদেশি যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। তাই যুক্তরাজ্যের উচিত এগিয়ে আসা। তিনি বলেন, আমরা অনেক টিকা চাইছি না। আমরা শুধু অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৬ লাখ ডোজ চাইছি। যে টিকা যুক্তরাজ্যের আছে।

রবিবার, ২৩ মে ২০২১ , ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১০ শাওয়াল ১৪৪২

যুক্তরাজ্য থেকে ১৬ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ায় ঘাটতি মেটাতে যুক্তরাজ্যের কাছে জরুরি ভিত্তিতে টিকা সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল ব্রিটেনের টেলিভিশন চ্যানেল আইটিভিতে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের টিকা পরিস্থিতিকে সংকটজনক আখ্যা দিয়ে এ সহায়তা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত ভয়ঙ্কর সংকটময় মুহূর্ত পার করছে। দেশটির করোনা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। আমরা এই পরিস্থিতি বুঝতে পারছি। ফলে তারা যে পরিমাণ টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। আমাদের দেশে দ্বিতীয় ডোজের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার মাত্র ১৬ লাখ টিকা প্রয়োজন। আমরা এ টিকা সহায়তার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেছি।

আইটিভির খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় ১৬ লাখ মানুষকে অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে, যাদের ১২ সপ্তাহের মধ্যে এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কথা। কিন্তু সেরামের কাছ থেকে টিকা না আসায় ১৬ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

আবদুল মোমেন বলেন, যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে বাংলাদেশ ১৬ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সরাসরি যুক্তরাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই পরিমাণ টিকা চেয়েছে। কিন্তু তাদের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা নেই বলে বাংলাদেশের এই আবেদন খারিজ করেছে ব্রিটিশ সরকার। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, যুক্তরাজ্য সরকার চেষ্টা করলে এই পরিমাণ টিকার ব্যবস্থা করতে পারবে। আমরা মনে করি, তাদের সেই সামর্থ্য আছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করে। তাদের উচিত, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোকে সাহায্য করা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের ভালো বন্ধু। অনেক বাংলাদেশি যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। তাই যুক্তরাজ্যের উচিত এগিয়ে আসা। তিনি বলেন, আমরা অনেক টিকা চাইছি না। আমরা শুধু অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৬ লাখ ডোজ চাইছি। যে টিকা যুক্তরাজ্যের আছে।