ফুটেজ চেয়েছে ডিবি
কারাবন্দী প্রথম আলোর জ্যষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত শুরু করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মামলার সব নথিপত্র ও জব্দ হওয়া কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। রোজিনা ইসলামের জব্দ হওয়া ফোনগুলো পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি ঘটনার দিনের সচিবালয়ে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। গতকাল ডিবির রমনা বিভাগ সূত্র এসব তথ্য জানান।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে বিষয়টি সত্য কিনা তাও খতিয়ে দেখছে ডিবি। ডিবির তদন্তে সবকিছু যেন পরিষ্কার ও নির্ভুলভাবে উঠে আসে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এছাড়া প্রয়োজন হলে আসামি ছাড়া আরও লোকজনকে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি। এ বিষয়ে ডিবির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচএম আজিমুল হক বলেন, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলার তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা সঠিকভাবে তদন্ত করেই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেব। তদন্ত প্রতিবেদন সম্পূর্ণ হতে কত দিন লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিক কত দিন লাগবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। আমরা মামলাটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দরভাবে তদন্ত করছি। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন, আমরা সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেব।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গত সোমবার সচিবালয়ে রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে হেনস্তা করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। রাতে তাকে শাহবাগ থানা পুলিশে হস্তান্তর করে নথি চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন পুলিশ তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করলে বিচারক রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার তার জামিন আবেদনের শুনানি হলেও আদালত আজ এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য রেখেছেন। রোজিনা এখন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন। শুরুর দিকে মামলাটি শাহবাগ থানা পুলিশ তদন্ত করলেও বর্তমানে ডিবির রমনা বিভাগ তদন্ত করছে। রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে সাংবাকিরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সাংবাদিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।
রবিবার, ২৩ মে ২০২১ , ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১০ শাওয়াল ১৪৪২
ফুটেজ চেয়েছে ডিবি
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
কারাবন্দী প্রথম আলোর জ্যষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত শুরু করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মামলার সব নথিপত্র ও জব্দ হওয়া কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। রোজিনা ইসলামের জব্দ হওয়া ফোনগুলো পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি ঘটনার দিনের সচিবালয়ে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। গতকাল ডিবির রমনা বিভাগ সূত্র এসব তথ্য জানান।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে বিষয়টি সত্য কিনা তাও খতিয়ে দেখছে ডিবি। ডিবির তদন্তে সবকিছু যেন পরিষ্কার ও নির্ভুলভাবে উঠে আসে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এছাড়া প্রয়োজন হলে আসামি ছাড়া আরও লোকজনকে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি। এ বিষয়ে ডিবির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচএম আজিমুল হক বলেন, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলার তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা সঠিকভাবে তদন্ত করেই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেব। তদন্ত প্রতিবেদন সম্পূর্ণ হতে কত দিন লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিক কত দিন লাগবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। আমরা মামলাটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দরভাবে তদন্ত করছি। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন, আমরা সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেব।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় গত সোমবার সচিবালয়ে রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে হেনস্তা করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। রাতে তাকে শাহবাগ থানা পুলিশে হস্তান্তর করে নথি চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন পুলিশ তাকে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করলে বিচারক রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার তার জামিন আবেদনের শুনানি হলেও আদালত আজ এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য রেখেছেন। রোজিনা এখন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন। শুরুর দিকে মামলাটি শাহবাগ থানা পুলিশ তদন্ত করলেও বর্তমানে ডিবির রমনা বিভাগ তদন্ত করছে। রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে সাংবাকিরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সাংবাদিক সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।