করোনায় ৬০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি দাবি হোটেল ব্যবসায়ীদের

করোনাভাইরাসে গত বছর থেকে হোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসায় ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। এর মধ্যে দেশের প্রায় অর্ধেক হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল রেস্তোরাঁয় বসিয়ে ক্রেতাদের খাওয়াতে চান মালিকরা। তা না হলে থালা বাটি হাতে রাস্তায় নামা ছাড়া তাদের আর কোন উপায় থাকবে না বলে জানিয়েছেন তারা। গতকাল রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। মালিক সমিতির নেতারা আগের মতো স্বাভাবিকভাবে হোটেল খোলা রাখার সুযোগ, শ্রমিকদের প্রণোদনা দেয়া, মালিকদের এসএমই খাত থেকে ঋণ প্রদান, দোকান ভাড়া ও গ্যাস পানি বিদ্যুতের বিল মওকুফসহ বেশ কিছু দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির মাধ্যমে ব্যবসা সীমিত রেখেছি। কিন্তু করোনায় যেসব সেক্টরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ সেক্টরটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা শহর মিলে হোটেল-রেস্তোরাঁর সংখ্যা ৬০ হাজার। আর এতে শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ। সব মিলিয়ে রেস্তোরাঁ খাতে নির্ভরশীল সংখ্যা প্রায় ২ কোটি মানুষ। এতোগুলো মানুষ এখন বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।

ইমরান হাসান বলেন, দেশের ১২টি সংস্থা থেকে লাইসেন্স নিয়ে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। তবে এ খাতকে শিল্প ঘোষণা না করায় আমরা কোন সংস্থা থেকে সহায়তা বা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। আমরা শিল্প মন্ত্রণালয়, খাদ্য নাকি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় তাও জানা নেই। এমন পরিস্থিতিতে করোনাকালীন ১ কেজি চাল সহায়তাও পায়নি কোন মালিক বা শ্রমিক। তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, বর্তমানে শুধু অনলাইন ডেলিভারির সুযোগ দিয়ে রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার ঘোষণাটি দুরভিসন্ধিমূলক। এখানে দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহলের হাত রয়েছে।

সমিতির সভাপতি ওসমান গনি বলেন, করোনাকালে আমাদের থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নেয়ার জন্য জোর-জুলুম চলছে। এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের থালা-বাটি নিয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় নেই। আমাদের দাবি না মানলে সারাদেশে আমরা মানববন্ধন করব। সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো হোটেল খোলা রাখা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ আসনে বসিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু করতে চায় মালিক সমিতি। এ সময় সমিতির উপদেষ্টা খন্দকার রুহুল আমিন, ১ম যুগ্ম-মহাসচিব মো. ফিরোজ আলম সুমন, সহ-সভাপতি শাহ সুলতান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব ও কোষাধ্যক্ষ তৌফিকুল ইসলামসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর
মাছ চাষের মাধ্যমে যুবসমাজকে স্বাবলম্বী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৪৮তম বার্ষিকী আজ
ফুটপাত ব্যবসায়ীদের জন্য বাজেটে সহায়তা বরাদ্দ চাই
‘বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার জরুরি’
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে অভিমানের অবসান কাদের মির্জার
রোজিনার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অব্যাহত
রোজিনার মামলা তদন্তে জব্দ মোবাইল যাচ্ছে ফরেনসিকে
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে বিপাকে পশ্চিমবঙ্গ
গজারিয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ
দূরপাল্লার বাস ও লঞ্চ চালুর দাবি মালিক-শ্রমিকদের
হেফাজতে মৃত্যু মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন মির্জা ফখরুল

রবিবার, ২৩ মে ২০২১ , ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ১০ শাওয়াল ১৪৪২

করোনায় ৬০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি দাবি হোটেল ব্যবসায়ীদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

করোনাভাইরাসে গত বছর থেকে হোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসায় ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। এর মধ্যে দেশের প্রায় অর্ধেক হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল রেস্তোরাঁয় বসিয়ে ক্রেতাদের খাওয়াতে চান মালিকরা। তা না হলে থালা বাটি হাতে রাস্তায় নামা ছাড়া তাদের আর কোন উপায় থাকবে না বলে জানিয়েছেন তারা। গতকাল রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। মালিক সমিতির নেতারা আগের মতো স্বাভাবিকভাবে হোটেল খোলা রাখার সুযোগ, শ্রমিকদের প্রণোদনা দেয়া, মালিকদের এসএমই খাত থেকে ঋণ প্রদান, দোকান ভাড়া ও গ্যাস পানি বিদ্যুতের বিল মওকুফসহ বেশ কিছু দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির মাধ্যমে ব্যবসা সীমিত রেখেছি। কিন্তু করোনায় যেসব সেক্টরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ সেক্টরটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা শহর মিলে হোটেল-রেস্তোরাঁর সংখ্যা ৬০ হাজার। আর এতে শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ। সব মিলিয়ে রেস্তোরাঁ খাতে নির্ভরশীল সংখ্যা প্রায় ২ কোটি মানুষ। এতোগুলো মানুষ এখন বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে।

ইমরান হাসান বলেন, দেশের ১২টি সংস্থা থেকে লাইসেন্স নিয়ে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে হয়। তবে এ খাতকে শিল্প ঘোষণা না করায় আমরা কোন সংস্থা থেকে সহায়তা বা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। আমরা শিল্প মন্ত্রণালয়, খাদ্য নাকি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় তাও জানা নেই। এমন পরিস্থিতিতে করোনাকালীন ১ কেজি চাল সহায়তাও পায়নি কোন মালিক বা শ্রমিক। তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, বর্তমানে শুধু অনলাইন ডেলিভারির সুযোগ দিয়ে রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার ঘোষণাটি দুরভিসন্ধিমূলক। এখানে দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহলের হাত রয়েছে।

সমিতির সভাপতি ওসমান গনি বলেন, করোনাকালে আমাদের থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নেয়ার জন্য জোর-জুলুম চলছে। এটা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের থালা-বাটি নিয়ে রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় নেই। আমাদের দাবি না মানলে সারাদেশে আমরা মানববন্ধন করব। সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো হোটেল খোলা রাখা সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ আসনে বসিয়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু করতে চায় মালিক সমিতি। এ সময় সমিতির উপদেষ্টা খন্দকার রুহুল আমিন, ১ম যুগ্ম-মহাসচিব মো. ফিরোজ আলম সুমন, সহ-সভাপতি শাহ সুলতান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব ও কোষাধ্যক্ষ তৌফিকুল ইসলামসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।