বেড়েই চলেছে সংক্রমণ ও মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তে রেকর্ড, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ন্ত্রণে সরকারের ঘোষিত ‘কঠোর’ লকডাউনেও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ভাইরাসটি। আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ায় বর্তমানে রাজধানীর পাঁচ সরকারি হাসপাতালে কোন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ফাঁকা নেই। নমুনা পরীক্ষা বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ সময় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৩৮৫ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ১২টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৮৩ জন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দেশে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়। সারাদেশে মারা যান ১৪৩ জন। এছাড়া ৩২ হাজার ৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় আট হাজার ৩০১ জনের। বৃহস্পতিবার শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদ- অনুযায়ী, কোন দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোন দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্ত ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সেখানে কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশে রোগী শনাক্ত ২০ শতাংশের বেশি হচ্ছে।

এদিকে, গতকাল করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু একশ’র ওপরে। এর আগে ১ জুলাই ১৪৩ জন, ৩০ জুন ১১৫ জন, ২৯ জুন ১১২ জন, ২৮ জুন ১০৪ জন, ২৭ জুন ১১৯ জন, ২৬ জুন ১০৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৭৭৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৮৩ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯ লাখ ৩০ হাজার ৪২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৩৮৫ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ১২টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা বিভাগে। এরপরই রয়েছে ঢাকায় ৩০ জন। ২৪ জন করে মৃত্যু হয়েছে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগে। ২ জন করে মৃত্যু হয়েছে বরিশালে ও সিলেট। এ ছাড়া রংপুর বিভাগে ৯, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৮১ জন, নারী ৫১ জন। এদের মধ্যে ১৩ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব ১৪, চল্লিশোর্ধ্ব ২০, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩০ ও ষাটোর্ধ্ব ৬৭ জন।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনা রোগী শনাক্ত বাড়ায় রাজধানী ঢাকার অন্যতম পাঁচটি সরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ফাঁকা নাই। কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের ২৬ বেড, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ১০ বেড, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০ বেড, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০ বেড এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০ বেডের সবগুলোতেই রোগী ভর্তি রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, রোগী সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে হাসপাতালগুলোতে এখনও কিছুটা বেড ফাঁকা থাকলেও সেটা ক্রমেই রোগীতে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। সংক্রমণ একইভাবে বাড়তে থাকলে রোগী সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যাবে।

রাজধানী ঢাকার করোনা ডেডিকেটেড অন্য হাসপাতালগুলোর আইসিইউ বেডে রোগী বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬ আইসিইউ বেডের মধ্যে ৮টি, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ৬টি বেডের একটি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫ বেডের ২টি, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১০ বেডের ৪টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ বেডের মধ্যে ৩টি এবং ডিএনসিসি ডেডিকেটেড হাসপাতালের ২১২টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ১০২টি বেড। স্বায়ত্তশাষিত ১৬টি হাসপাতালে মোট ৩৮৪টি আইসিইউ বেডের মধ্যে এই মুহূর্তে ফাঁকা রয়েছে ১২৭টি বেড। অন্যদিকে, রাজধানীতে বেসরকারি ২৮টি হাসপাতালে আইসিইউ বেড রয়েছে ৪৪১টি। এসব হাসপাতালে বর্তমানে বেড ফাঁকা রয়েছে ২৫৫টি।

দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।

শনিবার, ০৩ জুলাই ২০২১ , ১৯ আষাঢ় ১৪২৮ ২১ জিলক্বদ ১৪৪২

বেড়েই চলেছে সংক্রমণ ও মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তে রেকর্ড, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ন্ত্রণে সরকারের ঘোষিত ‘কঠোর’ লকডাউনেও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ভাইরাসটি। আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ায় বর্তমানে রাজধানীর পাঁচ সরকারি হাসপাতালে কোন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ফাঁকা নেই। নমুনা পরীক্ষা বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ সময় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৩৮৫ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ১২টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৮৩ জন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দেশে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়। সারাদেশে মারা যান ১৪৩ জন। এছাড়া ৩২ হাজার ৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় আট হাজার ৩০১ জনের। বৃহস্পতিবার শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদ- অনুযায়ী, কোন দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোন দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্ত ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সেখানে কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশে রোগী শনাক্ত ২০ শতাংশের বেশি হচ্ছে।

এদিকে, গতকাল করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু একশ’র ওপরে। এর আগে ১ জুলাই ১৪৩ জন, ৩০ জুন ১১৫ জন, ২৯ জুন ১১২ জন, ২৮ জুন ১০৪ জন, ২৭ জুন ১১৯ জন, ২৬ জুন ১০৮ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৭৭৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৮৩ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯ লাখ ৩০ হাজার ৪২ জনে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৩৮৫ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ১২টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা বিভাগে। এরপরই রয়েছে ঢাকায় ৩০ জন। ২৪ জন করে মৃত্যু হয়েছে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগে। ২ জন করে মৃত্যু হয়েছে বরিশালে ও সিলেট। এ ছাড়া রংপুর বিভাগে ৯, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৮১ জন, নারী ৫১ জন। এদের মধ্যে ১৩ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব ১৪, চল্লিশোর্ধ্ব ২০, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩০ ও ষাটোর্ধ্ব ৬৭ জন।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনা রোগী শনাক্ত বাড়ায় রাজধানী ঢাকার অন্যতম পাঁচটি সরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ফাঁকা নাই। কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের ২৬ বেড, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ১০ বেড, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০ বেড, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০ বেড এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০ বেডের সবগুলোতেই রোগী ভর্তি রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, রোগী সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতিতে হাসপাতালগুলোতে এখনও কিছুটা বেড ফাঁকা থাকলেও সেটা ক্রমেই রোগীতে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। সংক্রমণ একইভাবে বাড়তে থাকলে রোগী সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যাবে।

রাজধানী ঢাকার করোনা ডেডিকেটেড অন্য হাসপাতালগুলোর আইসিইউ বেডে রোগী বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬ আইসিইউ বেডের মধ্যে ৮টি, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ৬টি বেডের একটি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫ বেডের ২টি, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১০ বেডের ৪টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ বেডের মধ্যে ৩টি এবং ডিএনসিসি ডেডিকেটেড হাসপাতালের ২১২টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ১০২টি বেড। স্বায়ত্তশাষিত ১৬টি হাসপাতালে মোট ৩৮৪টি আইসিইউ বেডের মধ্যে এই মুহূর্তে ফাঁকা রয়েছে ১২৭টি বেড। অন্যদিকে, রাজধানীতে বেসরকারি ২৮টি হাসপাতালে আইসিইউ বেড রয়েছে ৪৪১টি। এসব হাসপাতালে বর্তমানে বেড ফাঁকা রয়েছে ২৫৫টি।

দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।