গীতিকার ফজল-এ-খোদার জীবনাবসান

‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানের গীতিকার ও কবি ফজল-এ-খোদা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গতকাল ভোর ৪টায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। গতকাল বিকেলে তাকে রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

ফজল-এ-খোদার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতার সঙ্গে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন তিনি। ফজল-এ-খোদা ১৯৪১ সালের ৯ মার্চ পাবনা জেলার বনগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ফজল-এ-খোদা। অবসরে যান বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক হিসেবে।

ফজল-এ-খোদার লেখা ও আবদুল জব্বারের গাওয়া ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানটি একাত্তরে স্বাধীনতাকামী বাংলার মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় সেরা ২০ গানের মধ্যে ১২তম স্থান লাভ করেছে এ গান।

এছাড়া ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁখে ঘাটে যায় কোন রূপসী’, বাসন্তী রঙ শাড়ি পরে কোন রমণী চলে যায়’, আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে’, ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘ভাবনা আমার আহত পাখির মতো, পথের ধুলোয় লুটোবে’র মতো শ্রোতাপ্রিয় গান লিখে গেছেন তিনি।

গান লেখার পাশাপাশি কবি ছড়াকার, সংগঠক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন ফজল-এ-খোদা। শিশু কিশোর সংগঠন শাপলা শালুকের আসরের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। সত্তর দশকে তিনি শিশু কিশোরদের মাসিক পত্রিকা ‘শাপলা শালুক’ সম্পাদনা করেন। তার লেখা ১০টি ছড়াগ্রন্থ, পাঁচটি কবিতার গ্রন্থসহ মোট ৩৩টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

তার মৃত্যুতে এক বিবৃতিতে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ গভীর শোক প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে দেশ একজন নিবেদিত প্রাণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে হারালো।

তিনি তার বিদেহী আত্মার শান্তি এবং শোকার্ত সহকর্মী, পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

সোমবার, ০৫ জুলাই ২০২১ , ২১ আষাঢ় ১৪২৮ ২৩ জিলক্বদ ১৪৪২

গীতিকার ফজল-এ-খোদার জীবনাবসান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানের গীতিকার ও কবি ফজল-এ-খোদা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গতকাল ভোর ৪টায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। গতকাল বিকেলে তাকে রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

ফজল-এ-খোদার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতার সঙ্গে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন তিনি। ফজল-এ-খোদা ১৯৪১ সালের ৯ মার্চ পাবনা জেলার বনগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ফজল-এ-খোদা। অবসরে যান বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক হিসেবে।

ফজল-এ-খোদার লেখা ও আবদুল জব্বারের গাওয়া ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানটি একাত্তরে স্বাধীনতাকামী বাংলার মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল। বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংলা গানের তালিকায় সেরা ২০ গানের মধ্যে ১২তম স্থান লাভ করেছে এ গান।

এছাড়া ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁখে ঘাটে যায় কোন রূপসী’, বাসন্তী রঙ শাড়ি পরে কোন রমণী চলে যায়’, আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে’, ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘ভাবনা আমার আহত পাখির মতো, পথের ধুলোয় লুটোবে’র মতো শ্রোতাপ্রিয় গান লিখে গেছেন তিনি।

গান লেখার পাশাপাশি কবি ছড়াকার, সংগঠক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন ফজল-এ-খোদা। শিশু কিশোর সংগঠন শাপলা শালুকের আসরের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। সত্তর দশকে তিনি শিশু কিশোরদের মাসিক পত্রিকা ‘শাপলা শালুক’ সম্পাদনা করেন। তার লেখা ১০টি ছড়াগ্রন্থ, পাঁচটি কবিতার গ্রন্থসহ মোট ৩৩টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

তার মৃত্যুতে এক বিবৃতিতে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ গভীর শোক প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে দেশ একজন নিবেদিত প্রাণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে হারালো।

তিনি তার বিদেহী আত্মার শান্তি এবং শোকার্ত সহকর্মী, পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।