দশমিনা-পটুয়াখালী ২১ কিমি. সড়ক বেহাল : দুর্ভোগে ৬ লাখ মানুষ

দশমিনা উপজেলার আন্তঃজেলা সড়কটির বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। এলজিইডির সড়কটি প্রতি বছর সংস্কার করা হলেও বর্ষায় বড় বড় গর্ত এবং খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। ফলে সড়ক দিয়ে চলাচলে যানবাহনসহ ভোগান্তিতে পড়েন দশমিনা ও বাউফল উপজেলার প্রায় ৬ লাখ মানুষ। স্থানীয়দের দাবি, যেনতেন সড়ক উন্নয়ন না করে টেকসই উন্নয়ন করা হোক।

সরেজমিনে স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দশমিনা ভায়া বাউফলের ভাঙ্গা ব্রিজ হয়ে লোহালিয়া খেয়াঘাট পর্যন্ত ২১ কিমি. সড়কটিতে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের কারণে গাড়ি ঠেলাঠেলি করে দীর্ঘপথ অতিক্রম করতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় চলে যায়।

অন্তরা পরিবহনের সুপারভাইজার আনোয়ার আনু জোমাদ্দার বলেন, ভাঙ্গাচোরা সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচলে মেশিনারি পার্টস নষ্ট হয়ে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়।

দশমিনা থেকে পটুয়াখালী জেলা সদরে নিয়মিত যাতায়াতকারী আইনজীবী মো. ফুয়াদ হোসেন ও মো. শহিদুল ইসলাম জানান, যেখানে ৩০-৩৫ মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা নয় সেখানে এক-দেড় ঘণ্টা সময় চলে যাওয়ায় যথাসময়ে কোর্টে উপস্থিত হতে পারি না ।

বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফিরোজ আলম বলেন, বাউফলের ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকা থেকে দশমিনা উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ৮-৯ কি.মি. সড়কের অধিকাংশ জায়গায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় পটুয়াখালী জেলা সদরে জরুরী কাজে যাওয়া মানুষদের। তার দাবি, প্রতিবছর যেনতেনভাবে সড়ক উন্নয়ন না করে টেকসই উন্নয়ন করা হোক।

দশমিনা উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান পঞ্চমালি বলেন, দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জরুরী সেবাদানে প্রসূতি অথবা অন্য যে কোন রোগী পটুয়াখালী অথবা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সটি কালাইয়া-বাউফল হয়ে দীর্ঘ সময় ব্যয় করে যেতে হয়। এতে করে রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। রাস্তটি দশমিনাবাসীর জন্য জরুরী ।

এলজিইডির দশমিনা উপজেলা প্রকৌশল মকবুল হোসেন জানান, সড়কটির দশমিনার অংশের সাড়ে ৪ কি.মি. টেন্ডার হয়েছে।

শনিবার, ০২ অক্টোবর ২০২১ , ১৭ আশ্বিন ১৪২৮ ২৩ সফর ১৪৪৩

দশমিনা-পটুয়াখালী ২১ কিমি. সড়ক বেহাল : দুর্ভোগে ৬ লাখ মানুষ

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

image

দশমিনা (পটুয়াখালী) : জল-কাদায় একাকার সড়ক। ভাঙা সড়কে আটকে যাওয়া গাড়ির এমন দৃশ্য নিত্যদিনের -সংবাদ

দশমিনা উপজেলার আন্তঃজেলা সড়কটির বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। এলজিইডির সড়কটি প্রতি বছর সংস্কার করা হলেও বর্ষায় বড় বড় গর্ত এবং খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। ফলে সড়ক দিয়ে চলাচলে যানবাহনসহ ভোগান্তিতে পড়েন দশমিনা ও বাউফল উপজেলার প্রায় ৬ লাখ মানুষ। স্থানীয়দের দাবি, যেনতেন সড়ক উন্নয়ন না করে টেকসই উন্নয়ন করা হোক।

সরেজমিনে স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দশমিনা ভায়া বাউফলের ভাঙ্গা ব্রিজ হয়ে লোহালিয়া খেয়াঘাট পর্যন্ত ২১ কিমি. সড়কটিতে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের কারণে গাড়ি ঠেলাঠেলি করে দীর্ঘপথ অতিক্রম করতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় চলে যায়।

অন্তরা পরিবহনের সুপারভাইজার আনোয়ার আনু জোমাদ্দার বলেন, ভাঙ্গাচোরা সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচলে মেশিনারি পার্টস নষ্ট হয়ে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়।

দশমিনা থেকে পটুয়াখালী জেলা সদরে নিয়মিত যাতায়াতকারী আইনজীবী মো. ফুয়াদ হোসেন ও মো. শহিদুল ইসলাম জানান, যেখানে ৩০-৩৫ মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা নয় সেখানে এক-দেড় ঘণ্টা সময় চলে যাওয়ায় যথাসময়ে কোর্টে উপস্থিত হতে পারি না ।

বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফিরোজ আলম বলেন, বাউফলের ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকা থেকে দশমিনা উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ৮-৯ কি.মি. সড়কের অধিকাংশ জায়গায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় পটুয়াখালী জেলা সদরে জরুরী কাজে যাওয়া মানুষদের। তার দাবি, প্রতিবছর যেনতেনভাবে সড়ক উন্নয়ন না করে টেকসই উন্নয়ন করা হোক।

দশমিনা উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান পঞ্চমালি বলেন, দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জরুরী সেবাদানে প্রসূতি অথবা অন্য যে কোন রোগী পটুয়াখালী অথবা বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সটি কালাইয়া-বাউফল হয়ে দীর্ঘ সময় ব্যয় করে যেতে হয়। এতে করে রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। রাস্তটি দশমিনাবাসীর জন্য জরুরী ।

এলজিইডির দশমিনা উপজেলা প্রকৌশল মকবুল হোসেন জানান, সড়কটির দশমিনার অংশের সাড়ে ৪ কি.মি. টেন্ডার হয়েছে।