জাহাঙ্গীরের পক্ষে-বিপক্ষে হতাশা-উল্লাস

চরম উৎকন্ঠা, নানা জল্পনা-কল্পনা ও দলীয় পক্ষ-বিপক্ষ এসবের অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার খবরটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এক ঘরোয়া আলাপচারিতায় মেয়র জাহাঙ্গীল আলম বিতর্কিত মন্তব্য করায় গতকাল গণভবনে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামীলীগ কার্যনির্বাহী কমিটির এ সিদ্ধান্তের খবরটি সন্ধ্যার পর বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ও গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। খবরটি প্রচারিত হওয়ার পর গাজীপুরে সাধারণ নেতাকর্মী ও মানুষের মধ্যে এক ধরণের স্থবিরতা ও হতাশা দেখা দেয়। অপর দিকে মেয়র বিরোধী নেতাকর্মীদের আনন্দ উল্লাসের ভাব দেখা গেছে।

মেয়র জাহাঙ্গীরের বাসভবনে ঘরোয়া আলাপচারিতায় কথিত ও বিতর্কিত মন্তব্য গোপনে মোবাইলে ধারণ করে, সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরার পর এ নিয়ে গাজীপুরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। দলের মধ্যেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। মেয়র জাহাঙ্গীর এ ব্যাপারে তার বক্তব্যে জানান, বিভিন্ন কাটপিস যোগাড়ের মাধ্যমে সুপার এডিট করে অডিওটি বানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের মধ্যেও মেয়র জাহাঙ্গীরের কথিত মন্তব্য নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ দেখা দেয়। মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় বেশ কিছু নেতা মেয়র জাহাঙ্গীরের সাংগঠনিক দক্ষতা ও মহানগরীর ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- গ্রহণের পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন চলমান থাকার প্রশংসা করে দলে তার অবস্থান বজায় রাখাসহ মেয়র পদে তার অনিবার্যতার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

এমনকি বিভিন্ন সভা-সমাবেশেও মেয়রের পক্ষে তাদের বক্তব্য রাখতে দেখা যায়। মেয়রের অবর্তমানে নগরীর বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন তারা। অপর দিকে মেয়রের কথিত অবমাননাকর বক্তব্য নিন্দনীয় ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ উল্লেখ করে তার বিপক্ষে অবস্থান নেয় দলীয় নেতাকর্মীদের এক অংশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ খবরটি প্রচারিত হওয়ার পর এদের আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করে শহরে একটি খন্ড মিছিল বের করতে দেখা গেছে।

শনিবার, ২০ নভেম্বর ২০২১ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮ ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৩

জাহাঙ্গীরের পক্ষে-বিপক্ষে হতাশা-উল্লাস

প্রতিনিধি, গাজীপুর

চরম উৎকন্ঠা, নানা জল্পনা-কল্পনা ও দলীয় পক্ষ-বিপক্ষ এসবের অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার খবরটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এক ঘরোয়া আলাপচারিতায় মেয়র জাহাঙ্গীল আলম বিতর্কিত মন্তব্য করায় গতকাল গণভবনে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামীলীগ কার্যনির্বাহী কমিটির এ সিদ্ধান্তের খবরটি সন্ধ্যার পর বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ও গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। খবরটি প্রচারিত হওয়ার পর গাজীপুরে সাধারণ নেতাকর্মী ও মানুষের মধ্যে এক ধরণের স্থবিরতা ও হতাশা দেখা দেয়। অপর দিকে মেয়র বিরোধী নেতাকর্মীদের আনন্দ উল্লাসের ভাব দেখা গেছে।

মেয়র জাহাঙ্গীরের বাসভবনে ঘরোয়া আলাপচারিতায় কথিত ও বিতর্কিত মন্তব্য গোপনে মোবাইলে ধারণ করে, সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরার পর এ নিয়ে গাজীপুরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। দলের মধ্যেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। মেয়র জাহাঙ্গীর এ ব্যাপারে তার বক্তব্যে জানান, বিভিন্ন কাটপিস যোগাড়ের মাধ্যমে সুপার এডিট করে অডিওটি বানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের মধ্যেও মেয়র জাহাঙ্গীরের কথিত মন্তব্য নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ দেখা দেয়। মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় বেশ কিছু নেতা মেয়র জাহাঙ্গীরের সাংগঠনিক দক্ষতা ও মহানগরীর ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- গ্রহণের পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন চলমান থাকার প্রশংসা করে দলে তার অবস্থান বজায় রাখাসহ মেয়র পদে তার অনিবার্যতার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

এমনকি বিভিন্ন সভা-সমাবেশেও মেয়রের পক্ষে তাদের বক্তব্য রাখতে দেখা যায়। মেয়রের অবর্তমানে নগরীর বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ স্থবির হয়ে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন তারা। অপর দিকে মেয়রের কথিত অবমাননাকর বক্তব্য নিন্দনীয় ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ উল্লেখ করে তার বিপক্ষে অবস্থান নেয় দলীয় নেতাকর্মীদের এক অংশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ খবরটি প্রচারিত হওয়ার পর এদের আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করে শহরে একটি খন্ড মিছিল বের করতে দেখা গেছে।