আদিকালের দোহাই আর কত মণে কৃষক ঠকছেন আট কেজি!

আমনের ফলন ভাল, দামেও খুশি। কিন্তু মাপে খুশি নয় রাঙ্গাবালীর কৃষক। ৪৮ কেজিতে মণ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে এখানকার ধান। প্রতিমণে ৮ কেজি করে গচ্ছা দিচ্ছেন কৃষকরা। আদিকাল থেকে চলে আসা সেই অনিয়ম, বহাল তবিয়তে চালু রয়েছে রাঙ্গাবালী উপজেলায়। সারাদেশের মতো ৪০ কেজিতে মণ চালু করার দাবি করছেন সবাই। কৃষি নির্ভর এলাকা রাঙ্গাবালী উপজেলা। ধান এ এলাকার প্রধান ফসল। সাদামোটা, কাজলশাইল, কালাকোড়া জাতীয় ধান এক সময় আমন ফসল হিসেবে চাষ হতো এলাকায়। কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে যাচ্ছে। কম জমিতে বেশি ফলন ফলাতে শুরু হয়েছে ইরি চাষ। বিভিন্ন জাতের ইরি এখন আমন হিসেবে চাষ করা হয়। কৃষকরা জানান, ইরি চাষে ফলন ভাল হলেও খরচ হয় অনেক বেশি। এরপরও ইরি চাষ করছেন তারা। ফলনও ভাল হয়েছে। প্রতি মন ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাতেই তারা খুশি। তবে সমস্যা একটাই, ৪৮ কেজিতে মণ। প্রতিমনে ৮ কেজি করে গচ্ছা দিতে হয় তাদের। বড়বাইশদিয়ার কৃষক কুদ্দুস চৌকিদার, সোহেল হাজি, আনিস মিয়া, ইউছুব মোল্লাসহ অনেকেই বলেন, সারা দেশে ৪০ কেজিতে মন, আর আমাদের এখানে ৪৮ কেজি। এটা হয় কি করে। আমাদের এলাকায়ও ৪০ কেজিতে মন চালু করা হোক। বড়বাইশদিয়া ইউপি সদস্য সোনা মিয়া বলেন, আরৎদার ও স্থানীয় খুচরা ক্রেতারা এ নিয়ম চালু রেখেছে, যার প্রভাব পরছে কৃষকদের ওপর। অবশ্যই এ নিয়মের পরিবর্তন করা উচিত।

মঙ্গলবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২১ , ২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৮

আদিকালের দোহাই আর কত মণে কৃষক ঠকছেন আট কেজি!

প্রতিনিধি, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)

আমনের ফলন ভাল, দামেও খুশি। কিন্তু মাপে খুশি নয় রাঙ্গাবালীর কৃষক। ৪৮ কেজিতে মণ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে এখানকার ধান। প্রতিমণে ৮ কেজি করে গচ্ছা দিচ্ছেন কৃষকরা। আদিকাল থেকে চলে আসা সেই অনিয়ম, বহাল তবিয়তে চালু রয়েছে রাঙ্গাবালী উপজেলায়। সারাদেশের মতো ৪০ কেজিতে মণ চালু করার দাবি করছেন সবাই। কৃষি নির্ভর এলাকা রাঙ্গাবালী উপজেলা। ধান এ এলাকার প্রধান ফসল। সাদামোটা, কাজলশাইল, কালাকোড়া জাতীয় ধান এক সময় আমন ফসল হিসেবে চাষ হতো এলাকায়। কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে যাচ্ছে। কম জমিতে বেশি ফলন ফলাতে শুরু হয়েছে ইরি চাষ। বিভিন্ন জাতের ইরি এখন আমন হিসেবে চাষ করা হয়। কৃষকরা জানান, ইরি চাষে ফলন ভাল হলেও খরচ হয় অনেক বেশি। এরপরও ইরি চাষ করছেন তারা। ফলনও ভাল হয়েছে। প্রতি মন ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাতেই তারা খুশি। তবে সমস্যা একটাই, ৪৮ কেজিতে মণ। প্রতিমনে ৮ কেজি করে গচ্ছা দিতে হয় তাদের। বড়বাইশদিয়ার কৃষক কুদ্দুস চৌকিদার, সোহেল হাজি, আনিস মিয়া, ইউছুব মোল্লাসহ অনেকেই বলেন, সারা দেশে ৪০ কেজিতে মন, আর আমাদের এখানে ৪৮ কেজি। এটা হয় কি করে। আমাদের এলাকায়ও ৪০ কেজিতে মন চালু করা হোক। বড়বাইশদিয়া ইউপি সদস্য সোনা মিয়া বলেন, আরৎদার ও স্থানীয় খুচরা ক্রেতারা এ নিয়ম চালু রেখেছে, যার প্রভাব পরছে কৃষকদের ওপর। অবশ্যই এ নিয়মের পরিবর্তন করা উচিত।