দেশে একমাসে সংক্রমণ বেড়েছে ৪ গুণ

ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ হয়নি বলে ধারণা আইইডিসিআরের

একমাস আগে গত ৫ ও ৪ ডিসেম্বর দেশে করোনা সংক্রমণের হার ছিল যথাক্রমে এক দশমিক ০৩ ও এক দশমিক ০৭ শতাংশ। ওই সময় দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও ছিল দুইশ’র কাছাকাছি। ঠিক এক মাসের মাথায় সংক্রমণ হার চার শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ এক মাসে চারগুণ বেড়েছে সংক্রমণ। এই সময়ে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা প্রায় ৯০০র ঘরে ঠেকেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম গতকাল এক ভার্চুয়াল বুলেটিনে বলেন, করোনা একটু একটু করে ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। সংক্রমণ বাড়লেও নমুনা পরীক্ষা করতে যাওয়া আগ্রহী লোকের সংখ্যা অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় কম দেখা যাচ্ছে।

কয়েকটি জেলায় নমুনা কম সংগ্রহ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে সবাই মিলে কাজ করলে সাফল্য সুনিশ্চিত হবে। তিনি কারো শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাদের নমুনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল কারণ

স্বাস্থ্যবিধি না মানা

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ পর্যন্ত ১০ জনের দেহে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে। ওমিক্রনে সংক্রমণ এখনও খুব বেশি ছড়ায়নি বলে মনে করছেন আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর।

তবে কী কারণে দেশে এখন সংক্রমণ বাড়ছে-এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, ‘মূল কারণ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি। এতদিন ইনডোর, আউটডোর সব প্রোগ্রাম হয়েছে। বিয়ে-শাদির অনুষ্ঠান হয়েছে, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও মানুষের ভিড় ছিল। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি ছিল না। মানুষ মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছে। এখনো দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ হসপিটালাইজড হচ্ছে, সেটার সঙ্গে হয়তো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের একটা সম্পর্ক আছে। এখনও দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আধিপত্যই দেখা যাচ্ছে।’

তিনি সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘যেকোন ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় মাস্কই প্রধান। ব্যক্তিগত সুরক্ষায়ও মাস্কের বিকল্প নেই।’ ওমিক্রন নিয়ে এখনও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে ডা. আলমগীর বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে; তবে ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়নি। তবে যাদের বয়স বেশি, যারা ফ্রন্টলাইন কর্মী, যাদের কোমরবিডিটি আছে, ভাইরাস দুর্বল হলেও তাদের প্রচ-ভাবে আঘাত করতে পারে। সে জন্য ওমিক্রন যেহেতু প্রচ- সংক্রমণশীল ভাইরাস, যদি বাংলাদেশে এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায়, তাহলে কিন্তু ঘরে ঘরে রোগী হবে। তখন হাসপাতালগুলো চাপে পড়বে।

১৪ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে

বেশি শনাক্ত

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮৯২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে; যা গত ১৪ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ছিল চার দশমিক ২০ শতাংশ। এদিন করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন।

একদিনে এর চেয়ে বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছিল গত ২৯ সেপ্টেম্বর; ওইদিন এক হাজার ১৭৮ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার ছিল চার দশমিক ২০ শতাংশ; যা গত ২৮ সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ। ওইদিন সংক্রমণ হার ছিল চার দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর গত মঙ্গলবার সংক্রমণ হার ছিল তিন দশমিক ৯১ শতাংশ।

একদিনে শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮০৭ জনে। আর এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৮ হাজার ৯০ জনে।

একদিনে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ২১২ জন সুস্থ হয়েছেন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর মধ্যে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ১৬৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

শনাক্ত রোগীর বেশির ভাগই ঢাকায়

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর মধ্যে ৮২ শতাংশই ঢাকার বাসিন্দা। এদিন ঢাকায় ৭৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এই সময়ে ২৯টি জেলায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।

একদিনে মৃত্যু হওয়া তিনজনই নারী; তাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি। তাদের দু’জন ঢাকা বিভাগের এবং একজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। তারা তিনজনই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

এক দিনে সারা দেশে মোট ২১ হাজার ২৫১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮০৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।

হাসপাতালে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে

এ মুহূর্তে কোভিড রোগীর সংখ্যা বেশি, তবে সেটি ‘অস্বাভাবিক’ বেশি নয় জানিয়ে ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, সে সংখ্যক রোগীকে হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত আয়োজন রয়েছে। হাসপাতালে বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার, ন্যাজেল ক্যানুলা ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের সরবরাহ দেয়া রয়েছে।

অধ্যাপক নাজমুল জানান, বিশ্বে করোনাভাইরাসে ২৯ কোটির বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ৫৪ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ওমিক্রনের যে বিস্তার ঘটেছে সে প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশ প্রস্তুতি নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে প্রস্তুতির জায়গা থেকে বাংলাদেশ নভেম্বর থেকেই কাজ করছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সামগ্রিক করোনার যে নি¤œমুখী প্রবণতা ছিল তা একটু একটু করে ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে ৮৫২টি আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট এবং র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট ল্যাবরেটরিতে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে উল্লেখ করে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ৬০ বছরের অধিক সংখ্যক বয়সীদের মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু বেশি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২২ , ২২ পৌষ ১৪২৮ ২ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

দেশে একমাসে সংক্রমণ বেড়েছে ৪ গুণ

ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ হয়নি বলে ধারণা আইইডিসিআরের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

একমাস আগে গত ৫ ও ৪ ডিসেম্বর দেশে করোনা সংক্রমণের হার ছিল যথাক্রমে এক দশমিক ০৩ ও এক দশমিক ০৭ শতাংশ। ওই সময় দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও ছিল দুইশ’র কাছাকাছি। ঠিক এক মাসের মাথায় সংক্রমণ হার চার শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ এক মাসে চারগুণ বেড়েছে সংক্রমণ। এই সময়ে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা প্রায় ৯০০র ঘরে ঠেকেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম গতকাল এক ভার্চুয়াল বুলেটিনে বলেন, করোনা একটু একটু করে ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। সংক্রমণ বাড়লেও নমুনা পরীক্ষা করতে যাওয়া আগ্রহী লোকের সংখ্যা অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় কম দেখা যাচ্ছে।

কয়েকটি জেলায় নমুনা কম সংগ্রহ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে সবাই মিলে কাজ করলে সাফল্য সুনিশ্চিত হবে। তিনি কারো শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাদের নমুনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল কারণ

স্বাস্থ্যবিধি না মানা

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ পর্যন্ত ১০ জনের দেহে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) শনাক্ত হয়েছে। ওমিক্রনে সংক্রমণ এখনও খুব বেশি ছড়ায়নি বলে মনে করছেন আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর।

তবে কী কারণে দেশে এখন সংক্রমণ বাড়ছে-এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, ‘মূল কারণ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি। এতদিন ইনডোর, আউটডোর সব প্রোগ্রাম হয়েছে। বিয়ে-শাদির অনুষ্ঠান হয়েছে, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও মানুষের ভিড় ছিল। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি ছিল না। মানুষ মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছে। এখনো দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ হসপিটালাইজড হচ্ছে, সেটার সঙ্গে হয়তো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের একটা সম্পর্ক আছে। এখনও দেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আধিপত্যই দেখা যাচ্ছে।’

তিনি সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘যেকোন ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় মাস্কই প্রধান। ব্যক্তিগত সুরক্ষায়ও মাস্কের বিকল্প নেই।’ ওমিক্রন নিয়ে এখনও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে ডা. আলমগীর বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে; তবে ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়নি। তবে যাদের বয়স বেশি, যারা ফ্রন্টলাইন কর্মী, যাদের কোমরবিডিটি আছে, ভাইরাস দুর্বল হলেও তাদের প্রচ-ভাবে আঘাত করতে পারে। সে জন্য ওমিক্রন যেহেতু প্রচ- সংক্রমণশীল ভাইরাস, যদি বাংলাদেশে এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায়, তাহলে কিন্তু ঘরে ঘরে রোগী হবে। তখন হাসপাতালগুলো চাপে পড়বে।

১৪ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে

বেশি শনাক্ত

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮৯২ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে; যা গত ১৪ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ছিল চার দশমিক ২০ শতাংশ। এদিন করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন।

একদিনে এর চেয়ে বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছিল গত ২৯ সেপ্টেম্বর; ওইদিন এক হাজার ১৭৮ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার ছিল চার দশমিক ২০ শতাংশ; যা গত ২৮ সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ। ওইদিন সংক্রমণ হার ছিল চার দশমিক ৪৮ শতাংশ। আর গত মঙ্গলবার সংক্রমণ হার ছিল তিন দশমিক ৯১ শতাংশ।

একদিনে শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮০৭ জনে। আর এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৮ হাজার ৯০ জনে।

একদিনে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ২১২ জন সুস্থ হয়েছেন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর মধ্যে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ১৬৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

শনাক্ত রোগীর বেশির ভাগই ঢাকায়

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর মধ্যে ৮২ শতাংশই ঢাকার বাসিন্দা। এদিন ঢাকায় ৭৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এই সময়ে ২৯টি জেলায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।

একদিনে মৃত্যু হওয়া তিনজনই নারী; তাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি। তাদের দু’জন ঢাকা বিভাগের এবং একজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। তারা তিনজনই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

এক দিনে সারা দেশে মোট ২১ হাজার ২৫১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮০৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।

হাসপাতালে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে

এ মুহূর্তে কোভিড রোগীর সংখ্যা বেশি, তবে সেটি ‘অস্বাভাবিক’ বেশি নয় জানিয়ে ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, সে সংখ্যক রোগীকে হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত আয়োজন রয়েছে। হাসপাতালে বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার, ন্যাজেল ক্যানুলা ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের সরবরাহ দেয়া রয়েছে।

অধ্যাপক নাজমুল জানান, বিশ্বে করোনাভাইরাসে ২৯ কোটির বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। ৫৪ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে ওমিক্রনের যে বিস্তার ঘটেছে সে প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশ প্রস্তুতি নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে প্রস্তুতির জায়গা থেকে বাংলাদেশ নভেম্বর থেকেই কাজ করছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সামগ্রিক করোনার যে নি¤œমুখী প্রবণতা ছিল তা একটু একটু করে ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে।

ঢাকাসহ সারা দেশে ৮৫২টি আরটি-পিসিআর, জিন এক্সপার্ট এবং র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট ল্যাবরেটরিতে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে উল্লেখ করে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ৬০ বছরের অধিক সংখ্যক বয়সীদের মধ্যেই করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু বেশি হচ্ছে।