৮ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিক্ষোভ

সকল সেচ পাম্পে মিটার স্থাপন ও পল্লী বিদ্যুতের কাছে সেচ পাম্প হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ৮ দফা দাবিতে বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতি গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে গত রোববার জেলা শহরের ডিবি রোডে নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে। বিক্ষোভ শেষে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিনের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, গাইবান্ধা জেলা বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতির উপদেষ্টা মাসুদুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক আনাউর রহমান, সহ-সভাপতি দেবল কুমার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান সুমন, আব্দুল হালিম, মাহবুর রহমান, হযরত আলী, মকসুদ মিয়া, মো. আওলাদ হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, বাদল মিয়া, রফিকুল ইসলাম, সাজু মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সমস্ত লাইন স্ট্যান্ডার্ডে রূপান্তরকরণ, বন্ধ পাম্পের সকল বিল বাতিল, চলতি মৌসুমে সকল অতিরিক্ত বিল ও পূর্বের অতিরিক্ত সকল বিল দ্রুত সংশোধন এবং গ্রাহকদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এছাড়া স্মারকলিপিতে ৮ দাবিগুলো হচ্ছে- অতিরিক্ত বিল দিয়ে সেচ পাম্প মালিকদের ওপর মিথ্যা মামলা হয়রানিমূলক যে সমস্ত মামলা হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার, নেসকোর পূর্বে পিডিবির সময়কালে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ পিডিবির তদন্তে যে ৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে তার বিপরীতে যে সমস্ত সেচ পাম্প মালিকদের অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে ওই সমস্ত বিল বাতিল, এছাড়া যে সমস্ত সেচ পাম্প বন্ধ থাকার পড়েও বিল করা হয়েছে সে সকল বিল বাতিল, পিডিবি’র পরবর্তী সময়ে ও বর্তমান সময়ে অনেক সেচ পাম্প মালিকদের অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে তা সংশোধন, পিডিবি/নেসকোর কোন কর্মকর্তা দিয়ে বিল সংশোধনের তদন্ত না করে ৩য় পক্ষের মাধ্যমে তদন্ত, অতিরিক্ত বিলকারী ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বর্তমানে যে সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী অতিরিক্ত বিল করার জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, সকল সেচ পাম্পে মিটার সংযোগ দিয়ে মিটার সংযোগের ক্ষেত্রে কোন তালবাহানা না করে সকল লাইন স্ট্যান্ড করা এবং পল্লী বিদ্যুতের কাছে সেচ পাম্প হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিল করা।

বৃহস্পতিবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২২ , ২২ পৌষ ১৪২৮ ২ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

৮ দফা দাবিতে গাইবান্ধায় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিক্ষোভ

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

সকল সেচ পাম্পে মিটার স্থাপন ও পল্লী বিদ্যুতের কাছে সেচ পাম্প হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ৮ দফা দাবিতে বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতি গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে গত রোববার জেলা শহরের ডিবি রোডে নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে। বিক্ষোভ শেষে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিনের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, গাইবান্ধা জেলা বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতির উপদেষ্টা মাসুদুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক আনাউর রহমান, সহ-সভাপতি দেবল কুমার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান সুমন, আব্দুল হালিম, মাহবুর রহমান, হযরত আলী, মকসুদ মিয়া, মো. আওলাদ হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, বাদল মিয়া, রফিকুল ইসলাম, সাজু মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সমস্ত লাইন স্ট্যান্ডার্ডে রূপান্তরকরণ, বন্ধ পাম্পের সকল বিল বাতিল, চলতি মৌসুমে সকল অতিরিক্ত বিল ও পূর্বের অতিরিক্ত সকল বিল দ্রুত সংশোধন এবং গ্রাহকদের নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এছাড়া স্মারকলিপিতে ৮ দাবিগুলো হচ্ছে- অতিরিক্ত বিল দিয়ে সেচ পাম্প মালিকদের ওপর মিথ্যা মামলা হয়রানিমূলক যে সমস্ত মামলা হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার, নেসকোর পূর্বে পিডিবির সময়কালে ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ পিডিবির তদন্তে যে ৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে তার বিপরীতে যে সমস্ত সেচ পাম্প মালিকদের অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে ওই সমস্ত বিল বাতিল, এছাড়া যে সমস্ত সেচ পাম্প বন্ধ থাকার পড়েও বিল করা হয়েছে সে সকল বিল বাতিল, পিডিবি’র পরবর্তী সময়ে ও বর্তমান সময়ে অনেক সেচ পাম্প মালিকদের অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে তা সংশোধন, পিডিবি/নেসকোর কোন কর্মকর্তা দিয়ে বিল সংশোধনের তদন্ত না করে ৩য় পক্ষের মাধ্যমে তদন্ত, অতিরিক্ত বিলকারী ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বর্তমানে যে সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী অতিরিক্ত বিল করার জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, সকল সেচ পাম্পে মিটার সংযোগ দিয়ে মিটার সংযোগের ক্ষেত্রে কোন তালবাহানা না করে সকল লাইন স্ট্যান্ড করা এবং পল্লী বিদ্যুতের কাছে সেচ পাম্প হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিল করা।