নারায়ণগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনার দুই দিনেও নিখোঁজ ১০ জনের কাউকেই উদ্ধার করা যায়নি। সন্ধান মেলেনি ডুবে যাওয়া ট্রলারটিরও। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নিখোঁজদের স্বজনরা। তবে উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, তাদের চেষ্টার কোন কমতি নেই। নদীর গভীরতা ও স্রোতের কারণে উদ্ধারকাজ অনেকাংশে ব্যাহত হচ্ছে।
গত বুধবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে সদর উপজেলার ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ ঘাট এলাকায় লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়ার পর ওইদিন সকাল ৯টা থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-পুলিশ ও নৌবাহিনীর কোস্টগার্ড। টানা দুইদিনের চেষ্টাতেও ট্রলার কিংবা নিখোঁজ কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজদের সন্ধানে নদীর দুই পাড়ে ভিড় করেন স্বজনরা। বারবার আহাজারি করে প্রিয় মানুষটিকে ফিরে পেতে চাচ্ছেন তারা। ভোর থেকে নদীর তীরে অসংখ্য মানুষ আসতে থাকে। তাদের মধ্যে কারও সন্তান, কারও ভাই এবং নিজের সহকর্মীর সন্ধানে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
কলেজছাত্র সাব্বির হাসানকে (১৮) না পেয়ে পাগল প্রায় মা রাজিয়া সুলতানা। কাঁদতে কাঁদতে ভেঙেছেন গলা। গলা দিয়ে যেন শব্দও বের হতে চায় না। ভাঙা গলায় সন্ধান চেয়ে বেড়াচ্ছেন উদ্ধারকাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী, পথচারীদের কাছে। উদ্ধারকর্মীরা সান্তনা দিতে চাইলে রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘তোমরা মিথ্যাবাদী, মিথ্যা বলো। আমার ছেলেকে এখনও খুঁজে দিচ্ছো না। ওরা আমার ছেলেরে খোঁজে না।’
রাজিয়া সুলতানার সঙ্গে অন্য নিখোঁজদের স্বজনরাও অভিযোগ করেন, উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাজ ঠিক মতো করছে না। ঠিকমতো কাজ করলে অনেক আগেই নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যেত। এত বিলম্ব হবে কেন? এদিকে উদ্ধারকর্মীদের মতে একাধিক কারণে উদ্ধার কাজে বিলম্ব হচ্ছে। দুই নদীর মোহনা, নদীর গভীরতা, স্রোত এবং দুর্ঘটনায় স্থান চিহ্নিত না হওয়ায় উদ্ধার কাজে বিলম্ব হচ্ছে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুক্রবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২২ , ২৩ পৌষ ১৪২৮ ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনার দুই দিনেও নিখোঁজ ১০ জনের কাউকেই উদ্ধার করা যায়নি। সন্ধান মেলেনি ডুবে যাওয়া ট্রলারটিরও। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নিখোঁজদের স্বজনরা। তবে উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, তাদের চেষ্টার কোন কমতি নেই। নদীর গভীরতা ও স্রোতের কারণে উদ্ধারকাজ অনেকাংশে ব্যাহত হচ্ছে।
গত বুধবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে সদর উপজেলার ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ ঘাট এলাকায় লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়ার পর ওইদিন সকাল ৯টা থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-পুলিশ ও নৌবাহিনীর কোস্টগার্ড। টানা দুইদিনের চেষ্টাতেও ট্রলার কিংবা নিখোঁজ কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজদের সন্ধানে নদীর দুই পাড়ে ভিড় করেন স্বজনরা। বারবার আহাজারি করে প্রিয় মানুষটিকে ফিরে পেতে চাচ্ছেন তারা। ভোর থেকে নদীর তীরে অসংখ্য মানুষ আসতে থাকে। তাদের মধ্যে কারও সন্তান, কারও ভাই এবং নিজের সহকর্মীর সন্ধানে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
কলেজছাত্র সাব্বির হাসানকে (১৮) না পেয়ে পাগল প্রায় মা রাজিয়া সুলতানা। কাঁদতে কাঁদতে ভেঙেছেন গলা। গলা দিয়ে যেন শব্দও বের হতে চায় না। ভাঙা গলায় সন্ধান চেয়ে বেড়াচ্ছেন উদ্ধারকাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবী, পথচারীদের কাছে। উদ্ধারকর্মীরা সান্তনা দিতে চাইলে রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘তোমরা মিথ্যাবাদী, মিথ্যা বলো। আমার ছেলেকে এখনও খুঁজে দিচ্ছো না। ওরা আমার ছেলেরে খোঁজে না।’
রাজিয়া সুলতানার সঙ্গে অন্য নিখোঁজদের স্বজনরাও অভিযোগ করেন, উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাজ ঠিক মতো করছে না। ঠিকমতো কাজ করলে অনেক আগেই নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যেত। এত বিলম্ব হবে কেন? এদিকে উদ্ধারকর্মীদের মতে একাধিক কারণে উদ্ধার কাজে বিলম্ব হচ্ছে। দুই নদীর মোহনা, নদীর গভীরতা, স্রোত এবং দুর্ঘটনায় স্থান চিহ্নিত না হওয়ায় উদ্ধার কাজে বিলম্ব হচ্ছে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।