কিশোরী ধর্ষণ-পর্নোগ্রাফি আসামি ধরছে না পুলিশ

মুন্সীগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগে মামলা করে এখন বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে কিশোরী (১৫)। অসহায় ওই মিশুক চালকের মেয়ে বিচারের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ধরণা দিচ্ছে। পুলিশ আসামি ধরছে না।

মিরকাদিম পৌরসভার মিরাপাড়ার কালিঞ্জিপাড়ার বোরহানের ছেলে মানিক (২১) প্রথমে ওই কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন। এই শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ও ছবি তুলে রেখে দেন। পরবর্তীতে তার দুই বন্ধু মিরাপাড়া মাসুমের বাড়ির ভাড়াটিয়া সম্রাট (২২) ও মিরাপাড়ার মালেক মাদবরের ছেলে শুভ (২৪) ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় মানিককে প্রধান আসামি করে সম্রাট ও শুভর বিরুদ্ধে নারী ও শিকুশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন কিশোরী।

মামলার এজহারে বলা হয়, বিয়ের কথা বলে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন মানিক। কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে এবং কিশোরীকে এই ভিডিও দেখিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল করে দেয়ার কথা বলে হুমকি দিয়ে আরো কয়েক দফা ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিডিও দেখিয়ে হুমকি দিয়ে মানিকের মামা মাসুমের বাড়ির নিচতলায় স¤্রাট (২২) ও শুভ (২৪) ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়। কিশোরীর মা রুমা বেগম বলেন, আমার মেয়ে বাদী হয়ে ২৮ ডিসেম্বর মামলা করে। কিন্তু পুলিশের কোন ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি না। আসামী কেন ধরা হচ্ছে না জিজ্ঞেস করলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘আসামি ধরার চেষ্টা চলছে বাড়িতে নেই বলে ধরা যাচ্ছে না’।

তিনি আরও বলেন, আমরা গরিব। আসামিরা অনেক টাকার মালিক। তাই আমাদের মামলার কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী এনামুল হক বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সব আসামি পলাতক রয়েছে।

শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২ , ২৪ পৌষ ১৪২৮ ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

কিশোরী ধর্ষণ-পর্নোগ্রাফি আসামি ধরছে না পুলিশ

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগে মামলা করে এখন বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে কিশোরী (১৫)। অসহায় ওই মিশুক চালকের মেয়ে বিচারের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ধরণা দিচ্ছে। পুলিশ আসামি ধরছে না।

মিরকাদিম পৌরসভার মিরাপাড়ার কালিঞ্জিপাড়ার বোরহানের ছেলে মানিক (২১) প্রথমে ওই কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন। এই শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ও ছবি তুলে রেখে দেন। পরবর্তীতে তার দুই বন্ধু মিরাপাড়া মাসুমের বাড়ির ভাড়াটিয়া সম্রাট (২২) ও মিরাপাড়ার মালেক মাদবরের ছেলে শুভ (২৪) ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় মানিককে প্রধান আসামি করে সম্রাট ও শুভর বিরুদ্ধে নারী ও শিকুশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন কিশোরী।

মামলার এজহারে বলা হয়, বিয়ের কথা বলে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন মানিক। কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে এবং কিশোরীকে এই ভিডিও দেখিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল করে দেয়ার কথা বলে হুমকি দিয়ে আরো কয়েক দফা ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিডিও দেখিয়ে হুমকি দিয়ে মানিকের মামা মাসুমের বাড়ির নিচতলায় স¤্রাট (২২) ও শুভ (২৪) ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়। কিশোরীর মা রুমা বেগম বলেন, আমার মেয়ে বাদী হয়ে ২৮ ডিসেম্বর মামলা করে। কিন্তু পুলিশের কোন ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছি না। আসামী কেন ধরা হচ্ছে না জিজ্ঞেস করলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘আসামি ধরার চেষ্টা চলছে বাড়িতে নেই বলে ধরা যাচ্ছে না’।

তিনি আরও বলেন, আমরা গরিব। আসামিরা অনেক টাকার মালিক। তাই আমাদের মামলার কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী এনামুল হক বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সব আসামি পলাতক রয়েছে।