লাকীর বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির তদন্তও ঝুলে আছে

১৬ জানুয়ারি দুদকের হাজিরায় তলব

ক্ষমতায় থেকে শিল্পকলা একাডেমিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ডাক পড়েছে মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর। আগামী ১৬ জানুয়ারী তাকে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

এদিকে লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিও তদন্ত করছে বলে জানা গেছে। প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিয়ে সহযোগিতা না করায় সেই তদন্ত অনেকদিন ধরে ঝুলে আছে। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটির কাছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট নথিপত্র দেয়ার কথা থাকলেও নানা অজুহাত দেখিয়ে তা সরবরাহ করেননি লাকী।

দুদকের সূত্র জানিয়েছে, লাকীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের পর অনুসন্ধান টিম ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। গত বুধবার অনুসন্ধান কর্মকর্তা ইব্রাহিম কিছু নথিপত্র চেয়েছে। একাডেমির মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠিতে যেসব রেকর্ডপত্র তলব করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্পকলার ঢাকা কার্যালয়ে বরাদ্দকৃত বাজেট ও ব্যয়সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে অব্যয়িত ৩৫ কোটি টাকা ২০২১ সালের ৩০ জুনে ব্যয়করণ-সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার অনুসন্ধান কর্মকর্তার স্বাক্ষরে লাকীকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। উপরোক্ত বিষয়ে স্ষ্ঠুু তদন্তের স্বার্থে আপনার বক্তব্য রেকর্ড করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় আগামী ১৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় দুদক কার্যালয়ে নিম্ন স্বাক্ষরকারী (মোহাম্মদ ইব্রাহিম উপ-পরিচালক দুদক) কাছে উপস্থিত হয়ে অনুসন্ধানের স্বার্থে বক্তব্য দেয়ার অনুরোধ করা হলো।

শনিবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২২ , ২৪ পৌষ ১৪২৮ ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৩

লাকীর বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির তদন্তও ঝুলে আছে

১৬ জানুয়ারি দুদকের হাজিরায় তলব

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ক্ষমতায় থেকে শিল্পকলা একাডেমিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ডাক পড়েছে মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর। আগামী ১৬ জানুয়ারী তাকে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

এদিকে লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিও তদন্ত করছে বলে জানা গেছে। প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিয়ে সহযোগিতা না করায় সেই তদন্ত অনেকদিন ধরে ঝুলে আছে। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটির কাছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট নথিপত্র দেয়ার কথা থাকলেও নানা অজুহাত দেখিয়ে তা সরবরাহ করেননি লাকী।

দুদকের সূত্র জানিয়েছে, লাকীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের পর অনুসন্ধান টিম ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। গত বুধবার অনুসন্ধান কর্মকর্তা ইব্রাহিম কিছু নথিপত্র চেয়েছে। একাডেমির মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো চিঠিতে যেসব রেকর্ডপত্র তলব করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্পকলার ঢাকা কার্যালয়ে বরাদ্দকৃত বাজেট ও ব্যয়সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংবলিত নথির ফটোকপি এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে অব্যয়িত ৩৫ কোটি টাকা ২০২১ সালের ৩০ জুনে ব্যয়করণ-সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার অনুসন্ধান কর্মকর্তার স্বাক্ষরে লাকীকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। উপরোক্ত বিষয়ে স্ষ্ঠুু তদন্তের স্বার্থে আপনার বক্তব্য রেকর্ড করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় আগামী ১৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় দুদক কার্যালয়ে নিম্ন স্বাক্ষরকারী (মোহাম্মদ ইব্রাহিম উপ-পরিচালক দুদক) কাছে উপস্থিত হয়ে অনুসন্ধানের স্বার্থে বক্তব্য দেয়ার অনুরোধ করা হলো।