নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার অভিযোগ করেছেন, তার পক্ষে কাজ করা নেতাকর্মীদের পুলিশ হয়রানি করছে। নির্বাচনে তিনি সমান সুযোগ পাচ্ছেন না। নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই তাকে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ দেয়নি বলেও অভিযোগ তার। গতকাল সকালে শহরের মিশনপাড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তৈমুর আলম। পরে বন্দরে প্রচারণায় নেমেও সাংবাদিকদের কাছে একই অভিযোগ করেন।
সরকারি দলের নেতাদের বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একজন সম্মানিত মেহমান বলেছেন তৈমুরকে মাঠে নামতে দেয়া হবে না। আরেকজন সম্মানিত নেতা অতি দায়িত্বশীল, তিনি বলেছেন, তৈমুর ঘুঘু দেখেছে ফাঁদ দেখেননি। তিনি ২৪ ঘণ্টায় আমাকে রেজাল্ট দেখানোর করা বলেছেন। এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই আমি ঘুঘু এবং ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছি।’
তৈমুর আলমের অভিযোগ, তার পক্ষে নির্বাচনে কাজ করায় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপির এমন কোন নেতাকর্মী নেই যাদের নামে ওয়ারেন্ট নেই। আমি বললাম, যেদিন আমি নমিনেশন ক্রয় করি, জমা দেই এমনকি বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দের দিনও আমার সঙ্গে ছিল রবি। আপনি তাকে এতদিন গ্রেপ্তার করেননি। সরকারি দলের নেতার বক্তব্যের পর থেকেই কেন আপনারা আমাকে ফাঁদ দেখানো শুরু করেছেন। আপনারা কি চান না নারায়ণগঞ্জে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক?’
প্রশাসনের উদ্দেশে স্বতন্ত্র এই প্রার্থী বলেন, ‘জনগণের রায়ই চূড়ান্ত। যেই কার্যক্রম চলছে তাতে সবচেয়ে বেশি ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সরকারের অনেক বড় বড় কর্মকর্তাদের বিলেত যাওয়ার ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আপনার নিজের ভাবমূর্তির প্রশ্নে বিষয়টা বিবেচনায় রাখবেন।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা দুইজন (শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভী) একই দলের। তাদের বক্তব্যে তাদের পারস্পরিক যে বিভাজন এটা অত্যন্ত পরিষ্কার। জনমনে এটার একটা ভালো প্রভাব পড়েছে এবং সেটা আমাদের পক্ষে যাবে।
বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২ , ২৮ পৌষ ১৪২৮ ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৩
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার অভিযোগ করেছেন, তার পক্ষে কাজ করা নেতাকর্মীদের পুলিশ হয়রানি করছে। নির্বাচনে তিনি সমান সুযোগ পাচ্ছেন না। নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই তাকে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ দেয়নি বলেও অভিযোগ তার। গতকাল সকালে শহরের মিশনপাড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তৈমুর আলম। পরে বন্দরে প্রচারণায় নেমেও সাংবাদিকদের কাছে একই অভিযোগ করেন।
সরকারি দলের নেতাদের বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একজন সম্মানিত মেহমান বলেছেন তৈমুরকে মাঠে নামতে দেয়া হবে না। আরেকজন সম্মানিত নেতা অতি দায়িত্বশীল, তিনি বলেছেন, তৈমুর ঘুঘু দেখেছে ফাঁদ দেখেননি। তিনি ২৪ ঘণ্টায় আমাকে রেজাল্ট দেখানোর করা বলেছেন। এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই আমি ঘুঘু এবং ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছি।’
তৈমুর আলমের অভিযোগ, তার পক্ষে নির্বাচনে কাজ করায় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপির এমন কোন নেতাকর্মী নেই যাদের নামে ওয়ারেন্ট নেই। আমি বললাম, যেদিন আমি নমিনেশন ক্রয় করি, জমা দেই এমনকি বাছাই ও প্রতীক বরাদ্দের দিনও আমার সঙ্গে ছিল রবি। আপনি তাকে এতদিন গ্রেপ্তার করেননি। সরকারি দলের নেতার বক্তব্যের পর থেকেই কেন আপনারা আমাকে ফাঁদ দেখানো শুরু করেছেন। আপনারা কি চান না নারায়ণগঞ্জে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক?’
প্রশাসনের উদ্দেশে স্বতন্ত্র এই প্রার্থী বলেন, ‘জনগণের রায়ই চূড়ান্ত। যেই কার্যক্রম চলছে তাতে সবচেয়ে বেশি ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সরকারের অনেক বড় বড় কর্মকর্তাদের বিলেত যাওয়ার ভিসা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আপনার নিজের ভাবমূর্তির প্রশ্নে বিষয়টা বিবেচনায় রাখবেন।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা দুইজন (শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভী) একই দলের। তাদের বক্তব্যে তাদের পারস্পরিক যে বিভাজন এটা অত্যন্ত পরিষ্কার। জনমনে এটার একটা ভালো প্রভাব পড়েছে এবং সেটা আমাদের পক্ষে যাবে।