চাঁপাইনবাবগঞ্জে শেষ মুহূর্তে ভিড় জুতার দোকানে

ঈদের পোশাক কেনা শেষ। এখন কেনাকাটায় জমজমাট জুতার বাজার। নারী-পুরুষ, কমবেশী সব বয়সের সবার জন্য ঈদে চাই নতুন জুতা। নতুন পোশাকের নতুনত্ব পুরোপুরি ফুটে ওঠে না, যদি পায়ের জুতাজোড়া নতুন না হয়। হোক সেটা পাঞ্জাবির, শার্ট, প্যান্ট কিংবা শাড়ি আর থ্রিপিস। তাই ঈদের কেনাকাটায় পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জুতা কিনতে পছন্দ করেন। পছন্দসই জুতা-স্যান্ডেল কিনতে ক্রেতারা এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন। প্রতিটি মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। ছোট-বড় সবাই আসছেন সাধ্যের মধ্যে পছন্দমতো জুতা-স্যান্ডেল কিনতে। কারও কাছে মান ও দাম ঠিক থাকলেও কারও কাছে গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। গতকাল শুক্রবার জেলা শহরের মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের চাহিদা, পছন্দ আর সাধ্যের কথা মাথায় রেখে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা-স্যান্ডেলের বাহার শো-রুমগুলোতে। নিউ মার্কেট, শহীদ সাটু কমপ্লেক্স, ক্লাব সুপার মার্কেট, সেন্টু মার্কেট, বাবু গীরিশ চন্দ্র মার্কেট, তহাবাজারে জুতা স্যান্ডেলের জন্য রয়েছে এ্যাপেক্স, বাটা সু, ওয়াকার, লোটো, বিসমিল্লাহ সু কর্ণার, বিসমিল্লাহ ফুটওয়ার, মিতালী সু, সু ক্লাব, আভা সুজ, নাজ সুজ, বার্মিজ কর্তার, মামুন সুজ, ক্লাসিক সু হাউজ, লেগ টাচ সু, শামিম সু হাউজ, বাবুল সু হাউজসহ বেশ কিছু দোকানগুলোই ক্রেতাদের কাছে প্রিয়। যেখানে দেশি-বিদেশি সব ধরনের জুতা-স্যান্ডেল পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতা ছিল চোখে পড়ার মতো। চামড়ার স্যান্ডেল ৬০০ থেকে ২০০০ টাকা, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা ১২০০ থেকে ৪০০০ টাকা, সিøপার ৭০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়া মেয়েদের স্লিপার ৩০০ থেকে সাড়ে ২০০০ টাকা, হিল, নাগরা ৭০০ থেকে ২০০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শিশুদের স্যান্ডেল ২৫০ থেকে শুরু করে ৮শ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এখানকার বিক্রেতারা জানান, বিক্রি ভালোই হচ্ছে। এবার তরুণদের পছন্দের ডিজাইনের ফ্ল্যাট জুতা।

ছেলেদের জুতার মধ্যে এবার স্লিপার, কনভার্স ও ফরমাল জুতা বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শিশুদের জুতার মধ্যে ডোরেমন, স্পাইডারম্যান, বার্বি ডলের কার্টুনসংবলিত জুতা বিক্রি হচ্ছে।

সাফিউর রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, ঈদের জন্য কেনা নতুন পোশাকের সঙ্গে রঙ আর নকশা মিলিয়ে ছেলেমেয়েদের জন্য জুতা কিনতে আসা হয়েছে। করোনার কারণে গত দুই বছর কেনাকেটা করা হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় এখন কেনাকাটা করতে এসেছেন তারা।

জুতার দোকানগুলোতে ভালো ডিজাইনের কথা বললেও দাম অনেক বেশি বলে জানান ক্রেতারা। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের রুচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অ্যাপেক্স, সু ক্লাব ও বিসমিল্লাহ সু কর্তার এনেছে নতুন নতুন নকশার জুতা-স্যান্ডেল।

এ্যাপেক্স শো-রুম ম্যানেজার নজরুল ইসলাম বলেন, এখানে বেচাবিক্রি মোটামুটি ভালো। এখানে ৭০০ থেকে ৫০০০ টাকার দামের মধ্যের জুতা-স্যান্ডেল বেশি বিক্রি হচ্ছে।

দোকান মালিকরা বলছেন, ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকায় তুলনামুলক বিক্রি ভালই হচ্ছে এবং ঈদের আগ রাত পর্যন্ত প্রতিদিনই চাপ থাকবে ।

শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২ , ১৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শেষ মুহূর্তে ভিড় জুতার দোকানে

জেলা বার্তা পরিবেশক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

ঈদের পোশাক কেনা শেষ। এখন কেনাকাটায় জমজমাট জুতার বাজার। নারী-পুরুষ, কমবেশী সব বয়সের সবার জন্য ঈদে চাই নতুন জুতা। নতুন পোশাকের নতুনত্ব পুরোপুরি ফুটে ওঠে না, যদি পায়ের জুতাজোড়া নতুন না হয়। হোক সেটা পাঞ্জাবির, শার্ট, প্যান্ট কিংবা শাড়ি আর থ্রিপিস। তাই ঈদের কেনাকাটায় পোশাকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জুতা কিনতে পছন্দ করেন। পছন্দসই জুতা-স্যান্ডেল কিনতে ক্রেতারা এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন। প্রতিটি মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। ছোট-বড় সবাই আসছেন সাধ্যের মধ্যে পছন্দমতো জুতা-স্যান্ডেল কিনতে। কারও কাছে মান ও দাম ঠিক থাকলেও কারও কাছে গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। গতকাল শুক্রবার জেলা শহরের মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের চাহিদা, পছন্দ আর সাধ্যের কথা মাথায় রেখে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা-স্যান্ডেলের বাহার শো-রুমগুলোতে। নিউ মার্কেট, শহীদ সাটু কমপ্লেক্স, ক্লাব সুপার মার্কেট, সেন্টু মার্কেট, বাবু গীরিশ চন্দ্র মার্কেট, তহাবাজারে জুতা স্যান্ডেলের জন্য রয়েছে এ্যাপেক্স, বাটা সু, ওয়াকার, লোটো, বিসমিল্লাহ সু কর্ণার, বিসমিল্লাহ ফুটওয়ার, মিতালী সু, সু ক্লাব, আভা সুজ, নাজ সুজ, বার্মিজ কর্তার, মামুন সুজ, ক্লাসিক সু হাউজ, লেগ টাচ সু, শামিম সু হাউজ, বাবুল সু হাউজসহ বেশ কিছু দোকানগুলোই ক্রেতাদের কাছে প্রিয়। যেখানে দেশি-বিদেশি সব ধরনের জুতা-স্যান্ডেল পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতা ছিল চোখে পড়ার মতো। চামড়ার স্যান্ডেল ৬০০ থেকে ২০০০ টাকা, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা ১২০০ থেকে ৪০০০ টাকা, সিøপার ৭০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়া মেয়েদের স্লিপার ৩০০ থেকে সাড়ে ২০০০ টাকা, হিল, নাগরা ৭০০ থেকে ২০০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শিশুদের স্যান্ডেল ২৫০ থেকে শুরু করে ৮শ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এখানকার বিক্রেতারা জানান, বিক্রি ভালোই হচ্ছে। এবার তরুণদের পছন্দের ডিজাইনের ফ্ল্যাট জুতা।

ছেলেদের জুতার মধ্যে এবার স্লিপার, কনভার্স ও ফরমাল জুতা বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শিশুদের জুতার মধ্যে ডোরেমন, স্পাইডারম্যান, বার্বি ডলের কার্টুনসংবলিত জুতা বিক্রি হচ্ছে।

সাফিউর রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, ঈদের জন্য কেনা নতুন পোশাকের সঙ্গে রঙ আর নকশা মিলিয়ে ছেলেমেয়েদের জন্য জুতা কিনতে আসা হয়েছে। করোনার কারণে গত দুই বছর কেনাকেটা করা হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় এখন কেনাকাটা করতে এসেছেন তারা।

জুতার দোকানগুলোতে ভালো ডিজাইনের কথা বললেও দাম অনেক বেশি বলে জানান ক্রেতারা। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের রুচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে অ্যাপেক্স, সু ক্লাব ও বিসমিল্লাহ সু কর্তার এনেছে নতুন নতুন নকশার জুতা-স্যান্ডেল।

এ্যাপেক্স শো-রুম ম্যানেজার নজরুল ইসলাম বলেন, এখানে বেচাবিক্রি মোটামুটি ভালো। এখানে ৭০০ থেকে ৫০০০ টাকার দামের মধ্যের জুতা-স্যান্ডেল বেশি বিক্রি হচ্ছে।

দোকান মালিকরা বলছেন, ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকায় তুলনামুলক বিক্রি ভালই হচ্ছে এবং ঈদের আগ রাত পর্যন্ত প্রতিদিনই চাপ থাকবে ।