ফারইস্ট ফিন্যান্সের এমডি-পরিচালকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করছে দুদক

ঋণ জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সাড়ে ৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের এমডি ও পরিচালকসহ ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল কমিশনের বৈঠকে মামলার বিষয়ে অনুমোদন দেয়া হয়। যেকোন সময় মামলা দায়ের করবেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক আবদুল মাজেদ। দুদক পরিচালক ও তদারককারী কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় আসামি করা হচ্ছে ফারইস্ট ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শান্তনু সাহা, পরিচালক রুবাইয়াৎ খালেদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, এসএভিপি ও হেড অব ফিন্যান্স এইচআর মো. আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র ম্যানেজার মনোরঞ্জন চক্রবর্তী, ক্রেডিট ইনচার্জ মোহাম্মদ রফিকুল আলম, সিনিয়র ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম এবং সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কোম্পানি সেক্রেটারি শেখ খালেদ জহিরকে। অন্যদিকে পিএফআই সিকিউরিটিজের আসামিরা হলেন পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিকল্প পরিচালক এমএ খালেক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, উপমহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মুসফিকুর রহমান। তাদের মধ্যে পিএফআই সিকিউরিটিজের এমএ খালেক ও ফারইস্টের রুবাইয়াৎ খালেদ গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন বলে জানা গেছে।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অভিযুক্তরা পিএফআই সিকিউরিটিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স চারুশীলের স্বত্বাধিকারী সেলিম আহমেদ নামে ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড থেকে ১০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুরি ও বিতরণ করিয়ে নেয়। পরে পিএফআই সিকিউরিটিজের হিসাবে জমা দিয়ে ১০ কোটি টাকা থেকে ৮ কোটি ৬১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৭৬ টাকা স্থানান্তর, পাচার, প্লেসমেন্ট ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে। তাদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলা অনুমোদন দেয়া হয়।

শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২ , ২২ আশ্বিন ১৪২৯ ১০ সফর ১৪৪৪

ঋণ জালিয়াতি ও প্রতারণা

ফারইস্ট ফিন্যান্সের এমডি-পরিচালকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করছে দুদক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ঋণ জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সাড়ে ৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের এমডি ও পরিচালকসহ ১১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল কমিশনের বৈঠকে মামলার বিষয়ে অনুমোদন দেয়া হয়। যেকোন সময় মামলা দায়ের করবেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক আবদুল মাজেদ। দুদক পরিচালক ও তদারককারী কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় আসামি করা হচ্ছে ফারইস্ট ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শান্তনু সাহা, পরিচালক রুবাইয়াৎ খালেদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, এসএভিপি ও হেড অব ফিন্যান্স এইচআর মো. আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র ম্যানেজার মনোরঞ্জন চক্রবর্তী, ক্রেডিট ইনচার্জ মোহাম্মদ রফিকুল আলম, সিনিয়র ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম এবং সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কোম্পানি সেক্রেটারি শেখ খালেদ জহিরকে। অন্যদিকে পিএফআই সিকিউরিটিজের আসামিরা হলেন পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিকল্প পরিচালক এমএ খালেক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, উপমহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মুসফিকুর রহমান। তাদের মধ্যে পিএফআই সিকিউরিটিজের এমএ খালেক ও ফারইস্টের রুবাইয়াৎ খালেদ গোয়েন্দা পুলিশের পৃথক মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন বলে জানা গেছে।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অভিযুক্তরা পিএফআই সিকিউরিটিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স চারুশীলের স্বত্বাধিকারী সেলিম আহমেদ নামে ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড থেকে ১০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুরি ও বিতরণ করিয়ে নেয়। পরে পিএফআই সিকিউরিটিজের হিসাবে জমা দিয়ে ১০ কোটি টাকা থেকে ৮ কোটি ৬১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৭৬ টাকা স্থানান্তর, পাচার, প্লেসমেন্ট ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে। তাদের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলা অনুমোদন দেয়া হয়।