স্কুলে ভর্তি কার্যক্রম শুরু

স্কুলে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেয়া শুরু হয়।

২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য বয়স ছয় বছরের বেশি হতে হবে। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি কোন শিক্ষার্থীর বয়স ছয় বছরের বেশি হলেই পাওয়া যাবে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির আবেদনের সুযোগ। অন্যান্য শ্রেণীতেও এই হিসাব ধরে শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসেইন জানান, সকাল ১১টা থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে (যঃঃঢ়ং://মংধ.ঃবষবঃধষশ.পড়স.নফ) আবেদন জমা দেয়া যাবে।

আবেদন প্রক্রিয়া শেষে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর সরকারি স্কুল এবং ১৩ ডিসেম্বর বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তির যাবতীয় কাজ শেষ করা হবে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে।

গত ১৪ নভেম্বর ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নীতিমালার আলোকেই মহানগর, জেলা সদর ও উপজেলার সব স্কুলে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারি অনুষ্ঠিত হবে। তবে যেসব বেসরকারি স্কুল কেন্দ্রীয়ভাবে লটারিতে অংশ নেবে না তাদেরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত কমিটির মাধ্যমে লটারি করতে হবে।

অন্যান্য বছরের মতো এবারও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন ফি ২০০ টাকা এবং সরকারি স্কুলে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি নীতিমালার অন্যান্য বিষয় আগের মতোই রয়েছে। সে অনুযায়ী রাজধানীর এমপিওভুক্ত স্কুলে এবারও ভর্তি ফি পাঁচ হাজার টাকা, নন-এমপিওতে সর্বোচ্চ আট হাজার এবং ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে দশ হাজার টাকা নেয়া যাবে। তবে অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহরে তিন হাজার টাকার বেশি নেয়া যাবে না।

বিগত বছরের মতো এবারও ভর্তির আবেদন করার ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তিতে কয়েকটি শর্তের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো তিনটি গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গ্রুপের পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। এর মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে।

ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় বা শিফট দ্বিতীয় বার পছন্দ করা যাবে না। তবে ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে।

ভর্তির আবেদনে প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের সময় মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।

বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২ , ০২ অগ্রহায়ণ ১৪২৯, ২১ রবিউস সানি ১৪৪৪

স্কুলে ভর্তি কার্যক্রম শুরু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

স্কুলে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেয়া শুরু হয়।

২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য বয়স ছয় বছরের বেশি হতে হবে। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি কোন শিক্ষার্থীর বয়স ছয় বছরের বেশি হলেই পাওয়া যাবে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির আবেদনের সুযোগ। অন্যান্য শ্রেণীতেও এই হিসাব ধরে শিক্ষার্থী ভর্তি নিতে হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসেইন জানান, সকাল ১১টা থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে (যঃঃঢ়ং://মংধ.ঃবষবঃধষশ.পড়স.নফ) আবেদন জমা দেয়া যাবে।

আবেদন প্রক্রিয়া শেষে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর সরকারি স্কুল এবং ১৩ ডিসেম্বর বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তির যাবতীয় কাজ শেষ করা হবে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে।

গত ১৪ নভেম্বর ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির নীতিমালা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই নীতিমালার আলোকেই মহানগর, জেলা সদর ও উপজেলার সব স্কুলে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারি অনুষ্ঠিত হবে। তবে যেসব বেসরকারি স্কুল কেন্দ্রীয়ভাবে লটারিতে অংশ নেবে না তাদেরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত কমিটির মাধ্যমে লটারি করতে হবে।

অন্যান্য বছরের মতো এবারও বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন ফি ২০০ টাকা এবং সরকারি স্কুলে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি নীতিমালার অন্যান্য বিষয় আগের মতোই রয়েছে। সে অনুযায়ী রাজধানীর এমপিওভুক্ত স্কুলে এবারও ভর্তি ফি পাঁচ হাজার টাকা, নন-এমপিওতে সর্বোচ্চ আট হাজার এবং ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে দশ হাজার টাকা নেয়া যাবে। তবে অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহরে তিন হাজার টাকার বেশি নেয়া যাবে না।

বিগত বছরের মতো এবারও ভর্তির আবেদন করার ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তিতে কয়েকটি শর্তের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো তিনটি গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গ্রুপের পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। এর মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে।

ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় বা শিফট দ্বিতীয় বার পছন্দ করা যাবে না। তবে ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে।

ভর্তির আবেদনে প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের সময় মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।