‘স্বৈরাচার’ সরকার আপসে ক্ষমতা ছাড়ে না, গণঅভ্যুত্থানেই বিদায় নেবে

খন্দকার মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘কোন স্বৈরাচার সরকার আপসে ক্ষমতা ছেড়ে যায় না। তাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর বিকল্প নেই। অতীতে যেমন ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার এরশাদকে হটিয়েছে, তেমনি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র যে এই সরকার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় নেবে।’

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় নিশ্চিত করাটাই মূলত আমাদের প্রথম দফা। যেভাবে দেশ চলছে, সেভাবে চলতে পারে না। জনগণকে চাপাবাজি করে দমিয়ে রাখতে পারবে না। তাদের সময় শেষ পর্যায়ে। আমরা দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে চাই। এজন্য ২৭ দফা প্রণয়ন করা হয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমান যে লক্ষ্যে বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন, সেগুলো বর্তমান সরকার ধ্বংস করেছে।’

এদিকে এক মানবন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘জনগণ যখন কোন ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জন্য রাস্তায় নামে তখন কোন শক্তিতেই তারা টিকে থাকতে পারে না। পেছনে তাদের (সরকারের) শক্তি যতই থাকুক, সেই শক্তি তাদের টিকিয়ে রাখতে পারে না।’

গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা জেলা বিএনপির মানববন্ধনে তিনি আরও বলেন, ‘আজ অর্থনীতি দুর্নীতির কাছে হারিয়ে গেছে। রাজকোষ খালি, বেতন দেয়ার টাকাও থাকবে না। এখন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পকেটমারা ছাড়া রাজস্ব কর্মকর্তাদের আর কোন কাজ নেই। এ পর্যন্ত ১৭টি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প তাদের কাজ স্থগিত রেখেছে, অর্থ যোগান দেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু যে টাকাগুলো খরচ হয়েছে, সেই টাকাগুলো আসবে কোথা থেকে?’

রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩ , ০৭ মাঘ ১৪২৯, ২৭ জমাদিউল সানি ১৪৪৪

‘স্বৈরাচার’ সরকার আপসে ক্ষমতা ছাড়ে না, গণঅভ্যুত্থানেই বিদায় নেবে

খন্দকার মোশাররফ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘কোন স্বৈরাচার সরকার আপসে ক্ষমতা ছেড়ে যায় না। তাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর বিকল্প নেই। অতীতে যেমন ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার এরশাদকে হটিয়েছে, তেমনি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র যে এই সরকার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় নেবে।’

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় নিশ্চিত করাটাই মূলত আমাদের প্রথম দফা। যেভাবে দেশ চলছে, সেভাবে চলতে পারে না। জনগণকে চাপাবাজি করে দমিয়ে রাখতে পারবে না। তাদের সময় শেষ পর্যায়ে। আমরা দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে চাই। এজন্য ২৭ দফা প্রণয়ন করা হয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমান যে লক্ষ্যে বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন, সেগুলো বর্তমান সরকার ধ্বংস করেছে।’

এদিকে এক মানবন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘জনগণ যখন কোন ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জন্য রাস্তায় নামে তখন কোন শক্তিতেই তারা টিকে থাকতে পারে না। পেছনে তাদের (সরকারের) শক্তি যতই থাকুক, সেই শক্তি তাদের টিকিয়ে রাখতে পারে না।’

গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা জেলা বিএনপির মানববন্ধনে তিনি আরও বলেন, ‘আজ অর্থনীতি দুর্নীতির কাছে হারিয়ে গেছে। রাজকোষ খালি, বেতন দেয়ার টাকাও থাকবে না। এখন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পকেটমারা ছাড়া রাজস্ব কর্মকর্তাদের আর কোন কাজ নেই। এ পর্যন্ত ১৭টি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প তাদের কাজ স্থগিত রেখেছে, অর্থ যোগান দেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু যে টাকাগুলো খরচ হয়েছে, সেই টাকাগুলো আসবে কোথা থেকে?’