কাশ্মীরে অতিরিক্ত ১০ হাজার নিরাপত্তা সদস্য পাঠিয়েছে ভারত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে আধা সামরিক বাহিনীর অতিরিক্ত দশ হাজার সদস্য মোতায়েন করেছে দিল্লি। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরালো করতেই রাজ্যটিতে এ অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালো কাশ্মীরে দুই দিনের সফর শেষ করে আসার পর এসব সেনা মোতায়েনের তথ্য জানান। নিজস্ব সূত্রের বরাতে সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে গত শুক্রবার এ তথ্য জানান দোভালো। কাশ্মীর নিয়ে দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের বিরোধ দীর্ঘদিনের। সেখানকার সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর কেউ কেউ সরাসরি স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনরত। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মীরের জাতিমুক্তি আন্দোলনকে বিভিন্ন জঙ্গিবাদী তৎপরতা থেকে আলাদা করে শনাক্ত করে না। সন্দেহভাজন জঙ্গি নাম দিয়ে বহু বিদ্রোহীর পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। কাশ্মীর প্রশ্নে সমগ্র ভারতীয় স্টাবলিশমেন্টের দৃষ্টিভঙ্গিতেই সেখানকার সমস্যাকে ‘বিচ্ছিন্নতা আর জঙ্গিবাদের’ সমস্যা আকারে দেখা হয়ে থাকে। কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিদর্শক দিলবাগ সিং জানিয়েছেন উত্তর কাশ্মীরে মোতায়েনের জন্য তারা এরই মধ্যে এসব নিরাপত্তা সদস্যদের চাহিদাপত্র দিয়ে রেখেছেন। দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত এইসব সদস্য কাশ্মীরের সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম জোরালো করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে কাজ করবে। এনডিটিভি জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তুলে নিয়ে অতিরিক্ত এসব সদস্যকে কাশ্মীরে মোতায়েন করা হবে। দিলবাগ সিং জানান, ‘উত্তর কাশ্মীরে সেনা সংখ্যা কম রয়েছে সে কারণে আমাদের অতিরিক্ত সেনা প্রয়োজন।’

রবিবার, ২৮ জুলাই ২০১৯ , ১৩ শ্রাবন ১৪২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪০

কাশ্মীরে অতিরিক্ত ১০ হাজার নিরাপত্তা সদস্য পাঠিয়েছে ভারত

সংবাদ ডেস্ক

image

অজিত দোভালো

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে আধা সামরিক বাহিনীর অতিরিক্ত দশ হাজার সদস্য মোতায়েন করেছে দিল্লি। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরালো করতেই রাজ্যটিতে এ অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালো কাশ্মীরে দুই দিনের সফর শেষ করে আসার পর এসব সেনা মোতায়েনের তথ্য জানান। নিজস্ব সূত্রের বরাতে সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে গত শুক্রবার এ তথ্য জানান দোভালো। কাশ্মীর নিয়ে দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের বিরোধ দীর্ঘদিনের। সেখানকার সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর কেউ কেউ সরাসরি স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনরত। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মীরের জাতিমুক্তি আন্দোলনকে বিভিন্ন জঙ্গিবাদী তৎপরতা থেকে আলাদা করে শনাক্ত করে না। সন্দেহভাজন জঙ্গি নাম দিয়ে বহু বিদ্রোহীর পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। কাশ্মীর প্রশ্নে সমগ্র ভারতীয় স্টাবলিশমেন্টের দৃষ্টিভঙ্গিতেই সেখানকার সমস্যাকে ‘বিচ্ছিন্নতা আর জঙ্গিবাদের’ সমস্যা আকারে দেখা হয়ে থাকে। কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিদর্শক দিলবাগ সিং জানিয়েছেন উত্তর কাশ্মীরে মোতায়েনের জন্য তারা এরই মধ্যে এসব নিরাপত্তা সদস্যদের চাহিদাপত্র দিয়ে রেখেছেন। দিল্লির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত এইসব সদস্য কাশ্মীরের সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম জোরালো করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে কাজ করবে। এনডিটিভি জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তুলে নিয়ে অতিরিক্ত এসব সদস্যকে কাশ্মীরে মোতায়েন করা হবে। দিলবাগ সিং জানান, ‘উত্তর কাশ্মীরে সেনা সংখ্যা কম রয়েছে সে কারণে আমাদের অতিরিক্ত সেনা প্রয়োজন।’