যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আকুতি মায়ের

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে ছয় বছর বয়সী সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে গুয়াতেমালা থেকে দেড় হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়েছেন লেডি পেরেজ। স্বপ্নের দেশের সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক ফুট দূরত্বে কুয়েদাদ জুয়ারেজ শহরে তাদের পথ আটকে দিয়েছে মেক্সিকোর ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা। অসহায় হয়ে সন্তানকে জড়িয়ে ধরে হাঁটু মুড়ে বসে ওই মা সেনা সদস্যের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেয়ার আকুতি জানাচ্ছেন। গত সোমবার এমন একটি দৃশ্য ধরা পড়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের আলোকচিত্রী জোস লুইস গঞ্জালেসের ক্যামেরায়।

গঞ্জালেস বলেন, ন্যাশনাল গার্ডের কাছে সন্তানকে নিয়ে ওই নারী তাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে দেয়ার জন্য অনুনয় করছিলেন। একটি উন্নত ভবিষ্যতের আশায় সন্তান অ্যান্থনি ডায়াজকে নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিতে চান তিনি। তবে রাইফেল কাঁধে সামরিক পোশাক পরিহিত ওই সেনা সদস্য বলেন, তিনি শুধু আদেশ পালন করছেন। নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি ওই সেনা সদস্য। এ ঘটনার কয়েকটি ছবি রয়টার্স প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। মধ্য আমেরিকার অভিবাসীদের ঠেকাতে মেক্সিকোর সামরিকায়িত ন্যাশনাল গার্ডের ব্যবহারের ওপর আলোকপাত করে এসব ছবি। রেকর্ড পরিমাণ খুনের হার কমাতে প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদোর ন্যাশনাল গার্ড প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু এখন এর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সেনা সদস্য সীমান্ত টহলে নিয়োজিত। যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখী অভিবাসী ঢল থামাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি মেটাতে এসব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। রয়টার্সের আলোকচিত্রী গঞ্জালেস জানান, লেডি পেরেজ ও তার সন্তানের সঙ্গে নয় মিনিটের আলাপের সময় ওই সেনা সদস্য অতিরিক্ত আগ্রাসন দেখাননি।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত মেক্সিকোর সাবেক রাষ্ট্রদূত আরথুরো সারুখান ছবিটি টুইট করার পর তা রিটুইট করে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ফেলিপে কালডেরন লেখেন, ‘কী দুর্ভোগ, মেক্সিকোর এটা মেনে নেয়া উচিত না।’ লোপেজ ওব্রাদোর এর মুখপাত্র জেসাস রমিরেজ বলেন, ‘জননিরাপত্তা রক্ষায় ন্যাশনাল গার্ড যে তাদের ভূমিকা রাখছে এই ছবি তার উদাহরণ।’ তিনি আরও বলেন, ওই সেনা সদস্য পেরেজকে সীমান্ত অতিক্রম করতে আটকাননি বরং তিনি তাকে এর বিপদ সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন। রমিরেজ বলেন, গার্ড সদস্যরা মানব পাচার মোকাবিলা, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং অভিবাসীদের সীমান্ত অতিক্রম ঠেকাতে কাজ করছে। ন্যাশনাল গার্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেনা সদস্য ওই নারীকে শিশুকে নিয়ে নদী পারের ঝুঁকি না নেয়ার পরামর্শ দেন।

রবিবার, ২৮ জুলাই ২০১৯ , ১৩ শ্রাবন ১৪২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪০

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আকুতি মায়ের

সংবাদ ডেস্ক

image

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে ছয় বছর বয়সী সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে গুয়াতেমালা থেকে দেড় হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়েছেন লেডি পেরেজ। স্বপ্নের দেশের সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক ফুট দূরত্বে কুয়েদাদ জুয়ারেজ শহরে তাদের পথ আটকে দিয়েছে মেক্সিকোর ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যরা। অসহায় হয়ে সন্তানকে জড়িয়ে ধরে হাঁটু মুড়ে বসে ওই মা সেনা সদস্যের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেয়ার আকুতি জানাচ্ছেন। গত সোমবার এমন একটি দৃশ্য ধরা পড়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের আলোকচিত্রী জোস লুইস গঞ্জালেসের ক্যামেরায়।

গঞ্জালেস বলেন, ন্যাশনাল গার্ডের কাছে সন্তানকে নিয়ে ওই নারী তাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে দেয়ার জন্য অনুনয় করছিলেন। একটি উন্নত ভবিষ্যতের আশায় সন্তান অ্যান্থনি ডায়াজকে নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিতে চান তিনি। তবে রাইফেল কাঁধে সামরিক পোশাক পরিহিত ওই সেনা সদস্য বলেন, তিনি শুধু আদেশ পালন করছেন। নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি ওই সেনা সদস্য। এ ঘটনার কয়েকটি ছবি রয়টার্স প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। মধ্য আমেরিকার অভিবাসীদের ঠেকাতে মেক্সিকোর সামরিকায়িত ন্যাশনাল গার্ডের ব্যবহারের ওপর আলোকপাত করে এসব ছবি। রেকর্ড পরিমাণ খুনের হার কমাতে প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদোর ন্যাশনাল গার্ড প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু এখন এর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সেনা সদস্য সীমান্ত টহলে নিয়োজিত। যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখী অভিবাসী ঢল থামাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি মেটাতে এসব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। রয়টার্সের আলোকচিত্রী গঞ্জালেস জানান, লেডি পেরেজ ও তার সন্তানের সঙ্গে নয় মিনিটের আলাপের সময় ওই সেনা সদস্য অতিরিক্ত আগ্রাসন দেখাননি।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত মেক্সিকোর সাবেক রাষ্ট্রদূত আরথুরো সারুখান ছবিটি টুইট করার পর তা রিটুইট করে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ফেলিপে কালডেরন লেখেন, ‘কী দুর্ভোগ, মেক্সিকোর এটা মেনে নেয়া উচিত না।’ লোপেজ ওব্রাদোর এর মুখপাত্র জেসাস রমিরেজ বলেন, ‘জননিরাপত্তা রক্ষায় ন্যাশনাল গার্ড যে তাদের ভূমিকা রাখছে এই ছবি তার উদাহরণ।’ তিনি আরও বলেন, ওই সেনা সদস্য পেরেজকে সীমান্ত অতিক্রম করতে আটকাননি বরং তিনি তাকে এর বিপদ সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন। রমিরেজ বলেন, গার্ড সদস্যরা মানব পাচার মোকাবিলা, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং অভিবাসীদের সীমান্ত অতিক্রম ঠেকাতে কাজ করছে। ন্যাশনাল গার্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেনা সদস্য ওই নারীকে শিশুকে নিয়ে নদী পারের ঝুঁকি না নেয়ার পরামর্শ দেন।