চট্টগ্রামে এবি ব্যাংকের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চার শিল্পপতির বিরুদ্ধে বেসরকারি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- এমইবি গ্রুপ হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামসুল আলম ও তার ছেলে নাহার ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়াইব এবং নুরজাহান গ্রুপের মাররীন ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহাম্মদ ও তার ভাই একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান। এছাড়া অভিযুক্ত হিসেবে আছেন এবি ব্যাংকের সাবেক এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার মো. আশরাফুল আজিজ। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম বাদী হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এ মামলাটি দায়ের করেছেন। একই মামলায় এ বি ব্যাংকের সাবেক এক কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে।
দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬২ (ক ও খ), ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং ২০০৯ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ (২) ধারায় অপরাধ করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত শিল্পপতি শামসুল আলম বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী-বাকলিয়া আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর কিছুদিন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে শামসুল আর রাজনীতির মাঠে সেভাবে সক্রিয় নন।
মামলা গ্রহণকারী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-সহকারি পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ বলেন, মামলায় ১৯ কোটি ৭৯ লাখ ৬২ হাজার ৮২২ টাকা ৮০ পয়সা আত্মসাতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তারা পরস্পরের যোগসাজশে ভুয়া দলিল দাখিল করে মালামাল কেনাবেচার ছদ্মাবরণে এবি ব্যাংকের চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে টাইম লোন নিয়ে আত্মসাৎ করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া তারা জ্ঞাতসারে সেই অর্থ ট্রান্সফার ও লেয়ারিং করে অর্থের অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করেন বলেও এজাহারে বলা হয়েছে।
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২০ , ১৫ মাঘ ১৪২৬, ৩ জমাদিউস সানি ১৪৪১
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামে এবি ব্যাংকের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চার শিল্পপতির বিরুদ্ধে বেসরকারি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- এমইবি গ্রুপ হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামসুল আলম ও তার ছেলে নাহার ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়াইব এবং নুরজাহান গ্রুপের মাররীন ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহাম্মদ ও তার ভাই একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান। এছাড়া অভিযুক্ত হিসেবে আছেন এবি ব্যাংকের সাবেক এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার মো. আশরাফুল আজিজ। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ শিহাব সালাম বাদী হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এ মামলাটি দায়ের করেছেন। একই মামলায় এ বি ব্যাংকের সাবেক এক কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে।
দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬২ (ক ও খ), ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং ২০০৯ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪ (২) ধারায় অপরাধ করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ আছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত শিল্পপতি শামসুল আলম বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী-বাকলিয়া আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। এরপর কিছুদিন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে শামসুল আর রাজনীতির মাঠে সেভাবে সক্রিয় নন।
মামলা গ্রহণকারী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-সহকারি পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ বলেন, মামলায় ১৯ কোটি ৭৯ লাখ ৬২ হাজার ৮২২ টাকা ৮০ পয়সা আত্মসাতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তারা পরস্পরের যোগসাজশে ভুয়া দলিল দাখিল করে মালামাল কেনাবেচার ছদ্মাবরণে এবি ব্যাংকের চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে টাইম লোন নিয়ে আত্মসাৎ করেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া তারা জ্ঞাতসারে সেই অর্থ ট্রান্সফার ও লেয়ারিং করে অর্থের অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করেন বলেও এজাহারে বলা হয়েছে।