চীন থেকে আগ্রহী বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেছেন, চীনে করোনাভাইরাস নিয়ে চলমান সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে থাকা আগ্রহী বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চীনফেরত ওই বাংলাদেশিদের কেউ করোনাভাইরাসের বাহক কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে চীন থেকে প্রবাসীরা বাংলাদেশে ফিরলে এখানেও তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আমরা চাই না, আমাদের এখানেও এটা ছড়িয়ে পড়ুক। তবে চীন এ বিষয়ে খুবই কড়া। ১৪ দিন না হলে তাদের ফিরতে দেবে না। আমরা আগ্রহীদের ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত। তবে বাংলাদেশিরা ওখানে থাকলে ভালো সেবা পাবেন।

গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকা-সিলেট চার লেন রোড তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে সিলেটের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি একথা বলেন। সভায় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ, বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, মৌলভীবাজার-২ আসনের সুলতান মো. মনসুর আহমদ প্রমুখ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চীনে অবস্থান করা বাংলাদেশিদের ফেরত আনতে আমরা বিমানের ফ্লাইটও প্রস্তুত করে রেখেছি। নিজেদের নাগরিকদের দেশে ফেরত আনার বিষয়টি চীনা কর্তৃপক্ষকে আমরা জানিয়েছি। তবে তারা বলেছে, অন্তত দুই সপ্তাহ তারা সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখবে। এরপরে বিদেশিরা নিজ দেশে ফিরতে পারবে। দেশে ফিরতে চাওয়া বাংলাদেশিদের তালিকা করা হয়েছে। তাদের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। তবে অনেকে ফিরতে আগ্রহী নন। তারা বলেছেন, এই অবস্থায় দেশে ফেরা ঠিক হবে না। কারণ, এ ভাইরাসে আক্রান্তদের সব ধরনের চিকিৎসাসেবা চীন দিচ্ছে। বাংলাদেশে আসলে কী ধরনের সেবা পাবেন সেটা বলা মুশকিল। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশও নিজ নাগরিকদের ফেরত নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে চীনারা এখনই কোন বিদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে না। এ বিষয়ে তারা খুব কঠোর।

ঢাকা-সিলেট চার লেন রোড প্রকল্প প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে ঢাকা-সিলেট চার লেন রোডের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। আগামী ৫০ বছরে যেন এ রুটে যাতায়াতের সমস্যা না হয়, সেই পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা-সিলেট রোড তৈরি করা হবে।

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২০ , ১৬ মাঘ ১৪২৬, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪১

চীন থেকে আগ্রহী বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেছেন, চীনে করোনাভাইরাস নিয়ে চলমান সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে থাকা আগ্রহী বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চীনফেরত ওই বাংলাদেশিদের কেউ করোনাভাইরাসের বাহক কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে চীন থেকে প্রবাসীরা বাংলাদেশে ফিরলে এখানেও তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। আমরা চাই না, আমাদের এখানেও এটা ছড়িয়ে পড়ুক। তবে চীন এ বিষয়ে খুবই কড়া। ১৪ দিন না হলে তাদের ফিরতে দেবে না। আমরা আগ্রহীদের ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত। তবে বাংলাদেশিরা ওখানে থাকলে ভালো সেবা পাবেন।

গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকা-সিলেট চার লেন রোড তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে সিলেটের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি একথা বলেন। সভায় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ, বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ, মৌলভীবাজার-২ আসনের সুলতান মো. মনসুর আহমদ প্রমুখ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চীনে অবস্থান করা বাংলাদেশিদের ফেরত আনতে আমরা বিমানের ফ্লাইটও প্রস্তুত করে রেখেছি। নিজেদের নাগরিকদের দেশে ফেরত আনার বিষয়টি চীনা কর্তৃপক্ষকে আমরা জানিয়েছি। তবে তারা বলেছে, অন্তত দুই সপ্তাহ তারা সবাইকে পর্যবেক্ষণে রাখবে। এরপরে বিদেশিরা নিজ দেশে ফিরতে পারবে। দেশে ফিরতে চাওয়া বাংলাদেশিদের তালিকা করা হয়েছে। তাদের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। তবে অনেকে ফিরতে আগ্রহী নন। তারা বলেছেন, এই অবস্থায় দেশে ফেরা ঠিক হবে না। কারণ, এ ভাইরাসে আক্রান্তদের সব ধরনের চিকিৎসাসেবা চীন দিচ্ছে। বাংলাদেশে আসলে কী ধরনের সেবা পাবেন সেটা বলা মুশকিল। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশও নিজ নাগরিকদের ফেরত নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে চীনারা এখনই কোন বিদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে না। এ বিষয়ে তারা খুব কঠোর।

ঢাকা-সিলেট চার লেন রোড প্রকল্প প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে ঢাকা-সিলেট চার লেন রোডের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছি। আগামী ৫০ বছরে যেন এ রুটে যাতায়াতের সমস্যা না হয়, সেই পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা-সিলেট রোড তৈরি করা হবে।