অযথা কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অযথাই কাউকে গ্রেফতার করছে না। এ সময় আওয়ামী লীগের সমাবেশ করার আগে অনুমতি নেয়া প্রয়োজন ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি।

মুজিববর্ষের প্রস্তুতি উপলক্ষে করা আওয়ামী লীগের মিছিল-সমাবেশ নিয়ে নুরুল হুদা বলেন, সমাবেশ করার আগে নির্বাচন কমিশনকে জানানো উচিত ছিল এবং অনুমতি নেয়া উচিত ছিল। শুনেছি, মুজিববর্ষের প্রস্তুতি নিয়ে সভা হচ্ছে। এ সভায় যদি নির্বাচন নিয়ে কিছু না বলে থাকে তা বিধিতে আলাদাভাবে কিছু বলা নেই। তবে আমি মনে করি নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সভা না করা উচিত ছিল। দরকার হলে আমাদের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন ছিল।

নির্বাচন সামনে রেখে বহিরাগতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে কিনা প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলে, কারও কোন বাসা বাড়িতে তল্লাশি করা, রেইড করা, এগুলো হচ্ছে না। হোটেল, হোস্টেল বা অন্যান্য জায়গায় যদি বাইরে থেকে কেউ এসে থাকে সেটার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলায় যারা নিয়োজিত তাদের বলেছি, যাদের প্রয়োজন নেই তারা যেন ঢাকায় না আসে। ভোটকেন্দ্রে চারপাশে যেন অকারণে জটলা না হয় সে ব্যাপারে তাদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বাইরে থেকে ঢাকায় আসার ব্যাপারে তো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যায় না। যাদের প্রয়োজন নেই মনে করবে তারা যেন এখানে না আসে সেটাকে আমরা নিরুৎসাহী করেছি। তা নিয়ে পুলিশি অভিযান চালাতে বলিনি।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা ঢাকায় জড়ো হচ্ছে আওয়ামী লীগের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এমন কেউ প্রবেশ করেছে আমাদের জানা নেই, এমন তথ্যও নেই। তারা আশঙ্কা করতে পারে। সেটা আমরা বলেছি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখতে।

কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি আপনার সঙ্গে দেখা করেছে, কেউ মাতব্বরী করছে বলে মনে হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না এমনটি মনে হয়নি। তারা আমাদের আবস্থান জানতে চেয়েছে, আমরা তাদের বুঝিয়েছি তারা সন্তুষ্ট হয়ে এখান থেকে চলে গেছে। আমাদের প্রস্তুতিতে তারা খুশি একথা বলেছে।

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০ , ১৭ মাঘ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

অযথা কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না : সিইসি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অযথাই কাউকে গ্রেফতার করছে না। এ সময় আওয়ামী লীগের সমাবেশ করার আগে অনুমতি নেয়া প্রয়োজন ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি।

মুজিববর্ষের প্রস্তুতি উপলক্ষে করা আওয়ামী লীগের মিছিল-সমাবেশ নিয়ে নুরুল হুদা বলেন, সমাবেশ করার আগে নির্বাচন কমিশনকে জানানো উচিত ছিল এবং অনুমতি নেয়া উচিত ছিল। শুনেছি, মুজিববর্ষের প্রস্তুতি নিয়ে সভা হচ্ছে। এ সভায় যদি নির্বাচন নিয়ে কিছু না বলে থাকে তা বিধিতে আলাদাভাবে কিছু বলা নেই। তবে আমি মনে করি নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সভা না করা উচিত ছিল। দরকার হলে আমাদের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন ছিল।

নির্বাচন সামনে রেখে বহিরাগতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে কিনা প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলে, কারও কোন বাসা বাড়িতে তল্লাশি করা, রেইড করা, এগুলো হচ্ছে না। হোটেল, হোস্টেল বা অন্যান্য জায়গায় যদি বাইরে থেকে কেউ এসে থাকে সেটার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলায় যারা নিয়োজিত তাদের বলেছি, যাদের প্রয়োজন নেই তারা যেন ঢাকায় না আসে। ভোটকেন্দ্রে চারপাশে যেন অকারণে জটলা না হয় সে ব্যাপারে তাদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বাইরে থেকে ঢাকায় আসার ব্যাপারে তো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যায় না। যাদের প্রয়োজন নেই মনে করবে তারা যেন এখানে না আসে সেটাকে আমরা নিরুৎসাহী করেছি। তা নিয়ে পুলিশি অভিযান চালাতে বলিনি।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা ঢাকায় জড়ো হচ্ছে আওয়ামী লীগের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এমন কেউ প্রবেশ করেছে আমাদের জানা নেই, এমন তথ্যও নেই। তারা আশঙ্কা করতে পারে। সেটা আমরা বলেছি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখতে।

কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি আপনার সঙ্গে দেখা করেছে, কেউ মাতব্বরী করছে বলে মনে হয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না এমনটি মনে হয়নি। তারা আমাদের আবস্থান জানতে চেয়েছে, আমরা তাদের বুঝিয়েছি তারা সন্তুষ্ট হয়ে এখান থেকে চলে গেছে। আমাদের প্রস্তুতিতে তারা খুশি একথা বলেছে।