বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশির অভিযোগ ফখরুলের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির অনেক নেতাকর্মী, যারা চিকিৎসা বা ব্যবসার কাজে ঢাকায় এসেছেন, তাদের গ্রেফতার করে একতরফা নির্বাচন করতে চাইছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি হয়েছে। বিএনপি প্রার্থীদের পক্ষে গণজোয়ার দেখে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, মির্জা আব্বাস, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের উপস্থিতি, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছি, ভোট চাইছি, ধানের শীষকে সামনে নিয়ে আসছি, একটা পরিবেশ তৈরি করতে কিছুটা হলেও সক্ষম হয়েছি। আমাদের জনগণ বেরিয়ে আসছে, এটা সবচেয়ে বড় মুনাফা। বিএনপির প্রার্থীদের পক্ষে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তা রোধ করার শক্তি এই সরকারের নেই। জনগণ ভোট দিতে পারলে বিএনপির প্রার্থীরাই জয়লাভ করবেন ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য উসকানিমূলক বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের এমপি-মন্ত্রীদের বক্তব্যের ফলে নির্বাচনের পরিবেশ ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনের দিকেই চলে যাচ্ছে। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসীদের ঢাকায় জড়ো করে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্ট করতে চাইছে। ভোটের ঠিক এক দিন আগে আওয়ামী লীগ একটি কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান করে এই নির্বাচনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। এটি নির্বাচনের সুস্পষ্ট আচরণবিধির লঙ্ঘন। এটা নির্বাচন কমিশনে জানানোর পর তারা বলেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা হতে বাধা নেই। কমিশনের কথা থেকে বোঝা যায় তারা সরকারের নির্দেশ পালন করছে। পুলিশও ভূমিকা পালন করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ নির্বাচনকেও একটি দলীয়করণ নির্বাচনে করতে চলেছে। দুই সিটি করপোরেশন ১৫ বা ১৬ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। নির্বাচনের নামে খেলা ও তামাশা করা হচ্ছে। নির্বাচনকে, গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে। এজন্য একসময় অবশ্যই তাদের জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২০ , ১৭ মাঘ ১৪২৬, ৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশির অভিযোগ ফখরুলের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির অনেক নেতাকর্মী, যারা চিকিৎসা বা ব্যবসার কাজে ঢাকায় এসেছেন, তাদের গ্রেফতার করে একতরফা নির্বাচন করতে চাইছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি হয়েছে। বিএনপি প্রার্থীদের পক্ষে গণজোয়ার দেখে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, মির্জা আব্বাস, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের উপস্থিতি, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছি, ভোট চাইছি, ধানের শীষকে সামনে নিয়ে আসছি, একটা পরিবেশ তৈরি করতে কিছুটা হলেও সক্ষম হয়েছি। আমাদের জনগণ বেরিয়ে আসছে, এটা সবচেয়ে বড় মুনাফা। বিএনপির প্রার্থীদের পক্ষে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তা রোধ করার শক্তি এই সরকারের নেই। জনগণ ভোট দিতে পারলে বিএনপির প্রার্থীরাই জয়লাভ করবেন ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য উসকানিমূলক বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের এমপি-মন্ত্রীদের বক্তব্যের ফলে নির্বাচনের পরিবেশ ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনের দিকেই চলে যাচ্ছে। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসীদের ঢাকায় জড়ো করে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্ট করতে চাইছে। ভোটের ঠিক এক দিন আগে আওয়ামী লীগ একটি কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান করে এই নির্বাচনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। এটি নির্বাচনের সুস্পষ্ট আচরণবিধির লঙ্ঘন। এটা নির্বাচন কমিশনে জানানোর পর তারা বলেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা হতে বাধা নেই। কমিশনের কথা থেকে বোঝা যায় তারা সরকারের নির্দেশ পালন করছে। পুলিশও ভূমিকা পালন করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ নির্বাচনকেও একটি দলীয়করণ নির্বাচনে করতে চলেছে। দুই সিটি করপোরেশন ১৫ বা ১৬ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। নির্বাচনের নামে খেলা ও তামাশা করা হচ্ছে। নির্বাচনকে, গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে। এজন্য একসময় অবশ্যই তাদের জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।