রাজনীতিতে জাতীয় পার্টির অবস্থান তলানিতে

মেয়র প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট পেলেন কাউন্সিলর

রাজনীতিতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) অবস্থান তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সদ্য সমাপ্ত সিটি নির্বাচনে দক্ষিণে মেয়র পদে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পড়েছে শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ। জাপার এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবারের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। জাতীয় পার্টির এই করুণ দশায় হতাশ দলটির কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচন করে দলটির সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার হাজী সাইফুদ্দিন মিলন শুধু পরাজিতই হননি, তার জামানতও বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ ভোটারের এই সিটিতে মিলন পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৯৩ ভোট; যা মোট প্রদত্ত ভোটের শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ। জামানত ফেরত পেতে প্রয়োজন ছিল প্রায় এক লাখ ভোট। দুই (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটিতে অন্তত ১৫টি ওয়ার্ডে জাপা সমর্থিত প্রার্থীরা কাউন্সিলর নির্বাচন করলেও পাশ করেছেন একজন। উত্তরের ৩১নং ওয়ার্ডে জাপার প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সেন্টু জয়ী হন। তার প্রাপ্ত ভোট ৬ হাজার ৩১ ভোট; যা দক্ষিণে মেয়রের প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে বেশি। এদিকে উত্তরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে জাপা সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সাড়ে ৫শ’ ভোট পেয়েছেন। এই ওয়ার্ডেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় অবস্থিত, যেখানে দল ও সহযোগী অন্যান্য সংগঠনের তালিকাভুক্ত নেতাকর্মীদের সংখ্যা হাজারের বেশি। জাপার কেন্দ্রীয় সূত্র বলছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সংখ্যা লাখ ছাড়াবে। শুধু নেতাকর্মীরা ভোট দিলে দক্ষিণে লাঙ্গলের ভোট অনেক বেশি হতো। এই সিটিতে লাঙ্গলের শোচনীয় পরাজয় লজ্জাজনক বলে মনে করছেন পার্টির অনেক নেতাকর্মী। তারা বলছেন, সিটি নির্বাচনে এমন ভরাডুবির কারণে জাতীয় পার্টির চরম ইমেজ সংকটে পড়বে। জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দলীয় নেতাকর্মীদের একটি অংশ। তারা বলছেন, সিটিতে ভরাডুবির পর নিজেদের তৃতীয় বৃহত্তম দল দাবি করাটাও হাস্যকর দেখাবে। কিছু নেতাকর্মী চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে দলের সংকটের জন্য দায়ী করছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর দলের নেতৃত্ব নিয়ে তার স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ভাই জিএম কাদেরের দ্বন্দ্বের কারণে দলটির জনপ্রিয়তা তলানিতে চলে এসেছে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কিছু সিনিয়র নেতা রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য বড় দলগুলোর লেজুরবৃত্তিতে ব্যস্ত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত।

সিটি নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, দক্ষিণে ৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিলন পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। মিলনের প্রাপ্ত ভোটের পাঁচ গুণ ভোট (২৬৫২৫) পেয়েছেন হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আবদুর রহমান। মিলনের দ্বিগুণের বেশি ভোট (১২৬৮৭) পেয়েছেন মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আবদুস সামাদ সুজন।

জাপার তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের অযোগ্যতার কারণেই সিটি ভোটে জাপার করুণ পরিণতি হয়েছে। তাদের দাবি, লাঙ্গলের প্রচারণায় কেন্দ্র্রীয় নেতাদের সক্রিয়তা ছিল না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের একাধিক নেতার দাবি, এই সিটিতে জাপার দুই সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ (ঢাকা-৬) এবং সৈয়দ আবু হোসেন (ঢাকা-৪) এবং তাদের কর্মী-সমর্থকরা দলীয় মেয়রের পক্ষে কাজ করেননি।

জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের উপস্থিতিতে পার্টি মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা গত ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সদ্য জাপায় যোগ দেয়া ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কামরুল ইসলামকে উত্তর সিটিতে এবং পার্টির সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার সাইফুদ্দিন মিলনকে দক্ষিণ সিটিতে দলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। বাছাইয়ে উত্তরে জাপার প্রার্থীতা বাতিল হয়। মিলন লাঙ্গলের প্রার্থী হিসেবে বহাল থাকেন। প্রথম দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে সমর্থন দিয়ে নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। সে সিদ্ধান্ত বদল করে ৯ জানুয়ারি মেয়র পদের নির্বাচনে থাকার কথা জানায় দলটি।

জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের সিটি ভোটের আগে বলেছিলেন, জাতীয় পার্টি জয়ের জন্য লড়বে। এর আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, আগামীতে মানুষ জাপাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। তবে রাজনীতি সচেতন মানুষরা বলছেন, সিটিতে এই যদি হয় জাপার ভোটের নমুনা, তাহলে তো সরকার গঠন দূরের কথা, দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই কঠিন হবে।

রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, লেজুরবৃত্তির মাধ্যমে জাতীয় পার্টি সংসদে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে জায়গা পেলেও রাজনীতির মাঠে দলটির অবস্থান শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে। বিগত উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও জাপার অবস্থান শূন্যের কাছাকাছি।

তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ধারণা ছিল, এইচএম এরশাদের ছোট ভাই জিএম কাদের পার্টির হাল ধরলে গুণগত পরিবর্তন আসবে। তবে দলে রওশন-কাদের দ্বন্দ্ব, পার্টিতে পাল্টাপাল্টি নেতৃত্ব মনোনয়ন, সর্বোপরি ঢাকা সিটি নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থীর প্রচারণায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উদাসীনতার পরিপ্রেক্ষিতে ভরাডুবির কারণে পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা নেমে আসছে।

বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৩ মাঘ ১৪২৬, ১১ জমাদিউল সানি ১৪৪১

রাজনীতিতে জাতীয় পার্টির অবস্থান তলানিতে

মেয়র প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট পেলেন কাউন্সিলর

ফয়েজ আহমেদ তুষার |

রাজনীতিতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) অবস্থান তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সদ্য সমাপ্ত সিটি নির্বাচনে দক্ষিণে মেয়র পদে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পড়েছে শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ। জাপার এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবারের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীর চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। জাতীয় পার্টির এই করুণ দশায় হতাশ দলটির কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচন করে দলটির সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার হাজী সাইফুদ্দিন মিলন শুধু পরাজিতই হননি, তার জামানতও বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ ভোটারের এই সিটিতে মিলন পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৯৩ ভোট; যা মোট প্রদত্ত ভোটের শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ। জামানত ফেরত পেতে প্রয়োজন ছিল প্রায় এক লাখ ভোট। দুই (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটিতে অন্তত ১৫টি ওয়ার্ডে জাপা সমর্থিত প্রার্থীরা কাউন্সিলর নির্বাচন করলেও পাশ করেছেন একজন। উত্তরের ৩১নং ওয়ার্ডে জাপার প্রার্থী শফিকুল ইসলাম সেন্টু জয়ী হন। তার প্রাপ্ত ভোট ৬ হাজার ৩১ ভোট; যা দক্ষিণে মেয়রের প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে বেশি। এদিকে উত্তরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে জাপা সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সাড়ে ৫শ’ ভোট পেয়েছেন। এই ওয়ার্ডেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় অবস্থিত, যেখানে দল ও সহযোগী অন্যান্য সংগঠনের তালিকাভুক্ত নেতাকর্মীদের সংখ্যা হাজারের বেশি। জাপার কেন্দ্রীয় সূত্র বলছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সংখ্যা লাখ ছাড়াবে। শুধু নেতাকর্মীরা ভোট দিলে দক্ষিণে লাঙ্গলের ভোট অনেক বেশি হতো। এই সিটিতে লাঙ্গলের শোচনীয় পরাজয় লজ্জাজনক বলে মনে করছেন পার্টির অনেক নেতাকর্মী। তারা বলছেন, সিটি নির্বাচনে এমন ভরাডুবির কারণে জাতীয় পার্টির চরম ইমেজ সংকটে পড়বে। জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন দলীয় নেতাকর্মীদের একটি অংশ। তারা বলছেন, সিটিতে ভরাডুবির পর নিজেদের তৃতীয় বৃহত্তম দল দাবি করাটাও হাস্যকর দেখাবে। কিছু নেতাকর্মী চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে দলের সংকটের জন্য দায়ী করছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর দলের নেতৃত্ব নিয়ে তার স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ভাই জিএম কাদেরের দ্বন্দ্বের কারণে দলটির জনপ্রিয়তা তলানিতে চলে এসেছে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কিছু সিনিয়র নেতা রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য বড় দলগুলোর লেজুরবৃত্তিতে ব্যস্ত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত।

সিটি নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, দক্ষিণে ৭ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মিলন পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। মিলনের প্রাপ্ত ভোটের পাঁচ গুণ ভোট (২৬৫২৫) পেয়েছেন হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আবদুর রহমান। মিলনের দ্বিগুণের বেশি ভোট (১২৬৮৭) পেয়েছেন মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আবদুস সামাদ সুজন।

জাপার তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, কেন্দ্রীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের অযোগ্যতার কারণেই সিটি ভোটে জাপার করুণ পরিণতি হয়েছে। তাদের দাবি, লাঙ্গলের প্রচারণায় কেন্দ্র্রীয় নেতাদের সক্রিয়তা ছিল না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের একাধিক নেতার দাবি, এই সিটিতে জাপার দুই সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ (ঢাকা-৬) এবং সৈয়দ আবু হোসেন (ঢাকা-৪) এবং তাদের কর্মী-সমর্থকরা দলীয় মেয়রের পক্ষে কাজ করেননি।

জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের উপস্থিতিতে পার্টি মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা গত ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সদ্য জাপায় যোগ দেয়া ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) কামরুল ইসলামকে উত্তর সিটিতে এবং পার্টির সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার সাইফুদ্দিন মিলনকে দক্ষিণ সিটিতে দলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। বাছাইয়ে উত্তরে জাপার প্রার্থীতা বাতিল হয়। মিলন লাঙ্গলের প্রার্থী হিসেবে বহাল থাকেন। প্রথম দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে সমর্থন দিয়ে নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। সে সিদ্ধান্ত বদল করে ৯ জানুয়ারি মেয়র পদের নির্বাচনে থাকার কথা জানায় দলটি।

জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের সিটি ভোটের আগে বলেছিলেন, জাতীয় পার্টি জয়ের জন্য লড়বে। এর আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, আগামীতে মানুষ জাপাকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। তবে রাজনীতি সচেতন মানুষরা বলছেন, সিটিতে এই যদি হয় জাপার ভোটের নমুনা, তাহলে তো সরকার গঠন দূরের কথা, দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই কঠিন হবে।

রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, লেজুরবৃত্তির মাধ্যমে জাতীয় পার্টি সংসদে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে জায়গা পেলেও রাজনীতির মাঠে দলটির অবস্থান শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে। বিগত উপজেলা পরিষদ এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও জাপার অবস্থান শূন্যের কাছাকাছি।

তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ধারণা ছিল, এইচএম এরশাদের ছোট ভাই জিএম কাদের পার্টির হাল ধরলে গুণগত পরিবর্তন আসবে। তবে দলে রওশন-কাদের দ্বন্দ্ব, পার্টিতে পাল্টাপাল্টি নেতৃত্ব মনোনয়ন, সর্বোপরি ঢাকা সিটি নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থীর প্রচারণায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উদাসীনতার পরিপ্রেক্ষিতে ভরাডুবির কারণে পার্টির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা নেমে আসছে।