একুশে পদকে ভুল বানান : মান নিয়েও প্রশ্ন

রাষ্ট্রীয় ‘একুশে পদক ২০২০’-এ বেশ কিছু শব্দ ভুল বানানে লেখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশিষ্ট ভাষাবিদ মোহাম্মদ আমিন। গতকাল তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে শব্দগুলো তুলে ধরেন। তিনি তার স্ট্যাটাসে লেখেন- ‘খ্রিস্টাব্দ’ নয়, প্রমিত বানান ‘খ্রিষ্টাব্দ’। অতএব, একুশে পদকে ‘খ্রিস্টাব্দ’ লেখা সমীচীন হয়নি। প্রসঙ্গত, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানে কেবল ‘খ্রিষ্টাব্দ’ বানানকে প্রমিত করা হয়েছে। ওই অভিধানে ‘খ্রিস্টাব্দ’ বানানের কোন শব্দ নেই। ‘বঙ্গব্দ’ নয়, শুদ্ধ ও প্রমিত বানান ‘বঙ্গাব্দ’। বাংলায় ‘বঙ্গব্দ’ বানানের কোন শব্দ নেই। কিন্তু পদকে লেখা হয়েছে ‘বঙ্গব্দ’।

তিনি লেখেন, একুশে পদকে (২০২০) অঙ্কিত দুটি সংখ্যা ও দুটি শব্দের মধ্যে দুটি শব্দের বানানই ভুল। অথচ এ পদক রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মর্যাদার প্রতীক। দ্বিতীয় চিত্রে ‘ড.’-এর পর অতিরিক্ত ফাঁক দেয়া হয়েছে। এটিও দৃষ্টিকটূ। পদকের মানও সন্তোষজনক নয়। ভাষা ও সাহিত্যে ড. নুরুন নবীর এমন জাতি-বিদারক আকস্মিক উত্তরণে আমি হতভম্ব।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানের হাতে একুশে পদক-২০২০ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে পদক বিজয়ী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারটি তুলে দেন। পদক বিজয়ীদের প্রত্যেকে একটি করে স্বর্ণপদক, সনদ এবং ২ লাখ টাকা করে দেয়া হয়।

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ১০ ফল্গুন ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল সানি ১৪৪১

একুশে পদকে ভুল বানান : মান নিয়েও প্রশ্ন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রাষ্ট্রীয় ‘একুশে পদক ২০২০’-এ বেশ কিছু শব্দ ভুল বানানে লেখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশিষ্ট ভাষাবিদ মোহাম্মদ আমিন। গতকাল তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এ নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে শব্দগুলো তুলে ধরেন। তিনি তার স্ট্যাটাসে লেখেন- ‘খ্রিস্টাব্দ’ নয়, প্রমিত বানান ‘খ্রিষ্টাব্দ’। অতএব, একুশে পদকে ‘খ্রিস্টাব্দ’ লেখা সমীচীন হয়নি। প্রসঙ্গত, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধানে কেবল ‘খ্রিষ্টাব্দ’ বানানকে প্রমিত করা হয়েছে। ওই অভিধানে ‘খ্রিস্টাব্দ’ বানানের কোন শব্দ নেই। ‘বঙ্গব্দ’ নয়, শুদ্ধ ও প্রমিত বানান ‘বঙ্গাব্দ’। বাংলায় ‘বঙ্গব্দ’ বানানের কোন শব্দ নেই। কিন্তু পদকে লেখা হয়েছে ‘বঙ্গব্দ’।

তিনি লেখেন, একুশে পদকে (২০২০) অঙ্কিত দুটি সংখ্যা ও দুটি শব্দের মধ্যে দুটি শব্দের বানানই ভুল। অথচ এ পদক রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মর্যাদার প্রতীক। দ্বিতীয় চিত্রে ‘ড.’-এর পর অতিরিক্ত ফাঁক দেয়া হয়েছে। এটিও দৃষ্টিকটূ। পদকের মানও সন্তোষজনক নয়। ভাষা ও সাহিত্যে ড. নুরুন নবীর এমন জাতি-বিদারক আকস্মিক উত্তরণে আমি হতভম্ব।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানের হাতে একুশে পদক-২০২০ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে পদক বিজয়ী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারটি তুলে দেন। পদক বিজয়ীদের প্রত্যেকে একটি করে স্বর্ণপদক, সনদ এবং ২ লাখ টাকা করে দেয়া হয়।