টিআইবির অনেক রিপোর্টই একপেশে তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র (টিআইবি) অনেক রিপোর্টই একপেশে ও সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে করোনা মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে টিআইবি’র সমালোচনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী একথা বলেন।

টিআইবির কাজ শুধু দোষ খুঁজে বেড়ানো-এমন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত সাড়ে ১১ বছর আমাদের দেশ পরিচলনার কোন কাজে টিআইবি সরকারের প্রশংসা করতে পারেনি। এই টিআইবি বড় গলায় বলেছিল- পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে। যখন কানাডার আদালতে বিশ্বব্যাংক হেরে গেলো, টিআইবির তখন জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন ছিল। এমন বহুক্ষেত্রে টিআইবি প্রমাণ করেছে, তারা প্রকৃতপক্ষে সঠিক গবেষণা প্রসূত কোন রিপোর্ট পেশ করে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘তাদেরকে অনুরোধ জানাবো, যেন তারা তাদের প্রধান কার্যালয় জার্মানি এবং ইউরোপের অন্য যেসব দেশ থেকে অর্থ পায়, সেখানকার পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করে। তাহলেই সেখানকার তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি তারা বুঝতে পারবে।’

করোনা মহামারীর মোকাবিলাকে একটি যুদ্ধ-আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বয়স ৭৪ বছর, তিনি এক মুহূর্তও বসে নেই। আক্রান্ত হতে পারি জেনেও আমরা বসে নেই। দাফতরিক কাজ যেমন করছি, রাজনৈতিক কাজও করছি, একইসঙ্গে নিজ নির্বাচনী এলাকা থেকে শুরু করে নিজ জেলার কাজগুলোও যতটা সম্ভব তদারকির চেষ্টা করছি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ দু’জনই মানুষের মাঝে কাজ করতে গিয়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এগুলো প্রমাণ করে, আমাদের দলের কেন্দ্রীয় এবং মাঠ পর্যায়ের নেতা ও সংসদ সদস্যরা জনগণের পাশে থাকতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা নেই’- বিএনপির এই অভিযোগ খ-ন করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকারের প্রাণান্তকর চেষ্টায় এখনও বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্বের উন্নত এমনকি প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় ভালো রয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আরও উন্নতির জন্য সরকার নানামুখী ব্যবস্থা নিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ যে সুস্থ হলো, তারা সেগুলো দেখেন না। হাজার হাজার মানুষ যে হাসপাতালে আছে এবং সেখানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে- চোখ থাকতেও যারা অন্ধের মতো সেগুলো দেখে না, তাদের চোখে তো আলো দেয়া সম্ভবপর নয়।’

আরও খবর
ইস্পাত কঠিন ঐক্য ও সচেতনতার প্রাচীর গড়ে আমরা আবার ফিরে পাবো চিরচেনা জগৎ : কাদের
আস্থা রাখুন বাংলাদেশ হার মানবে না : প্রধানমন্ত্রী
একজন বিশ্বস্ত বন্ধুর বিদায়
সিলেটের সাবেক মেয়র কামরানের মৃত্যু
বন্দুকযুদ্ধে ধর্ষক নিহত
সৌদি থেকে ফিরতে আগ্রহীদের আনা হবে পর্যায়ক্রমে
এবারের বাজেট মানবিক বাজেট : সংসদে অর্থমন্ত্রী
যুবলীগের চেষ্টায় বদলে গেল আখাউড়া হাসপাতাল
নকল ওষুধ তৈরির কারখানা : দশ কোটি টাকার ওষুধ জব্দ
ডাক্তার নেই, এক্সরে মেশিন নষ্ট : করোনা আক্রান্ত ৪৩৯
করোনায় আরও দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
নমুনা পরীক্ষায় বিলম্ব ফলাফলে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত
একদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অন্যদিকে চলছে দখল প্রতিযোগিতা

মঙ্গলবার, ১৬ জুন ২০২০ , ২ আষাঢ় ১৪২৭, ২৩ শাওয়াল ১৪৪

টিআইবির অনেক রিপোর্টই একপেশে তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’র (টিআইবি) অনেক রিপোর্টই একপেশে ও সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে করোনা মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে টিআইবি’র সমালোচনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী একথা বলেন।

টিআইবির কাজ শুধু দোষ খুঁজে বেড়ানো-এমন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত সাড়ে ১১ বছর আমাদের দেশ পরিচলনার কোন কাজে টিআইবি সরকারের প্রশংসা করতে পারেনি। এই টিআইবি বড় গলায় বলেছিল- পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়েছে। যখন কানাডার আদালতে বিশ্বব্যাংক হেরে গেলো, টিআইবির তখন জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন ছিল। এমন বহুক্ষেত্রে টিআইবি প্রমাণ করেছে, তারা প্রকৃতপক্ষে সঠিক গবেষণা প্রসূত কোন রিপোর্ট পেশ করে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘তাদেরকে অনুরোধ জানাবো, যেন তারা তাদের প্রধান কার্যালয় জার্মানি এবং ইউরোপের অন্য যেসব দেশ থেকে অর্থ পায়, সেখানকার পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করে। তাহলেই সেখানকার তুলনায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি তারা বুঝতে পারবে।’

করোনা মহামারীর মোকাবিলাকে একটি যুদ্ধ-আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বয়স ৭৪ বছর, তিনি এক মুহূর্তও বসে নেই। আক্রান্ত হতে পারি জেনেও আমরা বসে নেই। দাফতরিক কাজ যেমন করছি, রাজনৈতিক কাজও করছি, একইসঙ্গে নিজ নির্বাচনী এলাকা থেকে শুরু করে নিজ জেলার কাজগুলোও যতটা সম্ভব তদারকির চেষ্টা করছি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ দু’জনই মানুষের মাঝে কাজ করতে গিয়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এগুলো প্রমাণ করে, আমাদের দলের কেন্দ্রীয় এবং মাঠ পর্যায়ের নেতা ও সংসদ সদস্যরা জনগণের পাশে থাকতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণ মানুষের জন্য চিকিৎসা নেই’- বিএনপির এই অভিযোগ খ-ন করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকারের প্রাণান্তকর চেষ্টায় এখনও বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্বের উন্নত এমনকি প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় ভালো রয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আরও উন্নতির জন্য সরকার নানামুখী ব্যবস্থা নিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ যে সুস্থ হলো, তারা সেগুলো দেখেন না। হাজার হাজার মানুষ যে হাসপাতালে আছে এবং সেখানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে- চোখ থাকতেও যারা অন্ধের মতো সেগুলো দেখে না, তাদের চোখে তো আলো দেয়া সম্ভবপর নয়।’