দুর্নীতির দায়ে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বেতন বন্ধ। অপরদিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রতারণার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজামুল কাদিরের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ আত্মসাৎ ও কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর তার বেতন ভাতা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অপরদিকে ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকা সত্ত্বেও পাওনাদারকে চেক দিয়ে প্রতারণা করায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এম.এ. রহমান এখন পলাতক জীবনযাপন করছেন। শিক্ষা বোর্ড বলছে ম্যানেজিং কমিটির কোন সদস্য যদি কোন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি হন তাহলে তিনি তার তার সদস্য পদ হারাবেন।
জানা গেছে, বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা কুমুদ বন্ধু রায় চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট দফতরে একটি অভিযোগ দায়ের করে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১১ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পায়। আর সেই অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বেতন ভাতা সাময়িকভাবে স্থগিত রেখে কেন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমএ রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক জালিয়াতির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন বরিশালের ভাটিখানা এলাকার শেখ মো. আল আমিন শেখ। মামলা সূত্রে জানা যায়, ভাটিখানা এলাকার শেখ মো. আল আমিনের সঙ্গে এমএ রহমানের ব্যবসায়িক সম্পর্কের কারণে তার কাছ থেকে ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা ধার নেয়। পরবর্তীতে এমএ রহমান একটি চেক দিলেও হিসাবে টাকা না থাকায় চেকটি প্রত্যাখ্যান করা হয়। পরবর্তীতে টাকা না পেয়ে বাদী একটি চেক প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় বিচার শেষে চলতি বছরের ১০ মার্চ বরিশাল যুগ্ম দায়রা জজ ২য় আদালত আসামি এমএ রহমানকে ৬ মাসের কারাদ- ও চেকের সমপরিমাণ টাকা জরিমানা করেন। মামলার রায় ঘোষণার আগ থেকেই আসামি এমএ রহমান পলাতক রয়েছে।
রবিবার, ৩০ আগস্ট ২০২০ , ১০ মহররম ১৪৪২, ১৪ ভাদ্র ১৪২৭
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল
দুর্নীতির দায়ে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বেতন বন্ধ। অপরদিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রতারণার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজামুল কাদিরের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ আত্মসাৎ ও কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর তার বেতন ভাতা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অপরদিকে ব্যাংক হিসাবে টাকা না থাকা সত্ত্বেও পাওনাদারকে চেক দিয়ে প্রতারণা করায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এম.এ. রহমান এখন পলাতক জীবনযাপন করছেন। শিক্ষা বোর্ড বলছে ম্যানেজিং কমিটির কোন সদস্য যদি কোন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি হন তাহলে তিনি তার তার সদস্য পদ হারাবেন।
জানা গেছে, বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা কুমুদ বন্ধু রায় চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট দফতরে একটি অভিযোগ দায়ের করে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১১ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পায়। আর সেই অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বেতন ভাতা সাময়িকভাবে স্থগিত রেখে কেন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমএ রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক জালিয়াতির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন বরিশালের ভাটিখানা এলাকার শেখ মো. আল আমিন শেখ। মামলা সূত্রে জানা যায়, ভাটিখানা এলাকার শেখ মো. আল আমিনের সঙ্গে এমএ রহমানের ব্যবসায়িক সম্পর্কের কারণে তার কাছ থেকে ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা ধার নেয়। পরবর্তীতে এমএ রহমান একটি চেক দিলেও হিসাবে টাকা না থাকায় চেকটি প্রত্যাখ্যান করা হয়। পরবর্তীতে টাকা না পেয়ে বাদী একটি চেক প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় বিচার শেষে চলতি বছরের ১০ মার্চ বরিশাল যুগ্ম দায়রা জজ ২য় আদালত আসামি এমএ রহমানকে ৬ মাসের কারাদ- ও চেকের সমপরিমাণ টাকা জরিমানা করেন। মামলার রায় ঘোষণার আগ থেকেই আসামি এমএ রহমান পলাতক রয়েছে।